ক্রিকেট বিশ্বে 'আনপ্রেডিক্টেবল' দল হিসেবে বেশ খ্যাতি আছে পাকিস্তানের। করাচি টেস্টে সেটা আরও একবার দেখাল তারা। প্রথম ইনিংসে যে পাকিস্তান দুইশ' রানের আগেই অলআউট সেই দলটাই কিনা দ্বিতীয় ইনিংসে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলল ২৭৮ রান। বোঝাই যাচ্ছে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুই ওপেনার শান মাসুদ ও আবিদ আলি। আর তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে করাচি টেস্টের নিয়ন্ত্রণ দখলে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৩৯৫ রান করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার রান ছিলো ২৭১। ফলে তৃতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৩১৫ রানে এগিয়ে পাকিস্তান।
প্রথম ইনিংসে ৮০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ বিনা উইকেটে ৫৭ রান করেছিলো পাকিস্তান। মাসুদ ২১ ও আবিদ ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। ফলে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ২৩ রানে পিছিয়ে ছিলো পাকিস্তান। তৃতীয় দিনও ব্যাট হাতে নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখেন মাসুদ-আবিদ। বিনা উইকেটে দলীয় ১৭৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যায় পাকিস্তান। এ সময় মাসুদ ৭৮ ও আবিদ ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। বিরতি থেকে নিজের দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আবিদ। ফলে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেন তিনি। বিশ্বের নবম ও পাকিস্তানের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দু’টেস্টেই সেঞ্চুরি করলেন আবিদ।
প্রথম সেশনের মত দ্বিতীয় সেশনেও নিজেদের দাপট অব্যাহত রাখেন মাসুদ-আবিদ। ১৯ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মাসুদ। চা-বিরতির আগ মুর্হূতে বিচ্ছিন্ন হন মাসুদ-আবিদ। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৯৮ বলে ১৩৫ রান করা মাসুদকে শিকার করেন শ্রীলংকার পেসার লাহিরু কুমারা। ২৭৮ রানের জুটি গড়েন তারা। শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন মাসুদ-আবিদ। ভেঙে যায় ২০ বছরের পুরনো রেকর্ড। ১৯৯৯ সালে লাহোরে উদ্বোধনী জুটিতে ১৫৬ রান করেছিলেন শহিদ আফ্রিদি ও ওয়াজাতুল্লাহ ওয়াস্তি। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে মাসুদ-আবিদের এই রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
মাসুদ থামলেও নিজের ইনিংস বড় করেছেন আবিদ। কুমারার দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ১৭৪ রান করেন তিনি। ২১টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮১ বলে নিজের ইনিংটি সাজান তিনি।
মাসুদ-আবিদের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আজহার আলি ও বাবর আজম। দিন শেষে দু’জনই অপরাজিত আছেন। আজহার ৫৭ ও বাবর ২২ রানে অপরাজিত। শ্রীলংকার কুমারা ৮৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব