আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত শনিবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সিরিয়া ও লেবাননে সামরিক উস্কানির মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি “স্পষ্ট অবজ্ঞার” পরিচায়ক।
সৌদি প্রেস এজেন্সির মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা ইসরায়েলকে আরও সাহসী করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যে যুদ্ধগুলো পরিচালনা করছে—অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চল, লেবানন এবং সিরিয়ায়—তা এক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এটি এখন সম্পূর্ণ বেপরোয়া রূপ ধারণ করেছে, যেখানে স্বাক্ষরিত চুক্তি লঙ্ঘন, অন্য দেশে অনুপ্রবেশ এবং বেসামরিক মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।”
লেবাননে ইসরায়েলের লক্ষ্যভিত্তিক হত্যা অভিযান পুনরায় শুরু করাকে তিনি গত বছরের শেষের দিকে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তির চরম লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং একে তিনি “অসম্ভব ও নিন্দনীয়” বলে আখ্যায়িত করেন।
আবুল গেইত বলেন, “ইসরায়েলের যুদ্ধযন্ত্র থামতে চায় না, যতক্ষণ না দেশটির নেতারা তাদের অভ্যন্তরীণ সংকট বিদেশে রপ্তানি করে সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই বাস্তবতা এখন সবার কাছেই পরিষ্কার হয়ে গেছে।”
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ৫০,০০০-এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১,১৩,২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
লেবাননে যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৩,৯৬১ জন নিহত এবং ১৬,৫২০ জন আহত হয়েছে।
সিরিয়ার নতুন সরকার ৩ এপ্রিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি “মারাত্মক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযান” চালানোর অভিযোগ তোলে, যেখানে বিমান হামলা, একটি বিমানবন্দরে হামলা এবং দক্ষিণ দারা প্রদেশে স্থল অভিযানে ১৩ জন নিহত হয়। সূত্র: আরব নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজিম