বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ অভিযানে করতোয়া নদীর ওপর সরকারি জমিতে স্থাপিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস-এর প্রাইভেট পুণ্ড্র ইকোনমিক জোনের ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত বগুড়া শহরের বাঘোপাড়া পুণ্ড্র ইকোনোমিক জোনের ভিতরে থাকা বিসিএলের গ্লাস ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য স্থাপনা ভ্রাম্যমাণ আদালত উচ্ছেদ করে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্ছেদের আগে কয়েক দফায় টিএমএসএস কর্তৃপক্ষকে নদীর জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরেও তারা অবৈধ স্থাপনা না সরালে জেলা প্রশাসন থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এদিকে টিএমএসএস কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা সব সময়ই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ না করে তাদেরকে না জানিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলেন টিএমএসএস কর্তৃপক্ষ। তারা আরও বলেন, আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আমাদের স্থাপনাগুলো বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে টিএমএসএস-এর প্রায় ২০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। জানা যায়, বগুড়া শহরতলির বাঘোপাড়া, গোকুল, মহিষবাথান, তেলিহারা মিলিয়ে চারটি মৌজায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস পুণ্ড্র ইকোনোমিক জোন গড়ে তুলতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে। সেখানে বিভিন্ন শেড নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকৃত স্থাপনার অধিকাংশ বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী করতোয়া নদীর জায়গায় গড়ে তোলা হয়। টিএমএসএস প্রায় ৩০ একর জমিতে এই কর্মযজ্ঞ করে নির্মাণ করে আসছিল। টিএমএসএস-এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ড. অধ্যাপিকা হোসনে আরা জানান, বেশকিছু স্থাপনা আমাদের নিজস্ব জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আমাদের স্থাপনাগুলো বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে টিএমএসএস-এর প্রায় ২০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, বগুড়া জেলা প্রশাসন ও নদী রক্ষা কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে করতোয়া নদীর ওপর ৯৩ শতাংশ সরকারি জমিতে স্থাপিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা টিএমএসএস-এর প্রাইভেট পু ্র্র ইকোনোমিক জোনের ১১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে টিএমএসএস কর্তৃপক্ষকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল।