শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৫১, সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩

বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে কিছুক্ষণ

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)
অনলাইন ভার্সন
বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে কিছুক্ষণ

‘বাংলার বিহার উড়িষ্যার মহান অধিপতি, তোমার শেষ উপদেশ আমি শুনিনি জনাব। ইউরোপীয় বণিকদের ঔদ্ধত্য ব্যবহার আমি বারবার ক্ষমা করেছি। আমি তোমার রাজ্য রক্ষা করতে পারিনি দাদু। আমি দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকদের বিশ্বাস করেছিলাম।’ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ নাটকের প্রথম দৃশ্যের প্রথম ডায়ালগে আলিবর্দী খাঁর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে সিরাজউদ্দৌলার কথার অংশ বিশেষ। 

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বর্তমান পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার পলাশীর প্রান্তরে লর্ড ক্লাইভের নেতৃত্বে ইংরেজ বাহিনীর কাছে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলা নয়, হাজার বছরের ইতিহাসে পুরো ভারতবর্ষের জন্য সবচেয়ে বড় বিয়োগান্ত ঘটনা ঘটে যায়। তার ফলে কয়েক বছরের মধ্যে পুরো ভারতবর্ষ দখল করে নেয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যা পরবর্তীতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দামি উপনিবেশে পরিণত হয়। প্রায় ২০০ বছরের শাসনে ইংরেজ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুট করেছে তা শুধু নয়, শত শত বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে একই সঙ্গে বসবাসকারী উপমহাদেশের দুই প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে চরম সাম্প্রদায়িক ঘৃণা-বিদ্বেষের বীজ বপন ও সেটিকে লালন-পালন করে এমন বিস্তার ঘটিয়েছে যে, যার সূত্র ধরে ভারতবর্ষ খন্ড-বিখন্ড হয়েছে, লাখ লাখ নিরীহ মানুষের রক্তে লাল হয়েছে গঙ্গা, ভাগীরথী আর সিন্ধু নদের পানি। ইংরেজদের তৈরি সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ঘৃণার শিকার হয়ে ভারতবর্ষের তিনটি দেশেই আজও রক্ত ঝরছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই মহাবিয়োগান্ত ঘটনার সূত্রপাত হয় বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদ থেকে, যেটি এখন ভারতের পশ্চিম বাংলার একটি জেলা। 

২৬৬ বছর পেরিয়ে গেছে। তারপরও মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে মুর্শিদকুলি খাঁ থেকে শুরু করে সিরাজউদ্দৌলার স্মৃতিবিজড়িত অনেক চিহ্ন এখনো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন ইতোমধ্যে ভাগীরথী নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যা আছে সেটি দেখতেই প্রতিদিন এখানে কয়েক হাজার দর্শনার্থী আসেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের প্রায় সব সদস্যসহ নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে ঘটে যাওয়া বাংলার ইতিহাসের দ্বিতীয় মহাবিয়োগান্ত ঘটনা আর ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সিরাজউদ্দৌলার বিয়োগান্ত ঘটনার মধ্যে স্থান, কাল ও পাত্র-পাত্রী ব্যতীত ঘটনাপ্রবাহের অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতি বছর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একবার যাওয়া হয়। আর ধানমন্ডিতে গেলেই একবার মুর্শিদাবাদ যাওয়ার ইচ্ছা মনে জাগে। নানা কারণে এত দিন সময় সুযোগ হয়নি। তাই এবার গ্রীষ্মের দাবদাহ কিছুটা বিদায় নেওয়ার পর নভেম্বরের শুরুতে আবহাওয়া একটু আরামদায়ক হতেই সিদ্ধান্ত নিলাম মুর্শিদাবাদ যেতে হবে। ভ্রমণ কখনো একা একা আনন্দদায়ক হয় না। তাই আমি আর আমার স্ত্রী ইয়াসমিন এবং সঙ্গে আর্মির ব্যাচমেন্ট ও স্কুলসাথি কর্নেল শওকত আর ভাবি। 

বরাবরই ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে শওকতের অনেক আগ্রহ। চারজন একটা ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে ঢাকা থেকে বিমানযোগে কলকাতা হয়ে সড়কপথে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করলাম। ১২ নভেম্বর সকালে কলকাতার হোটেল থেকে নাশতা সেরে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে গাড়িতে বসলাম। বড় জিপ গাড়ি। চালকের নাম সুকুমার, খাস বাঙালি। যাত্রার শুরুতেই বুঝলাম সুকুমার আর যেটাই হোক কথার কাঙাল নয়। কলকাতা শহর থেকে বের হতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ ন্যাশনাল হাইওয়েতে একটু পরপরই ভাঙা জায়গায় এখন ব্যাপক মেরামতের কাজ চলায় ধীরগতিতে চলছে গাড়ি, ঝাঁকুনিও লাগছে। সুকুমার বলল, বুঝলেন না স্যার, লোকসভা নির্বাচন সামনে তাই রাস্তা মেরামতের খুব তোড়জোড় চলছে। ভোটের শেষে পাঁচ বছর আর কোনো খবর থাকবে না। তবে বাঙালি ভোটের সময় বাঙালিদের সঙ্গেই থাকবে, স্পষ্ট মত সুকুমারের। 

প্রান্তিক পর্যায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয় তাহলে রাজনীতিতে ধাপ্পাবাজি, মিথ্যাচার ও প্রতারণার সুযোগ অনেক কমে যায়। একাত্তরের খুব পরিচিত স্থান কল্যাণী ও কৃষ্ণনগর পার হতেই ভালো রাস্তা পেয়ে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় সুকুমার। পথে মুর্শিদাবাদের বেশ একটু আগে পড়বে পলাশীর প্রান্তর। গাড়ির গতি দেখে শওকত মনে করিয়ে দিল, সুকুমার, পলাশীর প্রান্তর কিন্তু অবশ্যই দেখতে হবে। বেলা দেড়টার দিকে পলাশী যুদ্ধের স্মৃতিসৌধের পাদদেশে পৌঁছে প্রথম দৃষ্টিতেই কিছুটা হতাশ হলাম। ছোট একটু জায়গাকে ঘিরে পাথরের তৈরি সিরাজউদ্দৌলার প্রতিকৃতিসহ স্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে লেখা আছে পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্র ২৩ জুন ১৭৫৭। চটজলদি আমরা কয়েকটি ছবি তুললাম। ইতিহাসে বর্ণিত আম্রকানন সে রকমই দেখব তা প্রত্যাশা করিনি। তবে ভেবেছিলাম, ইংরেজ ও নবাব বাহিনীর সমাবেশস্থল এবং মীরজাফর ও ইয়ার লতিফ বাহিনী যে স্থানে দাঁড়িয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সেগুলো অন্তত চিহ্নিত থাকবে। 

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন শেষ বেলায় মীরজাফরের গোপন সংকেতবার্তা পেয়ে ইংরেজ বাহিনী যে স্থান দিয়ে ভাগীরতী নদী পার হয়ে মোহনলাল-মীরমদন বাহিনীকে পর্যুদস্ত ও পরাজিত করেছিল সেটি এখন একটি ফেরিঘাট। ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকায় ছোট ছোট গাড়ি এপার-ওপার আসা-যাওয়া করে। তবে কোনো স্মারকচিহ্ন নেই। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ইতোমধ্যে ২টা বেজে গেছে। ফেরিঘাট থেকে প্রধান সড়কে ফেরার পথে চারদিকে প্রাচীর দেওয়া একটা স্থাপনাকে পর্যটন কেন্দ্র বলে মনে হলো। প্রবেশ করে দেখি একদম নিরিবিলি। আম গাছের নিচে টেবিল-চেয়ারে বসে কয়েকজন কথাবার্তা বলছে। একটা আম গাছের গায়ে টাঙানো টিনের একটি বোর্ডে লেখা আছে, ঐতিহাসিক পলাশী যুদ্ধক্ষেত্র, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের অধীনে অতিথি নিবাস ও রেস্তোরাঁ। একজনকে জিজ্ঞাসা করতেই জানাল দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা যাবে, ভিতরে যান। ভিতরে ঢুকে দেখি লোকজনশূন্য, টেবিল-চেয়ার সব খালি। একজন এসে বলল, অর্ডার দেওয়ার পর প্রস্তুতি ও রান্না শুরু হবে এবং তাতে কম করে হলেও ১ ঘণ্টা লাগবে। একাই একশ পচেন সরকার। বাবুর্চি, পরিবেশনকারী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অর্ডার পেয়ে পচেন সরকার কাজ শুরু করল। 

হেমন্তের প্রায় শেষ, শীত আসি আসি করছে। নদীয়া জেলার এক পল্লীতে, পলাশী যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝখানে আম গাছের ছায়ায় ঘেরা অতিথি নিবাসের মধ্যে হেলে পড়া সুখের মিষ্টি রোদের আবেশে আমরা কেবল চারজন সবকিছু ঘুরে দেখতে দেখতে ১ ঘণ্টা কখন পেরিয়ে গেছে টের পাইনি। পেছন থেকে পচেন সরকারের ডাক, স্যার আসেন খাবার রেডি। গরম ভাত, ডাল তরকারিতে গরম ধোঁয়া উঠছে। খাবার মুখে দিয়ে বুঝলাম পচেন সরকার পাকা বাবুর্চি। খাবার শেষ করে আবার যাত্রা শুরু। মুর্শিদাবাদ শহরের একটু বাইরে একদম নিরিবিলি পরিবেশে ভাগীরথী পূর্বতীর ঘেঁষে আমাদের বুকিং দেওয়া জলছবি রিসোর্টে পৌঁছতে পৌঁছতে সূর্য লাল হয়ে পশ্চিমে ডুব দেবে দেবে করছে। রিসোর্টের সামনে অনেক বড় ফাঁকা মাঠের এক প্রান্তে ভাগীরথীর তীরঘেঁষে টেবিল-চেয়ার সাজানো। তাড়াতাড়ি রুমে লাগেজ রেখে ভাগীরথীর কূলে বসে পশ্চিমে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে চা-কফি আর গরম গরম সবজি পাকুড়া নিয়ে হাজির হলো হোটেলবয়। গরম চা-পাকুড়া মুখে আর সামনে শত শত বছর ধরে উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে চলা খরস্রোতা ভাগীরথী, যে নদীর গর্ভেই ডুবে যায় বাংলার শেষ নবাবের সূর্যাকাশ। অন্ধকার নেমে আসতেই দেওয়ালি উপলক্ষে সাজানো রংবেরঙের ঝলমলে আলোতে জ্বলে উঠে জলছবি চত্বর। আমরা বিশ্রামের জন্য রুমে চলে যাই। 

১৩ নভেম্বর সকালেই শুরু হয় দর্শনের মূল পর্ব। নিজেদের জিপ গাড়ি ছেড়ে একটা খোলা টুকটুক গাড়িতে সারা দিনের জন্য গাইডকাম চালক কৃষ্ণ বিশ্বাসকে নিয়ে যাত্রা শুরু। প্রথমেই পড়ে মীরজাফরের কবরস্থান। শওকত বলল, ভাই প্রথমেই মীরজাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দিনটা কি ভালো যাবে। কোনো অসুবিধা নেই স্যার, চিৎকার করে জবাব দেয় গাইড কৃষ্ণ বিশ্বাস। সারি সারি অনেক কবর, সবটাই পাথরে বাঁধানো। দর্শনার্থী অনেক। কোনো কবরেই নাম-পরিচয় লেখা নেই। ঢুকেই সবার মুখে একই কথা, মীরজাফরের কবর কোনটা। একজন একটাকে দেখিয়ে বলল, এটাই মীরজাফরের কবর। লক্ষ্য করলাম তার পাশ দিয়ে যেতেই প্রত্যেক দর্শনার্থী নিজের মতো করে বিড়বিড় করে গালি দিতে দিতে যাচ্ছে। গাইডের হুঁশিয়ারি, কেউ কবরে পা  দেবেন না, থুথু ফেলবেন না। এরকম আদেশের কারণ জিজ্ঞাসাতে একজন জানাল, একসময়ে দর্শনার্থীরা এসে মীরজাফরের কবরে থুথু ফেলত, আবার কেউ পা দিয়ে লাথি দিত। ধর্মীয় বিবেচনায় এটা ঠিক নয় বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই আদেশ জারি করেছে। এরপর মুর্শিদকুলি খানের প্রাসাদ ও মসজিদ দেখে হাজির হলাম মীরজাফরের বাড়ির সামনে। বিশাল লোহার গেটের গায়ে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে, নেমকহারামের দেউড়ি। গেটে বড় এক তালা ঝুলছে। ভিতরে এখনো কিছু বংশধর বসবাস করে। অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে যে, দর্শনার্থীরা এদের ওপর আক্রমণ ও মারধর করেছে। তাই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখন আর কেউ ভিতরে ঢুকতে পারে না। নেমকহারামের দেউড়ি থেকে কাঠগোলা দেখে জগৎশেঠের প্রাসাদে হাজির হলাম। অনেক বড় প্রাসাদ ঘুরিয়ে গাইড মাটির নিচে জগৎশেঠের গোপন কক্ষে নিয়ে গেল। এই কক্ষে বসেই হতো প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। কাসিমবাজার কুঠির প্রধান উইলিয়াম ওয়াটস নাকি অনেক সময় শাড়ি আর বোরকা পরে গোপনে ছদ্মবেশে এই গোপন কক্ষে ষড়যন্ত্রে যোগ দিতেন। আলিবর্দী খাঁর সব কাজের সঙ্গী ছিলেন জগৎশেঠ। তার কারণেই ব্যাংক ও টাঁকশালসহ বিশাল ধন-সম্পত্তির মালিক হন তিনি। 

অথচ সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জন্য সব টাকার জোগান দেন জগৎশেঠ। এসব শুনতে শুনতে শওকতকে বললাম, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে কত জগৎশেঠ তৈরি হয়েছে তা কে জানে। জগৎশেঠের মতো একটা পরিবারই ছয়-সাতটা ব্যাংকের মালিক। শোনা যায়, তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তা শুধু নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেও টাকা ঢালছে। হাতিরঝিলে সিরাজউদ্দৌলা ও মতিঝিলে ঘসেটি বেগমের প্রাসাদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাই এবার আমাদের মূল গন্তব্যস্থল সিরাজউদ্দৌলার কবরস্থান। সমাধিস্থল খোসবাগে যাওয়ার জন্য আমাদের ভাগীরথী পার হয়ে পশ্চিম পাড়ে যেতে হবে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় গাইড গাড়িসহ উঠে নদীর মাঝখানে যেতেই মনের ভিতর ইতিহাসের ছবি ভেসে ওঠে। নির্মল আকাশের নিচে নদীর মাঝখানে দাঁড়িয়ে দূর স্রোতে আরেকটি পাল তোলা নৌকার দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকি ২৬৬ বছর আগে এমনই এক নৌকাযোগে এই ভাগীরথী দিয়ে পালানোর পথে ভগবানগোলার ঘাটে মীরজাফরের লেলিয়ে দেওয়া লোকের হাতে সিরাজউদ্দৌলা পরিবারসহ ধরা পড়েন এবং এক দিন পরই বন্দি অবস্থায় নিহত হন। এসব ভাবতে ভাবতেই ফেরি পাড়ে এসে যায়। ১৫ মিনিটেই খোসবাগে চলে আসি। 

জুতা খুলে সমাধিস্থলের ভিতরে প্রবেশ। প্রথমেই আলিবর্দী খাঁর কবর। তারপর আলিবর্দী খাঁর স্ত্রী ও সিরাজের মা আমেনা বেগমের কবর পাশাপাশি। গাইড একেক করে বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছে। তার পরের ভাগেই সিরাজউদ্দৌলার কবর। পাশেই শায়িত স্ত্রী লুৎফা বেগম। এখানে এসেই সব দর্শনার্থী একবার কিছুক্ষণের জন্য থমকে যান। বিষণ্ণ মনে প্রত্যেকেই যে যার মতো করে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। ভাগ্যহত নবাব সিরাজের বিদায়ের মধ্য দিয়ে শুধু বাংলা নয়, সারা ভারতবর্ষের ভাগ্য হারিয়ে যায়। পশ্চিমে মারাঠা ও আফগান দস্যু, ঘরের মধ্যে ঘসেটি বেগম, শওকত জঙ্গ, রাজ্য প্রশাসনে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ, উমিচাঁদ ও জগৎশেঠ। চারদিকে শুধুই ষড়যন্ত্রকারী শত্রু। এর সুযোগ নেয় কাসিমবাজার আর ফোর্ট উইলিয়ামে ঘাঁটি গাড়া ইংরেজ বণিক। শেষ পর্যন্ত এত ভার বইতে পারছিলেন না মাত্র ২৫ বছরের যুবক সিরাজ। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বিকাল পর্যন্ত যখন মীরজাফর যুদ্ধ না করে সৈন্যবাহিনী নিয়ে নীরবে দাঁড়িয়েছিলেন তখন সিরাজউদ্দৌলা মাথার পাগড়ি খুলে মীরজাফরের পায়ের কাছে রেখে শেষবারের মতো বলেছিলেন, জনাব মীরজাফর আলী খান আপনি শুধু আমার প্রধান সেনাপতি নন, পরম আত্মীয়ও বটে, আমি সিংহাসন চাই না, আপনি আমার মৃত দাদু আলিবর্দীর ইজ্জত রক্ষা করুন, বাংলার স্বাধীনতা রক্ষা করুন। কিন্তু মীরজাফরের হৃদয় তাতে নড়েনি। গাইডের আবেগঘন পাঞ্জল বর্ণনায় সবার মন ও হৃদয় ভারী হয়ে ওঠে। 

আনমনা হয়ে বাংলার শেষ নবাবের সমাধিতে আমাকে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শওকত এসে বলল, ভাই যেতে হবে চল। ভাগীরথী পার হয়ে পূর্বপাড়ে এসে দুপুরের জন্য কিছু খেয়ে নিলাম। কাসিমবাজার কুঠি দেখতে হবে। মুর্শিদাবাদ থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে। কুঠি খুঁজে পেতে একটু কষ্টই হলো। এটি এখন কান্তবাবুর রাজবাড়ি নামে পরিচিত। তখন কাসিমবাজার কুঠির দায়িত্বে থাকা মেজর উইলিয়াম ওয়াটস কোম্পানির দূত হিসেবে কাজ করায় রাজপ্রাসাদসহ সর্বত্রই ছিল তার অবাধ যাতায়াত। এ কুঠিতে বসেই সব ষড়যন্ত্র হয়। কুঠি দেখা শেষ করে আমাদের রিসোর্টে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল। রাতে খাবার খেয়ে তাড়াতাড়িই শুয়ে পড়লাম। রাষ্ট্র, রাজনীতি, ধনসম্পদ এবং তার সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ির রক্তাক্ত ঘটনার মর্মান্তিক ট্র্যাজেডির কথা মন থেকে কিছুতেই দূর করতে না পারায় ঘুম ভালো হলো না। 

মানুষ প্রজাতি জন্মের শুরু থেকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত আছে। পৃথিবীর অন্য কোনো প্রাণিকুলে নিজেদের মধ্যে এত দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই। সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণদের কারণেই অশান্তি বেশি হয়। খুব ভোরেই বিছানা থেকে উঠে পড়লাম। মুখ-হাত ধুয়ে রুমসংলগ্ন বারান্দায় গেলাম। মৃদু শীতের আবেশে পিঠে প্রাত সূর্যের রোদ, সামনে ভাগীরথী নদী। সুন্দর এক অনুভূতিতে ভাবি এত ট্র্যাজেডি এবং এত রক্তের সাক্ষী হয়েও অনন্তকাল ধরে নীরবে বয়ে চলেছে ভাগীরথী। এক দিনের জন্যও থেমে যায়নি। হেমন্তের এক বিকালে দেখা কাসিমবাজারের কুঠির কথা ভাবতেই ঢাকার গুলশান-বারিধারায় অধুনা কিছু কাসিমবাজারের কুঠির চেহারা মনে উঁকি দেয়। দুয়ের মধ্যে আড়াই শ বছরের ব্যবধান হলেও কী আশ্চর্য মিল। আর ঢাকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানের ভিতরে মীরজাফর, ইয়ার লতিফ, জগৎশেঠ ও উমিচাঁদের সংখ্যা এখন কত হবে তা ভাবতেই মনে শঙ্কা আসে। সিরাজ যেমন দাদু আলিবর্দী খাঁর রাজ্য রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন, তেমনি আড়াই শ বছর পর একাধিকবার ভয়ংকর হত্যাচেষ্টার হাত থেকে এখনো বেঁচে থাকা শেখ হাসিনা পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সৃষ্ট বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য লড়াই করে চলেছেন। পাশে বহু লোক দেখা গেলেও এ যুদ্ধে সিরাজের মতো তিনিও একা। কিন্তু পার্থক্য এই, শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আছে, ২০০৭-০৮ সালে তার একটা পরীক্ষা হয়ে গেছে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এ যুদ্ধে শেখ হাসিনাকে জিততে হবে। সুতরাং আজকের মোহনলাল-মীরমদনরা হুঁশিয়ার।

লেখক : রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭ ডলার চুরি, পুরো চাকরিজীবনের পেনশন বঞ্চিত হচ্ছেন বাসচালক
৭ ডলার চুরি, পুরো চাকরিজীবনের পেনশন বঞ্চিত হচ্ছেন বাসচালক

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক
সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা টানু ম‌ল্লিক গ্রেফতার
হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা টানু ম‌ল্লিক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
বগুড়ায় কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা
বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা
নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক
দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত
আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু
রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল
শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা
বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু
চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি
রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব
কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা
টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা
রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি
ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?
চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল
বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন
ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক
উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১
রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি
পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ
শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ
এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক
লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ
টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি
আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে
জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে

টেকনোলজি

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই
পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই

দেশগ্রাম

হারাতে বসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের স্মৃতিচিহ্ন
হারাতে বসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের স্মৃতিচিহ্ন

শনিবারের সকাল

ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

দেশগ্রাম