রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় দেবরের ছুরিকাঘাতে আয়েশা খানম মণি (৪৪) নামে এক নারী খুন হয়েছেন। গতকাল সকালে দক্ষিণ কমলাপুর কবরস্থান গলির ১৭১/৩ নম্বর বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে আয়েশাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দেবর মাসুদ হাওলাদার। তবে কলহের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। আয়েশার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন, মাসুদ মানসিক ভারসাম্যহীন। তার স্ত্রীর সঙ্গে কেউ ঝগড়া করলেই তাকে টার্গেট করতেন। যদিও আয়েশার সঙ্গে মাসুদের তেমন কোনো দ্বন্দ্বের কথা তারা জানেন না। জানা গেছে, নিহত আয়েশার স্বামী নাসির উদ্দিন মামুন একটি ব্যাংকে পিয়ন পদে চাকরি করেন। তার মেয়ে মিথিলা সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে ও ছেলে মাহদি হাসান মাফি বিএএফ শাহিন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। নিহতের আরেক দেবর মো. আবু জাফর জানান, দক্ষিণ কমলাপুরের বাড়িটি তাদের নিজেদের। তিনি ও তার ছোট ভাই মাসুদ পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে থাকেন। আর তার বড় ভাই, ভাবি আয়েশা ও তাদের দুই সন্তান থাকেন পাশের বাড়িতে। সকালে সেই বাড়ি থেকে শাশুড়িকে দেখতে আসছিলেন আয়েশা। এ সময় বাড়ির সামনেই মেঝো দেবর মাসুদ হঠাৎ করে আয়েশাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মাসুদ দৌড়ে পালিয়ে যায়। নিহত আয়েশার জা জেসমিন আক্তার দাবি করেন, মাসুদ মানসিক ভারসাম্যহীন। এর আগেও মাসুদ এলাকায় কয়েকজনকে মারধর করেছেন। তবে ভাবি আয়েশার সঙ্গে তার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। মাসুদ তার স্ত্রীর সঙ্গে কারও কোনো কথা কাটাকাটি বা ঝগড়া দেখলে তাকেই টার্গেট করত। এর বাইরে কোনো কারণ রয়েছে কি না সেটি জানাতে পারেনি কেউ।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি পারিবারিক কলহের জের ধরে আয়েশা খানমকে হত্যা করে তার দেবর মাসুদ। এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে। মাসুদকে ধরতে অভিযান চলছে।