ডোনান্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণায় খুশি নন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিও তাঁকে শঙ্কিত করে তুলছে। এ আবহেই আজ বড় ঘোষণা করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বায়নের যুগ শেষ বলে ঘোষণা করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনের ওপর ১০ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন। যা বিশ্ববাজারকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা। ট্রাম্পের শুল্কনীতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সেই রাস্তা খুঁজছে বাকিরা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, দেশের ব্যবসাকে ‘শুল্ক-ঝড়’ থেকে রক্ষা করার জন্য নতুন শিল্পনীতি ব্যবহার করতে প্রস্তুত। পাশাপাশি, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে একটি অর্থনৈতিক চুক্তির চেষ্টাও চালিয়ে যাবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের মতে, ‘আমরা বিশ্বাস করি না যে, বাণিজ্যযুদ্ধই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ।’ ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরই বিশ্ববাজার টালমাটাল হয়েছে। আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ারবাজারে ধস নামছে। প্রত্যেকটি দেশই নিজের মতো করে এই শুল্ক সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজছে।-বিবিসি
স্টার্মার মনে করেন, ট্রাম্পের ঘোষণার ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।
ব্রিটেনের অন্যতম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা জাগুয়ার ও ল্যান্ড রোভার জানিয়েছে, তারা এখন আর আমেরিকায় গাড়ি পাঠাবে না। অন্তত এক মাসের জন্য গাড়ি রপ্তানির স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।