জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আমাদের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। গতকাল খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা ঈদগাহ ময়দানে থানা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন থানা আমির মাওলানা মুনাওয়ার আনসারী।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, একটা দেশের সঙ্গে আরেকটা দেশের সম্পর্ক হবে সাম্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে। কিন্তু বিগত সময়ে ভারত আমাদের ওপর প্রভুসুলভ আচরণ করেছে। সীমান্ত হত্যা, তিস্তার পানি চুক্তি, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারত সবসময় টালবাহানা করে আসছে। জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতা যখন তাদের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছিল তখন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ২ হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। এমন একজন অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়া কোনো গণতান্ত্রিক দেশের কাছে কাম্য নয়।
আওয়ামী লীগ আমলে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সাবেক নেতাদের বিচার প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, নিজেদের বিচারক, সাজানো সাক্ষী দিয়ে আমাদের নিরপরাধ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, যা জনগণ মেনে নেয়নি। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নামে ধর্ষণের মামলা দিয়ে জাতির সঙ্গে উপহাস করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গোলাম পরওয়ার বলেন, ছাত্ররা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে স্বপ্ন দেখছে জামায়াত তার সঙ্গে একমত পোষণ করে। অতীতের জুলুম-নির্যাতন-দখলদারিত্বমুক্ত বাংলাদেশ যদি নির্মাণ করা না যায় তাহলে আমাদের নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন বৃথা যাবে। জামায়াত নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের বন্ধু। মানুষের দুঃখ, দুর্দশা লাঘবে জামায়াত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ইসলামী রাষ্ট্রের যে ধারণা মহান রব কোরআনে উল্লেখ করেছেন জামায়াত সেই আলোকেই দেশকে গড়তে চায়।
