যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে একটি সামরিক হেলিকপ্টার এবং যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া ফায়ার এবং ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসেসের প্রধান জন ডনেলি জানিয়েছেন, উদ্ধারকর্মীরা এখনও পর্যন্ত ৪০টি মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন, তবে পটোম্যাক নদীর বরফ-শীতল পানি এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ ধীরগতিতে চলছে।
ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এক্সে প্রকাশিত এক পোস্টে জানানো হয়েছে, তদন্ত ও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে এবং ডুবুরিরা প্রবেশযোগ্য সব এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। মরদেহের পাশাপাশি বিমানটির ধ্বংসাবশেষও উদ্ধার করা হচ্ছে। তবে তীব্র শীতল পানি ও পুরু কাদার কারণে উদ্ধারকারীরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
নিউইয়র্কভিত্তিক উদ্ধার প্রশিক্ষণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বুচ হেনড্রিক বলেন, "বিমানটি মাত্র কয়েক ফুট গভীর পানিতে রয়েছে, কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশ উদ্ধার অভিযানকে অত্যন্ত জটিল করে তুলেছে।" তিনি আরও জানান, বিমানের সিটবেল্ট সাধারণ গাড়ির সিটবেল্টের মতো নয়, ফলে অনেক মরদেহ নিজেদের আসনে থাকতে পারে না।
এদিকে, নদীতে জ্বালানি ও ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ার কারণে দূষণের ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন হেনড্রিক।
ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে, যখন আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এ অবতরণ করছিল। সংঘর্ষের পর দুটি উড়োজাহাজই পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানায়, উড়োজাহাজটিতে ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিলেন, মোট ৬৪ জন। উড়োজাহাজটি ক্যানসাসের উইচিটা থেকে ওয়াশিংটনে যাচ্ছিল। অন্যদিকে, হেলিকপ্টারে ছিলেন ৩ সেনা। এই দুর্ঘটনাটি গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ মার্কিন বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সোর্স: সিবিএস
বিডি প্রতিদিন/আশিক