জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আগে রাজনীতি ছিল টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনা, রাতের আঁধারে কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যাওয়া। এবার জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে, আমরা জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে সংসদে যেতে চাই।’ গতকাল রংপুর কেরামতিয়া মসজিদে জুমার নামাজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ, মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ ইমতি, সদস্যসচিব রহমত আলী প্রমুখ।
সারজিস আলম বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত জাতীয় নাগরিক পার্টি। এমন চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা অভ্যস্ত। জাতীয় নাগরিক পার্টি এক মাস হয়েছে আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যেন সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া যায়।’ এনসিপির কমিটি কেমন হবে-প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, ‘আজ আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি ফরমেশন প্রক্রিয়ায় চলে যাব। এপ্রিলেই জেলা ও উপজেলা কমিটি দেখতে পাবেন। জেলা-উপজেলায় আমাদের অসংখ্য শুভাকাক্সক্ষী রয়েছেন।
এ তরুণরা দেশের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং জেলা-উপজেলার নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা তাদের রয়েছে। এ নেতৃত্ব তরুণনির্ভর থাকবে, তবে অগ্রজরা অবশ্যই থাকবেন। যে জায়গায় যাদের গ্রহণযোগ্যতা, দক্ষতা ও সততা রয়েছে ওই এলাকায় তারা নেতৃত্বের জায়গায় আসবেন। আমাদের সামনে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে তরুণদের সাহস, উদ্যম ও দৃঢ়তা দরকার। অগ্রজদের পরামর্শ ও অভিজ্ঞতা আমাদের চলার জন্য বেশ প্রয়োজন। অগ্রজ ও তরুণরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবন।’ তিনি বলেন, ‘এনসিপি উত্তরাঞ্চলের সাংগঠনিক টিম হিসেবে আমরা দায়িত্বপ্রাপ্তরা ৩২টি জেলায় যাব। আমরা মনে করি বিগত এক যুগে রাজনীতি গণমানুষের রাজনীতি ছিল না। আমরা মাঠে, ঘাটে, অলিতে-গলিতে জনগণের কাছে যাব, আমরা যা করতে চাই, বাংলাদেশ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখি সে প্রত্যাশার কথা তাদের কাছে তুলে ধরব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত নিথর দেহ ছিল, লাশগুলো ছিল সেগুলো যদি আমাদের সামনে রাখতে পারি তাহলে চব্বিশের জুলাইয়ের স্পিরিট থেকে কখনো বিচ্যুত হব না। জনগণের চাওয়া অনুযায়ী আগামীর বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যেতে পারব। আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে পারলে জনগণ তাদের রায় দিয়ে সংসদে নিয়ে যাবে।’
