অবৈধ অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় নিজ দেশে চলে যেতে বাধ্য করার জন্য অভিনব কৌশল অবলম্বন করতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন। এই কৌশল অনুযায়ী, জীবিত অভিবাসীদের ‘মৃত’ দেখানো হবে।
ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর যে কোনো প্রোগ্রামে (রিফিউজি, অ্যাসাইলি, দুর্গত-যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার অ্যাকাউন্ট খোলা যায়, ক্রেডিট কার্ড পাওয়া যায়, মেডিকেইড, মেডিকেয়ার) বেকার ভাতা পাওয়া যায়। এ আবেদনের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর দেওয়া হয়। আবেদনটি মঞ্জুর না হলেও নম্বরটি ওই ব্যক্তির জন্য বহাল থাকে। ফলে ফেডারেল, স্টেট এবং সিটির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ অভিবাসনের মর্যাদা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে দিনাতিপাতের তেমন সমস্যা হয় না। তাই সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বরওয়ালা অবৈধ অভিবাসীরা নিজের অবস্থানকে পোক্ত রাখতে প্রতি বছর ট্যাক্স রিটার্ন দিয়ে আসছেন। কিন্তু ট্রাম্প তার নির্বাচনি অঙ্গীকারের পরিপূরক (অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কার প্রশ্নে) সাফল্য অর্জনে সক্ষম হচ্ছেন না ভেবে জীবিত অবৈধ অভিবাসীদেরকে ‘মৃত’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ প্রক্রিয়ায় গত মঙ্গলবার অন্তত ৬ হাজার ৩০০ জনের নাম ওই তালিকায় উঠানো হয়েছে। সামনের সপ্তাহের মধ্যে আরও ৯৮ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে মৃত তালিকায় নেওয়া হবে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে। কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, অবৈধরা যাতে নিজে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে বাধ্য হয়- সে জন্য এই প্রক্রিয়ার বিকল্প ছিল না।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এলিজাবেথ হাস্টন বলেন, সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর বাতিলের প্রক্রিয়া প্রেসিডেন্ট টাম্পের অভিবাসন-নীতি বাস্তবায়িত করতে অবদান রাখবে। অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর মধ্য দিয়ে সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার পাশাপাশি সিটিজেনদের সার্বিক কল্যাণে আরও অধিক মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।