শিরোনাম
প্রকাশ: ১০:৫২, শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩ আপডেট:

মৃত্যুমুখেও বঙ্গবন্ধুর অন্যন্য সংগ্রাম

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া
অনলাইন ভার্সন
মৃত্যুমুখেও বঙ্গবন্ধুর অন্যন্য সংগ্রাম

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন সায়েরা খাতুন আর শেখ লুৎফর রহমানের ঘর আলো করে। গ্লুকোমা নিভিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল যে চোখের জ্যোতি সেই চোখেই জ্বলে বাঙালির মুক্তির স্ফুলিঙ্গ। বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত ভগ্নস্বাস্থ্য খোকা বাংলার কাদামাটি দাপিয়ে জীবন দিয়েছেন একটা স্বাধীন দেশের। সাধারণ বাঙালি ঘরে জন্ম নিয়ে বাংলার বন্ধু বাংলাকে রঙিন করে দিয়েছেন। এই মানুষটি জন্মে ছিলেন বলেই কয়েক হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বাঙালি জাতি শত শত বছরের পরাধীনতার গ্লানি ঘুচিয়ে একটি দেশ পেয়েছে। আমরা পেয়েছি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি দেশ। আমরা একটা স্বাধীন দেশের গর্বিত সার্বভৌম নাগরিক হতে পেরেছি। আজ জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী।

আমরা যখন ১৭ মার্চের এই শুভ দিনে জাতির পিতাকে স্মরণ করি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, তাঁর আদর্শ আবারও নতুন করে বুকে ধারণ করি; ঠিক তখনই মনে পড়ে যায় একদল ঘৃণ্য, পরজীবী মানসিকতার মানুষকে যারা দীর্ঘ একুশ বছর ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির নাম মুখে নিতে দেয়নি। কী লজ্জার! কী লজ্জার! অথচ যারা বাঙালির শত্রু, যারা বাংলাদেশের জন্ম রোধ করতে, বাংলাদেশ জন্মের প্রসব বেদনাকে দীর্ঘায়িত করতে আমাদের উপর নারকীয় গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ সংহার করেছে, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে, সেই পাকিস্তানিরাও একদিকে বন্দি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চেয়েছে, আরেক দিকে তাঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে, ভক্তি দেখিয়েছে। এমন এক পাকিস্তানির বর্ণনায় ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উন্নত শিরে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনন্য সংগ্রাম।

দীর্ঘ দুই যুগের নিপীড়ন, শোষণ; নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতির উপর বারবার আঘাত; রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চনা- মুক্তির সনদ ৬-দফা বাঙালিকে দিয়েছিল জেগে ওঠার, আদায় করে নেবার প্রেরণা। ১৯৭০-এর নির্বাচন তুঙ্গে তুলেছিল স্বাধীনতার দাবী, বৈধতা দিয়েছিল ধারাবাহিক মুক্তি সংগ্রামের। ৭ই মার্চ- মাহেন্দ্রক্ষণ। এই মাহেন্দ্রক্ষণটি সৃষ্টি করতে বাংলাদেশের স্থপতির সময় লেগেছিল দীর্ঘ ২৩টি বছর। রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবের ডাকে সেদিন গর্জে উঠেছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না”। তারপর ক’দিনের টালবাহানা শেষে ২৫ মার্চের ভয়াল কালো রাত। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরস্ত্র বাঙালির উপর। 

বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করলেন, স্বাধীনতার। তিনি জানতেন পাকিস্তানিরা তাঁকে বাঁচতে দেবে না। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করছিলেন ৩২ নম্বরের বাড়িতে। সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াননি। তিনি বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের উপর বিচ্ছিনতাবাদী আন্দোলনের কালিমা লেপে দেবার সুযোগ করে দিতে পারেন না। ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আমি জানতাম পাকিস্তানি সেনারা আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। আমি ঘর থেকে বের হলে আমার গাড়িতে গ্রেনেড মেরে আমাকে হত্যা করে তার দায় চাপানো হবে আমার বাঙালির উপর। সেই অজুহাতে তারা আমার মানুষের উপর নির্যাতন চালাবে, হত্যা করবে।”

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু বিবিসি’র সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি ভেবেছিলাম, আমাকে পেলে ওরা আমার হতভাগ্য মানুষদের হত্যা করবে না। আমি জানতাম, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। আমি তাদের বলেছিলাম, প্রতি ইঞ্চিতে তোমরা লড়াই করবে। আমি তাঁদের বলেছিলাম, হয়ত এটাই আমার শেষ নির্দেশ। কিন্তু মুক্তি অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই তাদের করতে হবে।” নিউ ইয়র্ক টাইমস ১৮ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে প্রকাশিত নিবন্ধে লিখেছে, “২৫ মার্চ রাত ১০:৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামে রেকর্ড করা বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে বার্তার মূল বক্তব্য ছিল, আমার যাই হোক না কেন পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলো। এখন থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন।”

নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও লিখেছে, রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে একদল সেনা সদস্য ৩২ নম্বরের বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে। কাছেই মর্টারের গোলার আওয়াজ হয়। সেনারা বাড়ির ভেতর গুলি করতে থাকে, একজন নিরাপত্তা কর্মী সিঁড়িতে তাঁদের পথ রোধ করে দাঁড়ালে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় বঙ্গবন্ধু বেড়িয়ে এসে গুলি বন্ধ করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, “গুলি করছ কেন? তোমরা যদি আমাকে হত্যা করতে চাও, আমি এখানে, আমাকে গুলি কর, কেন তোমরা আমার লোকদের গুলি করছ?” এক মেজর তখন তাঁকে জানালেন যে তারা তাঁকে গ্রেফতার করতে এসেছেন। এরপর তিনি পরিবারের সকলকে কাছে ডেকে প্রত্যেককে চুম্বন করে বললেন, “তারা আমাকে হত্যা করতে পারে, আমি তোমাদের আর কখনো নাও দেখতে পারি। কিন্তু আমার মানুষেরা একদিন মুক্ত হবে। আমার আত্মা তা দেখে শান্তি পাবে।”

সেই রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। রাত কাটে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে, বর্তমানে যা শহীদ আনোয়ার স্কুল ও কলেজ। এরপর অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে তাঁকে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয় করাচী। করাচী বিমানবন্দরে চেয়ারে বসা বঙ্গবন্ধুর ছবি পরদিন সকল পত্রিকায় ছাপা হয়। ২৬ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খান জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বলেন, “তিনি (শেখ মুজিব) এ দেশের ঐক্য ও সংহতির ওপর আঘাত হেনেছেন- এই অপরাধের শাস্তি তাঁকে পেতেই হবে”। ১ আগস্ট তৎকালীন পাকিস্তানের মিত্রদেশ ইরানের কায়হান ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকার রিপোর্টে বঙ্গবন্ধুর বিচার যে আসন্ন তাঁর ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়, “আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশদ্রোহের অভিযোগে শেখ মুজিবের বিচার শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এতে সর্বোচ্চ শাস্তি ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড।”  ৮ আগস্ট ব্রিটেনের সানডে টাইমসকে ইয়াহিয়া খান বলেন, “আজকের পর শেখ মুজিবের জীবনে কি হবে, সে বিষয়ে তিনি ওয়াদা করে কিছু বলতে পারেন না।’ ‘মুজিবকে কালই আমি গুলি করছি না’, শিরোনামে এ খবর ছাপায় পত্রিকাটি।

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর বন্দিদশার বিস্তারিত পাওয়া যায় গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে দ্যা ডেইলি পাকিস্তানের সাংবাদিক তাহির মাহমুদ চৌধুরীকে দেয়া রাজা আনার খানের সাক্ষাৎকারে। রাজা আনার খান ছিলেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের (সিআইডি) কর্মকর্তা। ৮৮ বছর বয়স্ক আনার খান বর্তমানে বসবাস করেন রাওয়ালপিন্ডিতে। ’৭১ সালে তাঁকে স্ব-শ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজিয়ে পাঠানো হয় মিয়ানওয়ালী জেলে। বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাঁর দিনলিপি প্রতিদিন ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে পাঠানো ছিল আনার খানের দ্বায়িত্ব। প্রথম দিন তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছে গিয়ে জানান যে তিনি তাঁর সাহায্যকারী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। জানতে চাইলে ‘রাজা খান’ নামে নিজের পরিচয় দিয়ে রাজা আনার খান বঙ্গবন্ধুকে জানান যে তিনি একটি মেয়েকে অপহরণ মামলায় তিন বছরের সাজা পেয়ে এই জেলে আছেন। সে কথা শুনে বিচক্ষণ বঙ্গবন্ধু আনার খানের উদ্দেশ্য বুঝে ফেলে বলেছিলেন, “এখানে আগেও একজন সাহায্যকারী একই মামলায় সাজা পেয়ে আমার দেখাশুনা করতে এসেছিলেন।” আনার খান পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালী, লায়ালপুর এবং শাহিওয়াল জেলে এবং পরবর্তীতে সিহালা রেস্ট হাউসে জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করতেন। আনার খান জানান, প্রথম দিকে বঙ্গবন্ধু তাঁকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখতেন, ধীরে ধীরে তাঁদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে আসে। তিনি আরও জানান যে বঙ্গবন্ধুকে সলিটারি কনফাইনমেন্টে (কন্ডেম সেলে) রাখা হত, সেখানে পত্রিকা এবং রেডিও দেয়া হত না, তিনি ছাড়া অন্য কোন বন্দির সঙ্গেও বঙ্গবন্ধুর দেখা হওয়ার বা কথা বলার সুযোগ ছিল না। এমনকি তাঁকে সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখতে দেয়া হত না। 

জেলে নেবার পর ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতাসহ ১২টি অভিযোগ দায়ের করে, যার মধ্যে ৬টির সাজা মৃত্যুদণ্ড। একটি ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অপরাধ। এই মামলা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আনার খানকে বলেছিলেন, “আমি একজন সাধারণ মানুষ আর এটা হচ্ছে সামরিক আদালত। সামরিক আদালতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিচার হতে পারে না।” তারপরেও কয়েক মাস পর মামলার কার্যক্রম শুরু হলে প্রথম দিকে বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তানের আইনজীবী এ কে ব্রোহীকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আনার খান জানান, “এ কে ব্রোহী যখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জেলখানায় দেখা করতে আসতেন তখন শুধু তাঁদের দুজনকে এক সঙ্গে আলোচনা করতে দেয়া হত না।” আনার খান নিজে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে কিছুটা দূরত্বে উপস্থিত থাকতেন। মামলার বিষয় ছাড়া অন্য কোন বিষয় এ কে ব্রোহীর সঙ্গে আলোচনার সুযোগ দেয়া হত না, আনার খান নিজে তা নিশ্চিত করতেন। 

মামলায় একজন জনৈক বাঙালি ব্রিগেডিয়ারকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থিত করা হয়। সেই ব্রিগেডিয়ারের আচরণ সন্দেহজনক ছিল। তাঁর সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আনার খানকে বলেছিলেন, “এর অবস্থা দেখে আমার কষ্ট হচ্ছে, তাঁকে কোথা থেকে ধরে আনা হয়েছে তা আমি জানি না। তাঁকে একজন ব্রিগেডিয়ারের মত দেখায় না।” মামলা শুরু হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন এটা একটা সাজানো নাটক। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, “এই নাটকের উদ্দেশ্য হচ্ছে যেকোন ভাবে একটা রায় নিয়ে আমাকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে দেয়া।”  তিনি মামলার কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করেন। সামরিক আদালতকে জানিয়ে দেন যে, তিনি এই মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন না, তাঁর আইনজীবীর প্রয়োজন নেই। আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বঙ্গবন্ধু বিচারকের দিকে পিঠ দিয়ে বসে থাকতেন। ৪ ডিসেম্বর মামলার বিচার কার্য শেষ হয়। ইয়াহিয়া খান তড়িঘড়ি করে মামলার রায় দিতে নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধু নিউ ইয়র্ক টাইমসকে আরও বলেছেন, “ভূট্টো তাঁকে সিহালা রেস্ট হাউসে জানিয়েছেন যে ইয়াহিয়া খান যখন ভুট্টোর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তখন ইয়াহিয়া খান ভুট্টোকে বলেছেন, “আমার দুঃখ এই যে আমি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারলাম না। আপনি পূর্ববর্তী তারিখে কাগজপত্র তৈরি করে শেখ মুজিবকে ফাঁসি দিয়ে দেবেন যাতে সবাই জানতে পারে যে আমিই তাঁর বিচার করেছি।” 

ভুট্টো ইয়াহিয়া খানের অনুরোধ রাখতে পারেননি। মিত্রবাহিনীর অংশ গ্রহণের ফলে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হয়ে যায়, হানাদার পাকিস্তানিবাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং পাকিস্তানের প্রায় ৯০ হাজার সেনা বাংলাদেশে বন্দি হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছিল, “এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলে ৯০ হাজার পাকিস্তানির জীবন বিপন্ন হবে, এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে সকল সৈন্যকে হত্যা করা হতে পারে যার প্রতিক্রিয়া পড়বে পশ্চিম পাকিস্তানের (পাঞ্জাব এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে যেখান থেকে বেশিরভাগ সেনা বাংলাদেশে গণহত্যায় অংশ নিয়েছিল) রাজনীতিতে অর্থাৎ সদ্য দ্বায়িত্ব নেয়া রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসনের প্রধান ভুট্টোর উপর। ভুট্টো ইয়াহিয়া খানের অনুরোধ রাখতে এত বড় রাজনৈতিক ঝুঁকি নিতে চায়নি।”

আনার খান দ্যা ডেইলি পাকিস্তানকে জানায়, ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাবার একদিন আগে মিয়ানওয়ালী জেলে গুজব ছড়িয়ে পরে যে পূর্ব পাকিস্তানে মিয়ানওয়ালীর সন্তান জেনারেল টিক্কা খানকে মেরে ফেলা হয়েছে। এতে জেলের ভেতরে আসামীদের মধ্যে এবং নিচের সারির জেল রক্ষীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে টিক্কা খান হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায়; তৈরি হয় ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রকারীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর সেলে আসার জন্য একটা সিঁড়ি লাগানো হয়েছিল। ষড়যন্ত্রের খরব জেল সুপারের কাছে পৌঁছালে তিনি আনার খানের সহায়তায় শেষ রাতে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর সেল থেকে বের করে  মিয়ানওয়ালীর ডিএসপি হেডকোয়ার্টার-এর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে দুই দিন থাকার পর তাঁকে Chashma Barrage আবাসিক কলোনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রায় এক সপ্তাহ রাখা হয়। এখান থেকে হেলিকপ্টারে করে তাঁকে সিহালা রেস্ট হাউসে নিয়ে যাওয়া হয় ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে। ভূট্টোর সঙ্গে আলোচনার সময় আনার খান বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন পর্দার আড়াল থেকে। বঙ্গবন্ধু এবং ভুট্টো ছাড়া তিনিই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি এই ঐতিহাসিক আলোচনার সাক্ষ্য ছিলেন। এখানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আনার খানের শেষ দেখা হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁকে নিজের ধূমপানের পাইপ এবং কারাগারে রাখা দস্তয়েভস্কির লেখা বিখ্যাত বই, ওয়ার অ্যান্ড পানিশমেন্ট উপহার দিয়েছিলেন। বইটির উপর তিনি নিজ হাতে লিখে দিয়েছিলেন, "In the long run lies and truth triumph, untruth prevails, but in the end, truth prevails."  বইটি এখনো তাঁর সংগ্রহে রয়েছে। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বলেছিলেন, “আমার সঙ্গে ঢাকায় চলো। তুমি সেখানে আমার এসপি হবে।” 

নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, সিহালা রেস্ট হাউসে ভুট্টোর সঙ্গে দেখা হলে বঙ্গবন্ধু তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি মুক্ত কি-না? তিনি বলেছেন, যদি আমি মুক্ত হই তবে আমাকে যেতে দাও। যদি না হই, আমি কথা বলতে পারি না। ভুট্টো তাঁকে পাকিস্তানের দুই অংশ এখনো আইন এবং প্রথা অনুযায়ী এক আছে বলে জানান। বঙ্গবন্ধু প্রতি উত্তরে বলেছিলেন, তা হলে তুমি নও, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আমি। ৭ জানুয়ারি ভুট্টো তৃতীয় এবং শেষ বারের মত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এলে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, তুমি আমাকে যেতে দাও, দেরি করার আর কোন সুযোগ নেই। তুমি আমাকে হত্যা কর অথবা যেতে দাও। ভুট্টো চলে যেতে যেতে বঙ্গবন্ধুকে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক রাখার অনুরোধ করেছিলেন। এর দু’দিন পর পিআই-এর একটি বিশেষ ফ্লাইটে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান থেকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাইপ্রাস, ওমান, দিল্লি হয়ে তিনি ১০ জানুয়ারি স্বাধীন স্বদেশে ফেরেন। বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিপূর্ণতা পায়। আজ বাঙালি ইতিহাসের নির্মাতা সেই মহামানবের জন্মদিনে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখক : দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭ ডলার চুরি, পুরো চাকরিজীবনের পেনশন বঞ্চিত হচ্ছেন বাসচালক
৭ ডলার চুরি, পুরো চাকরিজীবনের পেনশন বঞ্চিত হচ্ছেন বাসচালক

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক
সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা টানু ম‌ল্লিক গ্রেফতার
হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা টানু ম‌ল্লিক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
বগুড়ায় কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা
বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা
নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক
দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত
আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু
রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল
শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা
বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু
চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি
রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব
কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা
টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা
রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি
ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?
চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল
বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন
ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক
উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১
রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি
পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ
শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ
এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক
লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ
টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি
আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে
জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে

টেকনোলজি

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই
পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই

দেশগ্রাম

হারাতে বসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের স্মৃতিচিহ্ন
হারাতে বসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের স্মৃতিচিহ্ন

শনিবারের সকাল

ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

দেশগ্রাম