খাবার সংকট ও স্থানীয়দের হামলায় ছয় মাসে সারা দেশে অন্তত ১৮টি হাতি মারা পড়েছে। শুধু দাঁত ও নখের জন্য কখনো গুলি করে, কখনো বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে বা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে প্রাণীটিকে। এতে ক্রমেই হাতির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। হাতি হত্যার পেছনে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে।
১৯৮০ সালে প্রথম জরিপে দেশে হাতি ছিল ৩৮০টি। ২০০০ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৩৯টিতে। সবশেষ ২০১৬ সালের জরিপে হাতি ছিল ২৬৮টি। এরপর আর জরিপও হয়নি।
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ফাঁসিয়াখালীর জলদি রেঞ্জের মনুরমার ঝিরিতে একটি হাতিকে কুপিয়ে হত্যা করে নখ ও দাঁত কেটে নেওয়া হয়। কয়েক বছর ধরে হাতির প্রতি এমন নৃশংসতার নজির নেই। ২৮ মার্চ একই এলাকায় আরেকটি হাতির রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ১১ মার্চ রাঙামাটির রাজস্থলীতে গর্ভবতী বুনো হাতি মারা যায়। দুই দিন পর কক্সবাজারের উখিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয় আরেকটি হাতিকে। গত বছর নভেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মারা যায়। এ নিয়ে ছয় মাসে ১৮টি হাতি মারা গেছে, যার অধিকাংশই অস্বাভাবিক মৃত্যু। হাতি হত্যা নিয়ে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলছেন, বনের হাতি রক্ষায় বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাতির চলাচলের জন্য আমরা কিছু কিছু খাস জায়গা বরাদ্দ চাইছি। সেখানে আমরা হাতির খাদ্যোপযোগী আবাস করে দিতে পারব, যাতে মানুষের সঙ্গে হাতির বিরোধ কমে আসে।