ম্যাগনোলিয়া বা উদয়পদ্মের জন্মস্থান আমেরিকার ফ্লোরিডা ও টেক্সাস। তবে আমাদের দেশেও কমবেশি চোখে পড়ে। হিমালয় অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মে। বৃহস্পতিবার সকালে এই উদয়পদ্মের দেখা মিলল নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়ার জন্মস্থান রংপুর মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের অফিস ভবনের পূর্বদিকে। উদয়পদ্ম গাছে অসংখ্য কলি এসেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ফুলের পূর্ণতা বিকাশ হবে। অন্যান্য ফুল ফোটার পরে কয়েকদিন সতেজ থাকলেও এই ফুল একদিনেই বাসি হয়ে যায়।
সারা পৃথিবীতে ম্যাগনোলিয়া নামে ব্যাপক পরিচিতি থাকলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফুলটির নাম রেখেছিলেন উদয়পদ্ম। হিমচাঁপা নামেও চেনেন অনেকে। ফুলের গড়ন অনেকটা পদ্মের মতোই। যেকোনো সময় ফুলটি ফোটা শুরু করবে এমনটা আশা করা হচ্ছে। বংশবৃদ্ধি গুটিকলমের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
মাঝারি বা ছোটখাটো ধরনের এ গাছটি রোদ পছন্দ করে। খুব বেশি ডালপালাও হয় না। উচ্চতায় ১৫ থেকে ২০ ফুট হয়ে থাকে। পাতা ঊর্ধ্বমুখী, অনেকটা কাঁঠাল পাতার মতো। দেখে খুব সহজেই চেনা যায়। ওপরের পিঠ সবুজ এবং চকচকে আর নিচের পিঠ মখমলের মতো বাদামি রঙের হয়। কুড়ির রং বাদামি। সাদা, সুগন্ধি ও বড় আকারের ফুলগুলো ফোটে চৈত্র থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত। ফুল প্রায় ২০ সেন্টিমিটার চওড়া এবং পাপড়িসংখ্যা ৬ থেকে ১২টি।
বাংলা একাডেমির পরিচালনাধীন বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বাংলা একাডেমির সহপরিচালক কৃষিবিদ আবিদ করিম মুন্না জানান, 'উদয়পদ্ম গাছটি ধীরে ধীরে বাড়ে বলে ফুলের জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়। ফুলের মাঝখানে গোল বলের মতো জননাঙ্গ ঘিরে সাজানো থাকে কোমল সাদা পাপড়ি। ফুল একদিনের মধ্যে বাসি হয়ে ঝরে পড়ে।' বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের পুরাতন গাছটিে ফুল ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল