জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মানুষের মধ্যে নতুন যে রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছে, বিএনপিকে তার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। চাঁদাবাজি, ক্ষমতার দাপট দেখানো, অন্তঃকোন্দল, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে নিহতের ঘটনা ঘটানো এমন আওয়ামী লীগীয় চরিত্রগত আচরণ থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন- এই তিনটি এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠার এবং নাগরিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্ব শর্ত। গণ অভ্যুত্থানের পর বিপ্লবের যে লড়াই সেটি এখন আমরা রাজনৈতিক দল আকারে করব। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন- এ প্রেক্ষিতে আপনার দলের অবস্থান কী?
আরিফুল ইসলাম আদীব : ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে করি। এর পাশাপাশি নির্বাচনের আগে দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগের বিচার এবং তাদের সাংগঠনিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে আপনারা কোন পথে এগোবেন?
আরিফুল ইসলাম আদীব : গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন- এই তিনটি এখন বাংলাদেশের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠার এবং নাগরিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্ব শর্ত। প্রতিটি নাগরিক সমঅধিকার ও মর্যাদাপ্রাপ্ত হবে, এই লক্ষ্যে আমাদের সংস্কারের যে আন্দোলন তা দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পিলখানা, শাপলা, জুলাইসহ সব গণহত্যার বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতিও দেখতে চাই। গণপরিষদের বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : সংস্কার প্রশ্নে আপনারা ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দিয়েছেন। শিগগিরই আলোচনার টেবিলে বসবেন। অনেক মৌলিক ইস্যুতে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ওইসব ইস্যুতে দলগুলোর সঙ্গে আপনারা কীভাবে নেগোসিয়েশন করবেন?
আরিফুল ইসলাম আদীব : শুধু আমাদের সঙ্গেই নয়, বেশ কয়েকটি বড় ইস্যুতে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। যেমন, আমরা দেখেছি সিপিবি থেকে শুরু করে জামায়াতের মতো বড় দলগুলো পিআর সিস্টেমে ভোটের পক্ষে মত দিয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, ঐকমত্য কমিশন ধারাবাহিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে দলগুলোর মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে আনবেন। আর রাজনৈতিক দলগুলো যদি তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসে, রাষ্ট্রকে কীভাবে সব নাগরিকের জন্য মর্যাদাকর হিসেবে গড়ে তোলা যায়, সেদিকে মনোনিবেশ করে তাহলে এই মত-দ্বিমত কমে আসবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের নিজেদেরও ধারাবাহিক আলোচনা ও সংস্কারকেন্দ্রিক আন্দোলন কর্মসূচি চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এনসিপির দলীয় প্রস্তুতি কী হবে?
আরিফুল ইসলাম আদীব : এনসিপির বয়স এখন এক মাস। সরকার ঘোষিত ডিসেম্বর থেকে জুন- এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সেখানে অংশ নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। এর আগেই আমরা সব সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করব।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : ভোটের রাজনীতিতে আপনারা কীভাবে এগোবেন? কত আসনে মনোনয়ন দেবেন। জোট করবেন নাকি একক প্রার্থী দেবেন?
আরিফুল ইসলাম আদীব : মনোনয়ন বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা একক কিংবা জোটবদ্ধ দুটোর যে কোনোটা হতে পারে। আপাতত এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : এরই মধ্যে দল ও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে কিছু বিতর্কের মধ্যে যেতে দেখা গেছে। এসব বিষয় সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
আরিফুল ইসলাম আদীব : অ্যাকটিভিজম আর রাজনীতি দুটো আলাদা বিষয়। আমাদের দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বরা প্রায় সবাই গণ অভ্যুত্থানের অ্যাকটিভিজমের রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। এদিকে দল হিসেবে রাজনৈতিক কার্যক্রমগুলো সম্পূর্ণ আলাদা। অ্যাকটিভিস্ট থেকে পলিটিশিয়ান হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে তারা সময় নিচ্ছেন। আমরা আশা করছি তারা দ্রুতই রাজনৈতিক আচরণগুলো আয়ত্ত করবেন। অন্যদিকে যে বিতর্কগুলো উঠছে সেগুলো আমরা রাজনীতিতে নতুনভাবে চর্চিত হতে দেখছি। দলের নেতাদের দলের পাশাপাশি জনগণের সামনেও জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অন্ধ আনুগত্যের বাইরে এসে এ ধরনের চর্চা আমাদের রাজনীতিতে আগে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : নতুন দল হিসেবে সাইবার জগতে আপনাদের বিশেষ করে নারী নেত্রীদের নানা ধরনের আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে। এই যুদ্ধে আপনাদের প্রস্তুতি কী?
আরিফুল ইসলাম আদীব : জাতি হিসেবে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের দলের একটা উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে। তারা বেশ ভালো করছেন, মাঠের রাজনীতিতে যাচ্ছেন, টকশোয় যাচ্ছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নিয়ে তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। তারা এখনো তাদের পুরোনো রাজনৈতিক চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : আগামী নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াতের মতো বড় দলগুলোর সঙ্গে এনসিপির নাম জোরেশোরে আলোচনা হচ্ছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন। আর এনিয়ে আপনাদের পরিকল্পনাই বা কী?
আরিফুল ইসলাম আদীব : দলীয়ভাবে এই আলোচনা আমাদের জন্য ইতিবাচক। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ইতিহাসে যারা ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকেছেন জনগণ পরবর্তীতে তাদের গ্রহণ করেছে।
এই অভ্যুত্থানে সব রাজনৈতিক বিরোধী শক্তি মাঠে সক্রিয় ছিল। কিন্তু দিনশেষে চূড়ান্ত লড়াইয়ের অগ্রভাগে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বরা। শিক্ষার্থীদের প্রতি আস্থার নিদর্শন হিসেবে সব দল-মতের মানুষ অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছে। শিক্ষার্থী এবং তাদের রাজনৈতিক দলের প্রতি এজন্য দেশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা ও আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : নির্বাচন নিয়ে অনেক ধরনের ফর্মুলার কথা শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে মাইনাস ফর্মুলা নিয়ে। এনিয়ে আপনাদের দলীয় অবস্থান কী?
আরিফুল ইসলাম আদীব : আওয়ামী লীগের সঙ্গে পর যখনই ক্ষমতায় এসেছে হত্যা, গণহত্যা, গুম, খুনের রাজনীতি করেছে। এটাই তাদের দলীয় আদর্শ। তারা কখনো এ দেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করেনি। প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী তাদের আনুগত্য করতে গিয়ে সব সময়ই তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ’৭২-এর পর তারা জাসদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ একটা রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের সামনে তাদের প্রকৃত চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। তারা এমন একটি রাজনৈতিক কালচার তৈরি করেছিল যে, জনগণ ‘মানুষ না আওয়ামী লীগ’ বলে গালি দিয়েছে। মানবীয় গুণাবলিসম্পন্ন কারও পক্ষে আওয়ামী লীগ করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ তার নিজের চরিত্রগত ত্রুটির কারণেই রাজনীতি থেকে মাইনাস হয়ে গেছে।
অন্যদিকে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি, আওয়ামী লীগের মতো জনবিচ্ছিন্ন নয়। তবে অভ্যুত্থানের পর মানুষের মধ্যে নতুন যে রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছে সেটির প্রতি বিএনপিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। চাঁদাবাজি, ক্ষমতার দাপট দেখানো, অন্তকোন্দল, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে নিহতের ঘটনা ঘটানো এমন আওয়ামী লীগীয় চরিত্রগত আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই, যে দলই ক্ষমতায় থাকুক বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের যেন মানবেতর জীবন-যাপন করতে না হয়। একজন সাধারণ নাগরিকও যেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী দ্বারা অন্যায় আচরণের শিকার না হন।
ফলে বিএনপিকে মাইনাস করার যে আলাপ সেটা মূলত ষড়যন্ত্রমূলক। বাংলাদেশের প্রয়োজনে সব গণতন্ত্রপন্থি রাজনৈতিক দলের সমান প্রয়োজনীয়তা আছে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল ব্যতীত সব রাজনৈতিক দল সমান। তারা গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের কাছে যাবেন, জনগণ যাদের গ্রহণ করবে তারা আগামী দিনের নেতৃত্বে আসবেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : এই মুহূর্তে সরকারের প্রতি আপনাদের পরামর্শ কী?
আরিফুল ইসলাম আদীব : দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সব রাজনৈতিক দল, প্রশাসন এবং ব্যক্তির বিচার কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে হবে। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি। শহীদ এবং আহত পরিবারগুলোকে এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে পুনর্বাসন করা হয়নি। ২ হাজারের অধিক শহীদ পরিবারের সদস্যরা এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি তাদের স্বাভাবিক পরিবেশে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট যে বিষয়গুলো রয়েছে যেমন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, বিশেষ করে বিভিন্ন জাতিসত্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিত্যপণ্যের বাজারে যে স্বস্তি তৈরি হয়েছে তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে অতি দ্রুত নিষেধাজ্ঞা জারি করে তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : গণ অভ্যুত্থান নাকি বিপ্লব- এনসিপির কাছে এই প্রশ্নের উত্তর কী?
আরিফুল ইসলাম আদীব : বিপ্লব নয়, এটি ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থান। বিপ্লব হলে আমরা বাংলাদেশের পুরো শাসনতান্ত্রিক কাঠামো পরিবর্তন করতে সক্ষম হতাম। আমাদের আরও একটি দীর্ঘ সংগ্রামের প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই লড়াইটা আমরা রাজনৈতিক দল আকারে করব।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : নির্বাচনি রাজনীতিতে জনগণের কাছে আপনারা কী ধরনের বার্তা নিয়ে যাবেন?
আরিফুল ইসলাম আদীব : রাষ্ট্রের কাছে আমরা নাগরিকের চেয়ে জনতা হিসেবেই বেশি পরিচিত। ফলে আমাদের নাগরিক অধিকার তেমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দীর্ঘদিনের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা পরিবর্তন করব। আমরা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের রাজনীতি করব। দল গঠনের আগে আমরা দেশব্যাপী একটি জনমত জরিপ করেছি। প্রায় তিন লাখের অধিক মানুষ আমাদের তাদের মতামত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, যদি দুর্নীতি দূর করা যায় তাহলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটা ভালোভাবে গড়ে উঠবে। পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সেবা নিয়ে তারা মতামত জানিয়েছেন। জনগণের সমস্যা সমাধান থাকবে আমাদের কর্তব্যের অগ্রভাগে। জীবন-জীবিকা, চলাফেরা, মত প্রকাশ, রাজনৈতিক দল করার স্বাধীনতা নিশ্চিতে আমরা কাজ করব। কৃষিতে প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদনকারীরা কীভাবে তাদের পণ্যের নায্যমূল্য পাবেন তা নিশ্চিত করার বার্তা নিয়ে আমরা জনগণের কাছে যাব। একজন বাংলাদেশের নাগরিক তার অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ন্যূনতম নাগরিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেন কোনো বাধার সম্মুখীন না হন সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করব। বিশেষ করে, বাংলাদেশের বিদ্যমান কাঠামো নারীবান্ধব নয়। অথচ দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাই নারী। খোদ ঢাকা শহরেই নারীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটেশন সুবিধা নেই। আমরা জনগণের কাছে যাব নারী অধিকার নিশ্চিত করার বার্তা নিয়ে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন : অসংখ্য ধন্যবাদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে সময় দেওয়ার জন্য।
আরিফুল ইসলাম আদীব : বাংলাদেশ প্রতিদিনকেও ধন্যবাদ।