চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পতেঙ্গা সী-বিচকে আন্তর্জাতিক মানের ট্যুরিস্ট স্পটে রূপান্তর করতে চসিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করছে। আমরা পুরো বীচ এলাকাকে পরিচ্ছন্ন, আলোকিত, নিরাপদ করতে কাজ করছি। সৈকতের একাংশের সৌন্দর্য বর্ধন দিয়ে শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে এটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন স্পটে রূপ দেয়া হবে। এই স্পটকে নতুন করে সাজাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিডিএর বাস্তবায়নাধীন পতেঙ্গা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য সৌন্দর্যবর্ধন ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি মূলত তিনটি সেক্টরের উপর নির্ভরশীল। চার নাম্বার আরেকটি সেক্টরকে কিন্তু আমরা চট্টগ্রামের মাধ্যমে উঠিয়ে আনতে পারি। সেটা হচ্ছে পর্যটন খাত। যে পর্যটন খাত দিয়ে কিন্তু আমাদের আশেপাশের সার্কভুক্ত সবগুলো দেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে গেছে। অথচ এই পর্যটন খাতটাকে কিন্তু আমরা সেভাবে বিকশিত করতে পারিনি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরেই কিন্তু বাংলাদেশের পর্যটনখাত নির্ভরশীল। কারণ আমরা যদি চট্টগ্রামের পর্যটনখাতের বিকাশ ঘটাতে পারি তাহলে একদিকে দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রামের অবকাঠামো যদি আমরা ডেভেলাপ করতে না পারি তাহলে আমরা বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারবো না। দেশের অর্থনৈতিক যে একটা চাকা তা সচল করার জন্য চট্টগ্রামকে সুন্দর করতে হবে। এক্ষেত্রে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈতক খুলতে পারে সম্ভাবনার দুয়ার।
মেয়র বলেন, অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থেই চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রয়োজন। তাই চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পটাকে চিন্তা করে আমাদের কাজ করতে হবে। এখানে স্পেশাল ইকোনমিক জোন আছে, এখানে কন্টেইনার ইয়ার্ডগুলো আছে। এখানে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির একটা ব্যাপার আছে এবং এখানে ট্রেড সেন্টার আছে। ব্যবসায়িক হাব হিসেবেও কিন্তু চট্টগ্রাম অত্যন্ত পরিচিত। কাজেই সব মিলিয়ে ভৌগোলিক কারণে আজকে চট্টগ্রাম কিন্তু অত্যন্ত ইম্পর্টেন্ট একটা জোনে আছে। সিটি গভর্মেন্ট না থাকায় আমাদের যে লিমিটেশন সেই লিমিটেশনকে জয় করতে হলে আমাদের আন্তরিক হতে হবে। বর্তমানে, চসিক, সিডিএ এবং জেলা প্রশাসনের মধ্যে যে সহযোগিতার মনোভাব আছে তা নিয়ে আমরা চট্টগ্রামের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল