তীব্র উত্তেজনায় ভরা তুর্কি কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে হারের পর বিতর্কিত ঘটনায় তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন ফেনারবাচের কোচ জোসে মরিনিয়ো। সেই সঙ্গে গুনতে হবে প্রায় ৬,০০০ পাউন্ড জরিমানা।
তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদে মরিনিয়ো ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না এবং ড্রেসিং রুমেও প্রবেশ করতে পারবেন না। ম্যাচ শেষে গালাতাসারাই কোচ ওকান বুরুকের নাক চেপে ধরার ঘটনায় এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাকে।
ঘটনাটি ঘটে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে হাত মেলানোর পরপরই। কিছু একটা বলতে বলতে মাঠ ছাড়ছিলেন বুরুক। এ সময় হঠাৎই মরিনিয়ো এসে তার নাক চেপে ধরেন। বুরুক তাৎক্ষণিক মুখ সরিয়ে নিলেও এরপর নাটকীয়ভাবে দুহাতে মুখ ঢেকে মাঠে পড়ে যান।
ঘটনার পর গালাতাসারাই কোচ বলেন, “সে পেছন থেকে এসে আমার নাকটা পিষে দেয়। হালকা আঁচড় লেগেছিল। এটা মোটেই স্টাইলিশ কিছু ছিল না। বাড়িয়ে বলছি না, তবে এটি খুব শালীন আচরণ ছিল না।”
গালাতাসারাই ক্লাব এই ঘটনাকে শারীরিক আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করে মরিনিয়োর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। অপরদিকে ফেনারবাচে দাবি করে, বুরুকের উত্ত্যক্ততাই মরিনিয়োকে এমন আচরণে প্ররোচিত করেছে। বুরুকের পড়ে যাওয়ার ভঙ্গিমা নিয়েও উপহাস করে তারা, “তিনি এমন অভিনয় করছিলেন যেন গুলি খেয়েছেন।”
তুরস্কের প্রফেশনাল ফুটবল ডিসিপ্লিনারি বোর্ড বুরুকের প্ররোচনাকেও বিবেচনায় নিয়েছে। ফলে মরিনিয়োর শাস্তি তুলনামূলকভাবে হালকা হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে।
এই নিয়ে দেড় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেন ৬২ বছর বয়সী মরিনিয়ো। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচে রেফারিদের রুমে গিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তিনি চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। তবে আপিলে কমে আসে সেই নিষেধাজ্ঞা।
এবারের ঘটনার জেরে মরিনিয়োর সহকারী কোচ সালভাতোরে ফতিও চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। অভিযোগ, তিনি প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়কে অসম্মানজনক আচরণ করেছিলেন। তুর্কি ক্লাব ফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের এই ম্যাচ আবারও প্রমাণ করল—গালাতাসারাই ও ফেনারবাচের লড়াই শুধু মাঠে নয়, উত্তেজনায় ছড়ায় মাঠের বাইরেও।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/নাজিম