প্রায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সাড়ে ১৩ কোটি টাকার বেশি সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বেলা পৌনে ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, দিনাজপুর-২ আসনের সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তার নিজ নামে ১১টি ব্যাংক হিসাব ও ৫টি কার্ড হিসাবে মোট ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার ৫১০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, কাগজপত্রে যেসব তথ্য মিলেছে সেসবের ভিত্তিতে খালিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তবে তার বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ থাকার তথ্য রয়েছে। সেসব নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তার অবৈধ সম্পদকে বৈধ করতে নানা ধরনের কৌশল নিয়েছেন। দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জের জহুরা অটোরাইস মিলে আবদুল হান্নান এবং এমআই করপোরেশনের মাহবুব ও ইসহাকের মাধ্যমে পেট্রলপাম্প এবং ধান-চাল ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। আর জহুরা অটোরাইস এবং এমআই করপোরেশনে কর্মরত কর্মচারীদের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সেসব ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে অবৈধ টাকাকে বৈধ করেছেন।