বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) কার্যক্রমে গতিশীলতা ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। গতকাল এক বার্তায় এসব দাবির কথা জানায় দলটি। বার্তায় বলা হয়, ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রাথমিক ভিত্তি ছিল বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় কোটাব্যবস্থা, নানা অনিয়ম, বৈষম্য ও দুর্নীতির কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভ। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে পাওয়া নতুন বাংলাদেশে বিসিএসসহ সব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা রক্ষায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। বিশেষ করে পিএসসি একটি পরীক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হবে।
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পক্ষে বেশকিছু দাবি উপস্থাপন করেছে এনসিপি। সেগুলো হলো- জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভা সম্পন্ন করে ৩০ জুনের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ৩০ জুনের মধ্যে ঘোষণা করতে হবে; ২০২৫ সালের মধ্যেই ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। জুনের শেষ সপ্তাহ অথবা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে সম্ভব না হলে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ অথবা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে লিখিত পরীক্ষা শুরু করতে হবে। ৪৬তম লিখিত পরীক্ষা সম্পন্নের পর এক মাসের মধ্যে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিতে হবে।
দলটি আরও দাবি জানিয়েছে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বরসহ ফলাফল, কাট মার্কস ও সঠিক উত্তর পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল নম্বরসহ ওয়েবসাইটে ভাইভার আগেই প্রকাশ করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর ভাইভার আগে ক্যাডার চয়েজ রদবদল করার সুযোগ দিতে হবে। ১০০ নম্বরের ভাইভা ৪৫তম বিসিএস থেকেই কার্যকর করতে হবে। নিয়োগে স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে চূড়ান্ত ফলাফলের সঙ্গে ভাইভার নম্বরও প্রকাশ করতে হবে। ৩৮তম পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষার ন্যায় নন-ক্যাডার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে হবে। ভাইভাতে উত্তীর্ণদের থেকে নন-ক্যাডারে সর্বোচ্চ নিয়োগ দিতে হবে। এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং সার্কুলারে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ করতে হবে।