ব্যর্থতা, হতাশা, লজ্জা, এই তিনটি শব্দ যেন ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। ভারতের স্পিনিং পিচ হোক, ঘরের মাঠের সুইং সহায়ক পরিবেশ বা অস্ট্রেলিয়ার বাউন্স সহায়ক মাঠ, সব জায়গাতেই গোটা বছরজুড়ে ব্যর্থতাই হাতে লেগেছে ইংল্যান্ড ব্যাটারদের। অ্যাসেজে যেন প্রতিদিন আরও গভীরে তলিয়ে যাচ্ছেন ইংলিশ ব্যাটাররা।
মেলবোর্নে দ্বিতীয় দিনে জেমস অ্যান্ডারসনসহ সকল ইংলিশ বোলাররাই অজিদের বিরুদ্ধে ভাল পারফর্ম করে দলকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮৫ রান করার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে ১২ ওভারেই ৩১ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসে জো রুটের দল।
ফের একবার ব্যর্থ ইংল্যান্ড ওপেনাররা। প্রথম ইনিংসে হাসিব হামিদ শূন্য রানে আউট হন। ২০২১ সালে ব্যাটারদের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরার দৃশ্য তার আগেও ৪৯ বার দেখেছিল ইংল্যান্ড, যা একটি নজির। এবার দ্বিতীয় ইনিংসে হামিদ এবং তার ওপেনিং পার্টনার জ্যাক ক্রাউলি, দুইজনেই যথাক্রমে সাত ও পাঁচ রানে আউট হয়ে আরও সমস্যায় ফেললেন ইংল্যান্ডকে।
ঘটনাক্রমে প্রথম ইনিংসে হামিদের শূন্য রানে আউট হওয়ার পরই ভারতকে টপকে এক বছরে সর্বাধিক এক অঙ্কের স্কোরে আউট হওয়ার রেকর্ড ইংল্যান্ড ওপেনারদের দখলে চলে যায়।
১৯৮৩ সালে ভারতীয় ওপেনাররা টেস্টে ২৮ বার এক অঙ্কের স্কোরে আউট হয়েছিলেন। মেলবোর্নে দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের জন্য সেই সংখ্যাটা এই বছরে গিয়ে দাঁড়াল ৩১। দলে ওপেনারদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সবারই জানা। সেখানে প্রায় প্রতি ম্যাচেই দলকে মজবুত ভীত দেওয়া তো দূর, কোনোরকম রানই করতে বারবার ব্যর্থ হওয়া ইংল্যান্ড ওপেনারদের ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন