অফসাইড নিয়ে বিতর্ক এড়াতে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে অফসাইড নির্ধারণে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার আনতে যাচ্ছে ফিফা। যা সেমি-অটোমেটেড বা আধা সয়ংক্রিয় অফসাইডস নামে পরিচিত হবে।
ফিফার চিফ রেফারিং অফিসার ও সাবেক রেফারি পিয়েলুইজি কলিনা এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আধা-স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অফসাইড নির্ধারণের জন্য ১০ থেকে ১২টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে যাতে রেফারি ও লাইন্সম্যানদের সিদ্ধান্ত আরও নির্ভুল করা যায়।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ভিএআর ফুটবলে অনেক ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে এবং অনেক বড় ধরনের ভুল এখন কমে এসেছে। তবে এখনো অনেক কিছু আছে যেগুলো আরো উন্নত করা যায়। এরমধ্যে অন্যতম হল অফসাইড। আমরা জানি অফসাইড চেক করতে মাঝে মাঝে অনেক সময় লাগে। বিশেষ করে যেগুলো বেশ সুক্ষ্ম। তাছাড়া আমরা দেখেছি একটি লাইন টেনে অফসাইড নির্ধারণ করা শতভাগ সঠিক হয় না। আর এ কারণে ফিফা নতুন প্রযুক্তি আনতে যাচ্ছে যেটি দ্রুত ও নির্ভুল ফলাফল দিতে পারবে। আর এ প্রযুক্তির নাম হলো সেমি-অটোমেটেড অফসাইডস।’
এ প্রযুক্তিটির ব্যবহার কিভাবে হবে? বা এটি কিভাবে কাজ করবে? এ প্রশ্নের জবাবে ফিফার টেকনোলজি ও ইনোভেশন বিভাগের প্রধান হলমুজার বুঝিয়েছেন কিভাবে এটি কাজ করবে।
‘এটা মূলত অঙ্গ অনুসরণ করার প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে বানানো। আমরা স্টেডিয়ামের ভেতর ছাদের নিচে ১০-১২টি ক্যামেরা বসাই। এ ক্যামেরাগুলো প্রতি সেকেন্ডে ২৯ ডাটা পয়েন্টে খেলোয়াড়দের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে। এরপর সেগুলো সফটওয়্যারে হিসাব করে সয়ংক্রিয়ভাবে তাৎক্ষনিকভাবে ভিএআর ও রিপ্লে অপারেটরের কাছে পাঠিয়ে দেয়।’
সদ্য সমাপ্ত আরব কাপে প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলকভাবে পরীক্ষা করা হয়। আরো কয়েকধাপ পরীক্ষায় যদি তা উত্তীর্ণ হয় তাহলে সামনের বছরের বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে তা।
আরো কয়েকধাপ পরীক্ষায় যদি প্রযুক্তিটি উত্তীর্ণ হয় তাহলে ২০২২ বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন