ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি ঘিরে গণজামায়াত শুরু হয়েছে। কর্মসূচি ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি গোয়েন্দারাও সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিকে ঘিরে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি পৃথক ট্রাফিক পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কর্মসূচির নিরাপত্তার জন্য ডিবির সাইবার টিম কাজ শুরু করেছে। এছাড়া ডিবির একাধিক টিম কাজ করছে। সুন্দরভাবে যেন এই কর্মসূচি সফল হতে পারে সে জন্য গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো—
১. অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন— পানি, ছাতা, মাস্ক সঙ্গে রাখতে এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
২. যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৩. রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন, সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
৪. দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।
‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত