সারাদেশের মতো সিলেট মহানগরীতে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টে এ পর্যন্ত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) গ্রেফতার করা হয়েছে ৭৬ জনকে।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সর্বশেষ শুক্রবার সিলেট মহানগরীতে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের পদবীধারী আরও ২ নেতা গ্রেফতার হন। গ্রেফতারকৃতরা সিলেট মহানগরীর ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল খয়ের মাস্টার (৫৫) ও মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক পাভেল মিয়া (৪৫)।
এদিকে, সিলেট মহানগর ও আশপাশের এলাকাগুলোয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা ও এর প্রতিকার চেয়ে করা মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এসব এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকানো ও অপরাধ দমনকেই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে সারা দেশে মোট মামলা হয়েছে ১৪ হাজার ৫৭২টি। এর মধ্যে সিলেট রেঞ্জে ৭১১টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। আর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে (এসএমপি) ১৪৬টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।
অপারেশন ডেভিল হান্ট একটি বিশেষ অভিযান। যা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত