মানুষের পাঁচ মৌলিক অধিকারের অন্যতম চিকিৎসা। দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সর্বস্তরে অসন্তুষ্টি সর্বজনবিদিত। গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ১৫ বছরের শাসনকালে রাষ্ট্রযন্ত্রের এমন কোনো অঙ্গ নেই, যেখানে দুর্নীতি ও অনিয়মের কালো থাবা বসেনি। স্বাস্থ্য খাতে এই সর্বনাশা থাবা ছিল অত্যন্ত প্রবল। আর্তমানবতার সেবার এই খাতকেও কমিশন ব্যবসার স্বর্গে পরিণত করা হয়। তৎকালীন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার ছেলের মাধ্যমে গড়ে তোলেন রোগীদের রক্তচোষা সিন্ডিকেট। বাংলাদেশ প্রতিদিনে এ খাত নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বাপ-বেটার সিন্ডিকেট ব্যবসার কেচ্ছাকাহিনি প্রকাশ পেয়েছে। কভিড-১৯ অতিমারির সময় দেশের মানুষ যখন আতঙ্কিত। স্বজন হারানোর বেদনায় শোকার্ত। রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে শয্যা নেই। অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। চারদিকে হাহাকার। ঠিক সেই ভয়ার্ত সময়ে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে টু-পাইস কামানোর ধান্দায় তৎপর হয়ে ওঠেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নেপথ্যে মন্ত্রী, সম্মুখে মন্ত্রীপুত্র ও ঠিকাদার সিন্ডিকেট। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই সিন্ডিকেট কেনাকাটার নামে অবাধ লুণ্ঠন করে জনগণের ট্যাক্সের টাকা। আর জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব যার ওপর ন্যস্ত, সেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাজার কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সে সময় গণমাধ্যমে খবর বেরোয়- ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ও মন্ত্রীর আপনজনরা মিলে মানহীন মাস্ক ও সুরক্ষাসামগ্রী ক্রয় ও সরবরাহ করে বিপুল অর্থ কামিয়েছেন। মন্ত্রীতনয়ের সিন্ডিকেট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেনাকাটা থেকে শুরু করে নিয়োগ-বাণিজ্য, পদোন্নতিসহ ১১টি সুনির্দিষ্ট খাত থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। অভিযোগ আছে, স্বাস্থ্য খাতের ডন হিসেবে পরিচিত ঠিকাদার মিঠু বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দাম নিলেও নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে রেহাই পেয়ে যাওয়ার পেছনে মূল শক্তি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আস্তে আস্তে সেসব কেচ্ছাকাহিনি বেরিয়ে আসছে। আসলে যে যত বড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, একদিন না একদিন তাকে অনিয়ম-দুর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাশুল গুনতেই হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নিয়েছে। নিশ্চয় স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিতে জড়িত সবার বিরুদ্ধেও দৃষ্টান্তমূলক কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
শিরোনাম
- ভিনিসিয়ুসের পেনাল্টি মিসের রাত, রিয়ালের হার
- ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা
- আরও ১১ খুনের কথা স্বীকারে প্রস্তুত সেই ‘চেসবোর্ড কিলার’
- সরকারি সফরে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া গেলেন সেনাপ্রধান
- স্মার্টফোনে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ মোডের কাজ কী?
- ইউনূস-মোদি বৈঠক বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক : গোলাম পরওয়ার
- গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা হোক : সালাউদ্দিন আহমেদ
- মার্কিন শুল্কারোপ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই : খলিলুর রহমান
- পাঞ্জাবকে বড় ব্যবধানে হারালো রাজস্থান
- চেন্নাইকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে দিল্লি
- মিডিয়া সংস্কারে কার স্বার্থে একচোখা সুপারিশ
- গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- শাহবাগে ফুলের দোকানের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- শাহবাগে ফুলের দোকানে আগুন
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ইয়াসিনের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
- শুল্ক ইস্যুতে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের জিহাদের আহ্বান জানিয়ে ফতোয়া জারি
- যথাসময়ে আমরা নির্বাচন আদায় করে নেব : ইশরাক
- শরীরে একাধিক কোপ, ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
- অক্টোবরেই অচল ২৪ কোটি কম্পিউটার, বিকল্প কী?
স্বাস্থ্যেও সর্বনাশ
দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, কোনো ছাড় নয়
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

ইউরোপজুড়ে ট্রাম্প-ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, যোগ দেন প্রবাসী মার্কিন নাগরিকরাও
২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা তৎপরতা অব্যাহত
৩০ মিনিট আগে | জাতীয়