নাটোরে আদালতের মালখানার জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (ক্রাইম) একরামুল হক ও অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, সিআইডি, ডিবি সহ জেলা পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে আদালতের ডকুমেন্ট কক্ষ এবং কোর্ট পুলিশের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে চোরের দল। এরপর তারা সদর সার্কেলের মালখানায় ঢুকে সেখান থেকে থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা এবং স্বর্ণলংকার চুরি করে। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় বেলা ১১টার দিকে আদালতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা মালখানার পেছনের জানালার গ্রিল কাটা দেখতে পেয়ে বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান।
আরও জানা গেছে, গত রোজার মাঝামাঝি সময়ে গভীর রাতে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী প্রাইভেটকারে রাজশাহীর বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় উদ্ধারকৃত ৩৭ লাখ টাকাসহ ১০ ভরি স্বর্ণ, ২০ ভরি রুপা চুরি হয়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন (পিপিএম) জানান, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।
পুলিশ সুপার জানান, চুরি হওয়া মালামালের পরিমাণ ও প্রকৃতি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মালখানায় সংরক্ষিত জব্দ তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুরি হওয়া সম্পদের সঠিক হিসাব দেয়া সম্ভব নয়।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থারও তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম