চট্টগ্রামে কলেজিয়েট স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার একটি কক্ষে আধাঘণ্টা দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলেও উত্তরপত্র ঠিক সময়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। যার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪০ জন শিক্ষার্থী সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি। পরে বিষয়টি প্রধান শিক্ষক জানতে পারলে তিনি ওই শিক্ষার্থীদের আধাঘণ্টা বাড়িয়ে দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নিয়েছেন। একইসাথে পর্যবেক্ষক দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার কেন্দ্রের একটি কক্ষে দুই পর্যবেক্ষকের ভুলে ৪০ জন পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র দেরিতে দেওয়া হয়েছে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে তাদের আধাঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। তারা ঠিকঠাক মতো পরীক্ষা দিয়েছে। দায়িত্ব অবহেলার কারণে ওই কক্ষের পর্যবেক্ষক আবুল কালাম ও রেজাউল করিমকে তাৎক্ষণিকভাবে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বহুনির্বাচনী পরীক্ষা ও সৃজনশীল পরীক্ষার মাঝখানে কোনো বিরতি না থাকলেও কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রের ১০৮ কক্ষের দুই পর্যবেক্ষক বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সৃজনশীল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেননি। এভাবে এক দুই মিনিট করে আধাঘণ্টা পার করে দেন। পরে আরেকটি কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দেখে ১১ টা ২ মিনিটে প্রশ্নপত্র দেন। এরপর ঠিক বেলা ১টায় উত্তরপত্র নিয়ে ফেলেন। আঘাঘণ্টা দেরিতে পরীক্ষা শুরু হলেও ঠিক সময়ে নিয়ে ফেলায় ওই শিক্ষার্থীরা সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি।
আকতার হোসেন নামে এক অভিভাবক বলেন, এটা শিক্ষার্থীদের প্রথম পরীক্ষা ছিল। প্রথম দিনেই তারা এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হলো, যেটার আঘাত বাকি পরীক্ষাগুলোতেও পড়তে পারে। প্রধান শিক্ষক যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। পুরো ভুলটা মূলত দুই পর্যবেক্ষকের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত