পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং ছাত্রীদের শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভেঙে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা এই কাজ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ৯টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে লাইভে রেকর্ড বক্তব্য দেন। এই বক্তব্য শুরু হওয়ার পর পরই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মতো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে কিছু শিক্ষার্থী বের হয়ে প্রথমে শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙেন, এরপর তারা মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা হলের দিকে যান। তারপর শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙেন। এরপর তারা রঙ দিয়ে দুই হলের নাম মুছে দেন।
এ বিষয়ে জানতে ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মুজাহিদ হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে হাসিনা পালানোর পর থেকেই বিভিন্ন সময় অপতৎপরতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা নানা কূটকৌশল চালিয়ে আসছে। আমরা শক্তভাবে বলতে চাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর কোনো ধরনের অপরাজনীতি ও অপচচর্চা আমরা সহ্য করব না। আজ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার লাইভ রেকর্ডের প্রতিবাদে আমরা দুইটি হলের নামফলক মুছে দিলাম। স্বৈরাচারের কোনো ঠিকানা এই পাবিপ্রবিতে হতে দেব না।’
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মজনু আলম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেলেও আওয়ামী লীগের অপপ্রচার থেমে নেই। আজ শেখ হাসিনা লাইভে রেকর্ড বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বৈরাচারীর নাম ফলক মুছে দিলাম। সেই সঙ্গে আমরা চাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে এমন নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে নতুনভাবে সংযুক্ত করতে। জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর নামকরণ করার দাবি জানাই।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
