টাকার জন্য দানিশ কানেরিয়া যে কোন মন্তব্য করতে পারেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ এ ভাবেই আক্রমণ করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন লেগ স্পিনারকে।
‘পিটিভি স্পোর্টস’র একটি অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বিস্ফোরণ ঘটান ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেটে কানেরিয়াকে ব্রাত্য করে রাখা হত। কানেরিয়া হিন্দু বলে তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েক জন খেতেও চাইতেন না বলে দাবি করেন তিনি। শোয়েবের এমন অভিযোগের পরে পাকিস্তানের ক্রিকেটে আলোড়ন পড়ে যায়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই'কে মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘‘কানেরিয়া টাকার জন্য যা খুশি তাই বলতে পারে। ওর মধ্যে আর কোন বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’’
শোয়েবের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পরে কানেরিয়াকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, শোয়েব যা বলেছেন, তা কি সত্যি? তার উত্তরে কানেরিয়া জানান, সত্যিটাই তুলে ধরেছে শোয়েব। ক্রিকেটার জীবনে যারা কানেরিয়ার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন, তাদের নাম পরে প্রকাশ্যে আনবেন বলেও হুমকি দেন। তাকে সাহায্য করার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে আবেদনও করেন তিনি।
২০০৯ স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড আজীবন নির্বাসিত করে কানেরিয়াকে। ২০১০ সালের পরে পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে আর খেলার সুযোগ হয়নি তার। কানেরিয়ার স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মিয়াঁদাদ বলছেন, ‘‘ক্রিকেটে দুর্নীতি করে আজীবন নির্বিসিত হওয়া কাউকে বিশ্বাস করা যায় কীভাবে? দেশের নাম ডুবিয়েছে কে? ২০০০ সালের গোড়ার দিকে আমি পাকিস্তানের হেড কোচ ছিলাম। তখন এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করতে পারছি না।’’
কানেরিয়া যে সময়ে খেলতেন, সেই সময়ে লেগ স্পিনার হিসেবে ইমরান তাহির, আলি হুসেন রিজভি ও মনসুর আমজাদ ছিলেন তার প্রতিপক্ষ। এই তিন স্পিনারকে টপকে কানেরিয়াই জাতীয় দলে সুযোগ পেতেন।
মিয়াঁদাদ সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলছেন, ‘‘পাকিস্তান কানেরিয়াকে ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১০ বছর পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলেছে। কানেরিয়ার ধর্ম নিয়ে কোনও সমস্যা থাকলে সেটা সম্ভব হল কীভাবে?’’
মিয়াঁদাদের সাফ কথা, পাকিস্তানের ক্রিকেটে কোন দিনই ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ