রাজধানীর মুগদার গ্রিন মডেল টাউন সোসাইটির একটি ভবনের চারটি ফ্ল্যাটে ভয়াবহ ডাকাতি ঘটেছে। গতকাল ভোরের দিকে সোসাইটির ডি ব্লকের ৩ নম্বর রোডের ১৭ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ভবনের বাসিন্দারা বলছেন, ডাকাতরা টাকা ও সোনার অলংকার লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভবন মালিক হুমায়ূন ও তাঁর স্ত্রী শাহীনূর আক্তার এবং আরেক ফ্ল্যাটের আবদুল মান্নান ও তাঁর ছেলে হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান বলেন, ভোরের দিকে ১৫-২০ জনের একটি ডাকাতদল ওই ভবনের সামনে আসে। তারা ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করে। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটগুলোর চারটির দরজা ভেঙে ডাকাতি করে। তাদের সবার মুখ কাপড় ও মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল। ওসি বলেন, ওই ভবনের আশপাশে সিসিটিভি না থাকায় এখনো ডাকাতদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে যেসব ফ্ল্যাটে ডাকাতি হয়েছে, সেখানে তাদের আঙুল ও পায়ের পাতার ছাপ রয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। সিআইডির মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। ডাকাতরা চারটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে। পুলিশ সূত্র জানান, একটি বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে জমি কিনে নিজেরাই বাড়িটি বানিয়ে বসবাস করছিলেন। সেখানে ডাকাতরা ঢুকে অস্ত্রের মুখে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে। পরে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটগুলোর চারটির দরজা ভেঙে ডাকাতি করে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রিন মডেল টাউন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এজাজ খান বলেন, ‘আমাদের সোসাইটিতে অস্ত্রসহ ২০-২৫ জন ডাকাত সদস্য ঢুকে পড়ে। তাদের মধ্যে সাত-আট জন ভবনের ভিতরে ঢুকে ঘণ্টাখানেক ধরে তা ব চালায়, বাকিরা ভবনের বাইরে ছিল। সবার হাতে দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।