সুবজ পাহাড়ে বুকজুড়ে রক্তিম সূর্য। গোধূলীর রঙ ছড়িয়েছে সিগ্ধ আকাশে। অতিথি পাখিদের কলতান আর হ্রদ পাহাড়ের মিতালিতে এক অন্যরকম ভাল লাগায় মেতে উঠেছেন পর্যটকরা।
মঙ্গলবার ছিল ২০২৪ সালের শেষ দিন। অর্থাৎ থার্টি ফাস্ট নাইটকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য দূর দূরান্ত থেকে রাঙামাটিতে এসেছেন হাজারও পর্যটক। কেউ এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। আবার কেউ এসেছে প্রিয়জন নিয়ে। বাদ ছিল না নবদম্পত্তি আর তরুণ-তরুণীরা। ছুটির দিন না হলেও পর্যটকদের পদচারণায় যেন উৎসবের নগরিতে পরিণত হয়েছে পাহাড়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রূপ আর বৈচিত্র্যে ভরপুর রাঙামাটি। এখানে আছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তর কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদ। আছে সবুজ পাহাড়ের ভাজেঁ ভাজেঁ অসংখ্য ছড়া ও ঝর্ণা। হ্রদের স্বচ্ছ জলধারায় মিশে আছে উচ্চ পাহাড়। এ যেন এক একটি হিমালয়। প্রকৃতির সাথে মিলে মিশে আছে জীব বৈচিত্র্য আর এ পাহাড়ি মানুষগুলোর জীবন ধারা। তাই জীবন আর জীবিকার তাগিদে এ পাহাড় ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটক কেন্দ্র। যার টানে প্রতি বছর এ অঞ্চলে পর্যটকদের ভীড়। তাই বছর শেষে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে রাঙামাটিতে ভীড় করেছেন পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে আগত রায়হানা রিয়া বলেন, বছরের শেষ সময়টায় সবুজ পাহাড়ে গোধূলীর রঙে মিশে যেতে কার না ভাল লাগে। তাই রাঙামাটি পর্যটন ঝুলন্ত সেতুতে দাঁড়িয়ে রক্তিম সূর্যকে বিদায় লগন উপভোগ করলাম।
একইভাবে ভাল লাগা প্রকাশ করলেন নবদম্পতি জিসান ও মনিরা। তারা বলেন, বিয়ের পর প্রথম রাঙামাটি এসেছি। নতুন বছরকে বরণ আর পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে। একটা আনন্দময় সময় পাড় করছি।
শুধু রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু নয়, সবুজ পাহাড়, কাপ্তাই হ্রদের সিগ্ধ জলধারা আর আকাঁবাকাঁ সড়কে মন কেরেছে অনেকের। তাই ভীড় ছিল রাঙামাটি আসামবস্তি সড়কে। ব্রীজে দাঁড়িয়ে বছরের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ করলো রাঙামাটিবাসি। পরিবার পরিজন নিয়ে এক অন্যরক সময় পাড় করেছে অনেকে। বছরের সমস্ত গ্লানি এখানে বিলিন হয়েছে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতুটা দু’টি পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি। হ্রদের উপর ঝুলে আছে সেতুটি। তাই বেশি আকর্ষণীয়। মজার বিষয় হচ্ছে এখানে হ্রদের সৌন্দর্য যেমন উপভোগ করা যায়। তেমনি সূর্যাস্তও উপভোগ করা যায়। তাই প্রতিবছর বছর শেষে পর্যটকরা ভীড় করে এখানে। তবে ছুটির দিন না থাকায় এবার পর্যটক কিছুটা কম, তবে তেমন কম ছিল না বলা যায়। এভাবে দূর দূরান্তের পর্যটক আগমন অব্যাহত থাকলে পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়িতে পারবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত