প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, কোনও ক্ষেত্রেই বা কোন সেক্টরেই সংস্কার কার্যক্রম স্থায়িত্ব পাবে না যদি না বিচার বিভাগের সংস্কার না করা হয়। বিচার বিভাগের সংস্কারের কথাটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়ে গেছে। সংস্কারের বার্তা পৌঁছে দিতে দেশের প্রতিটি বিভাগে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ও সাংবিধানিক একটি সুদূরপ্রসারী সংস্কারের প্রস্তাবনা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। সেই সংস্কার প্রস্তাবনার মধ্যে যতগুলো আমার উদ্দেশ্য ছিল তার অনেকটা আমাদের প্রাপ্তি হয়েছে। তবে আরও অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে এর মধ্যে কিছুটা দুর্গম পথ রয়েছে। সেই সংস্কারের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দেশের প্রতিটি বিভাগে যাচ্ছি ও বিচারকদের সঙ্গে কথা বলছি।
সোমবার দুপুরে হাকিমপুর মহিলা কলেজের আয়োজনে কলেজের হলরুমে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও হিলিতে তার জন্মস্থান নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতি তার দাদা ও দাদির নামে সৈয়দ জাফর আহমেদ ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশীপ ফান্ডের অর্থায়নে ১০জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ ভূঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরিফুল আলম ভূঞা, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা দায়রা জজ আলমগীর কবির, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফাত হাসানসহ আরও অনেকে।
এর আগে তিনি কলেজে উপস্থিত হলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত