জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) স্বাধীনতার চেতনা ও জনগণের অভিপ্রায়ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়াসে ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ বা ‘Republic Day’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এক তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে, জুলাই গণহত্যার প্রেক্ষিতে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব।
অনুষ্ঠানে ‘৭১ ও ‘২৪-এর যুগসন্ধিক্ষণে ঐতিহাসিক মেলবন্ধনের দার্শনিক প্রাসঙ্গিকতার ওপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন দেশবরেণ্য গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী। ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আলোয় রাষ্ট্রকে বিনির্মাণে তিনি ৮টি দফা বা করণীয় উপস্থাপন করেন।
দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্বের ওপর আলোচনা করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, সম্পাদক রেজাউল করিম তালুকদার, সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. হেলালুজ্জামান।
আলোচনা সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করতেই রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রটি আত্মপ্রকাশ করেছে। ‘৭১-এর ধারাবাহিকতায় ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান তথা প্রজাতন্ত্রের মর্মবস্তু বাস্তবায়নের সংগ্রাম ও লড়াইকে এগিয়ে নিতে হবে।
সভাপতির ভাষণে তানিয়া রব বলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্বকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে ১০ এপ্রিলকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল