পাওনা টাকা ফেরত না দেওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় গৃহবধূকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল ওই গৃহবধূ বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. রকিবুল ইসলাম আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান এ তথ্য জানান।
জেলে যাওয়া গৃহবধূ সাদিয়া আফরিন তানিয়া। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হানুয়া বাড়পাইকা গ্রামের মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে ও বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোড খানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও মালয়েশিয়া প্রবাসী খলিলুর রহমানের স্ত্রী। মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান বলেন, তানিয়ার স্বামী খলিলুর রহমানকে ১০ শতাংশ জমি কিনে দেওয়ার কথা বলে পুলিশ সদস্য নগরীর নবগ্রাম রোড খানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান ফারুকের কাছে ৪৫ লাখ টাকা দেন। কিন্তু জমি না দেওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন। ওই মামলার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের অভিযোগে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলার বিচারবিভাগীয় তদন্তে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পায়নি। তাই মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করায় মিজানুর রহমান ফারুক ওই গৃহবধূকে আসামি করে মামলা করেন।