ম্যাচ জেতেনি। তবু ২৫ মার্চ বাংলাদেশের ফুটবলের স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। শিলংয়ের মাটিতে সেদিনই লাল-সবুজের জার্সিতে ইংলিশ লিগে খেলা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর অভিষেক হয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। অভিষেকেই হামজা যে নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন তা ম্যাজিক বলা যায়। মাঠজুড়ে ভারতকে দাবিয়ে রেখেছিলেন। সতীর্থদের জালে বল পাঠানোর সুযোগ করে দিলেও তা হাতছাড়া করায় গোল হয়নি। সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। তবে হামজা মন জয় করেছেন সবার। ভারতীয় কোচও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বলেছেন, ‘হামজার দাপটের সামনে আমরা ছিলাম অসহায়। এ যাত্রায় ড্রতে বেঁচে গেছি। জানি না বাংলাদেশে ভারত কী করবে?’ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। ১০ জুন ম্যাচটি হবে। শিলংয়ের পর হামজার অভিষেক হতে চলেছে। ম্যাচটি হবে দেশের ফুটবলে তীর্থস্থান জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায়। আগে যা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বলে পরিচিত ছিল। দীর্ঘদিন সংস্কার কাজে ব্যস্ত থাকায় ফুটবল এখানে গড়ায়নি। হামজার ম্যাচ দিয়েই জেগে উঠবে অনেক সুখ-দুঃখের সঙ্গী এ আলোচিত স্টেডিয়াম। সংস্কার কাজ শেষে জাতীয় স্টেডিয়াম প্রস্তুত। যতটুকু বাকি আছে তা ১০ জুনের আগে শেষ হবে। এমনই নিশ্চয়তা দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
গতকাল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্টেডিয়ামে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘স্টেডিয়ামের কাজ প্রায় শেষ। এ নিয়ে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বাফুফে মাঠের ঘাসের আরও একটু কাজ করবে। আমাদের লাইটিং ও অন্যান্য কাজও শেষের দিকে। আমাকে জানানো হয়েছে এক মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে ১০ জুন বাংলাদেশের ম্যাচ হওয়ার কোনো বাধা দেখছি না।’ দর্শকরা অপেক্ষায় রয়েছেন জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজার ম্যাচ দেখার জন্য। আমিও তো চাই।’