মহাকাশই তার বিচরণক্ষেত্র। কিন্তু তার চেহারা আর পাঁচটা মহাজাগতিক পদার্থের মতো নয়। তাকে গ্রহাণু বলে চিহ্নিত করার আগেই মাথায় আসে সে জলহস্তি! এমনই এক গ্রহাণু এগিয়ে এলো পৃথিবীর দিকে। এরই মধ্যে গবেষণাও শুরু করেছে নাসা।
বিজ্ঞান বিষয়ক এক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, জলহস্তির মতো দেখতে এই গ্রহাণুর পোশাকি নাম ‘২০০৩ এসডি২২০’। নাসার রাডারে ধরা পড়েছে তার ছবি। গত ২২ ডিসেম্বর এই গ্রহাণু পৃথিবীর খুবই কাছে চলে আসে (১.৮ মিলিয়ন মাইল)। ক্রিসমাসের আগে এমন জলহস্তির আগমনের কারণে তাকে ‘ক্রিসমাস হিপ্পো’ বলে ডাকছেন বিজ্ঞানীরা।
নাসা সূত্রে জানা গেছে, ক্রিসমাস হিপ্পো প্রায় ১ মাইল দীর্ঘ। তার আকার দেখে মনে হয়, এক সত্যিকারের জলহস্তি যেন মহাকাশ সাঁতরে এগিয়ে আসছে! তবে এটি পৃথিবীর কোন ক্ষতি করবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গত ১৫-১৭ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার গ্ল্যাডস্টোন অ্যান্টেনা, পুয়ের্তো রিকোর আরেসিবো অবজারভেটরি এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের গ্রিন ব্যাঙ্ক টেলিস্কোপ-এর সূত্রে তার গতিবিধি বিজ্ঞানীদের নজরে আসে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানী ল্যান্স বেনার জানিয়েছেন, ২০১৫ সালেও পৃথিবীর বেশ কাছাকাছি চলে এসেছিল ‘২০০৩ এসডি২২০’। কিন্তু এতটা কাছে সে এসেছিল আজ থেকে ৪০০ বছর আগে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ