ভোলা সদর হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এক চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে হামলার শিকার ওই ডাক্তারকে উদ্ধার করে।
মৃত মাকসুদুর রহমান নামের ওই রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, মুমূর্ষু অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে আনা হলেও জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার নাইমুল হাসনাত নাইম রোগীকে না দেখেই জুমার নামাজে চলে যান। নামাজ শেষে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি ফিরে আসেননি।
এই অবস্থায় রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে জরুরি বিভাগে থাকা রাকিব নামের এক ব্রাদার তাকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেন এবং রক্তচাপ পরীক্ষা করেন। পরে পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওই ব্রাদারই ডাক্তারকে ডেকে আনেন। ডাক্তার এসে ইনজেকশন দেন এবং পালস চেক করার পর কোনো মন্তব্য না করেই চলে যান।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, রোগী তখনও জীবিত ছিলেন এবং চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে রোগী মারা গেলে ডাক্তার তার মৃত্যু সনদে উল্লেখ করেন, রোগী হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান ইসলাম জানান, ঘটনার সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে চিকিৎসকের কোনো অবহেলা পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম