শিরোনাম
প্রকাশ: ১৭:৫৯, বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ আপডেট:

“স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হচ্ছে!”

সোহেল সানি
অনলাইন ভার্সন
“স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হচ্ছে!”

ফরাসি বিপ্লবোত্তর চরম অরাজকতার মুখে মনীষী মাদাম রোনাল্ড (Madam Ronald) আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, 'Liberty, what crimes are being committed in thy name!'-  স্বাধীনতা, তোমার নামে কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হচ্ছে! 

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশকে ‘সোনারবাংলা’ বানাতে চাইলেন জাতির পিতা। তাঁর বাঙালি সন্তানদের এজন্য ‘সোনার মানুষ’ হতে বললেন। কিন্তু পিতার ডাকে শামিল হওয়া নয় বরং বিভক্ত হলো, উল্টো তাঁকেই অস্ত্রবলে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে-ময়দানে ছড়িয়ে পড়ল। সুযোগ নিল এর সঙ্গে স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাও। কত অপরাধই না অনুষ্ঠিত হতে থাকল। বাংলাদেশের নামই স্বীকার করলেন না, কেউ বললেন, ‘মুসলিম বাংলা’, কেউ বললেন ‘পূর্ববাংলা’, কেউবা ‘স্বাধীন বঙ্গভূমি’। 
অবাধ সাংবিধানিক স্বাধীনতার কুফল হাড়েহাড়ে টের পেল জাতি। জাতির পিতা যখন কঠোর হলেন, আর তখনই তাঁকে প্রায় সপরিবারে জীবন দিতে হলো। সেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পার করেছি। কিন্তু রোধ হয়নি এতটুকু অবক্ষয়। বরং চারদিকেই চরম আকারধারণ করেছে। সমাজজীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে অবক্ষয় ভয়াবহরূপে নেই। পুরানো সব মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এখন নিশ্চিহ্ন। নেতাদের মুখে স্বাধীনতার মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লাখো কোটি বার উচ্চারিত হলেও বঙ্গবন্ধুর সোনার মানুষ কই? এটা ঠিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বদৌলতে একধরনের সরকারি উন্নয়নের চাঞ্চল্য সর্বত্র দেখা যায় সত্য কিন্তু তাকে প্রাণচাঞ্চল্য নামে অভিহিত করা যায় না। এ যেন আমাদের মরণের আগে হাত-পা ছোঁড়া। কারণ বস্তুগত উন্নয়ন হলেও উন্নয়ন হয়নি রাজনীতির, দৃশ্যমান নয়, ভবিষ্যত নেতৃত্ব। বিকাশ হয়নি বিকল্প রাজনৈতিক নেতৃত্বের। যিনি রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের সম্ভাব্য দাবিদার হতে পারেন। বরং দিন যতো যাচ্ছে শঙ্কা ততো ঘনীভূত হচ্ছে। আমরা সাংবাদিক সমাজ কেমন আছি? গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ ও ধারালো হাতিয়ার যে সংবাদপত্র, সেই সংবাদপত্র অতীতেও রেজিমেন্টড হয়েছে। অর্থাৎ বাক-স্বাধীনতা অতীতেও চাটুকারিতায় নিয়োজিত হয়েছে। কিন্তু এখানকার মতো নয়। এখন তো সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি। রাজধানীর দেয়ালগুলো আগে ছিল রাজনৈতিক দলের চিকা ভরা আর এখন নামসর্বস্ব সংবাদপত্রগুলোতে ঠাসা। প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতার মান নিয়েও। প্রশ্ন সরকারের আচার-আচরণ নিয়েও। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা। আসলে আমাদের দেশের সমস্যার ও জনগণের দুর্দশার অন্ত নেই। কিন্তু বেশিরভাগই কৃত্রিম ও আমাদের নিজ হাতে তৈরি। শাসক-পরিচালকদের ভুল-ভ্রান্তির জন্য এসব ঘটে। আমাদের জাতীয় জীবনের দুটা প্রধান দিক রাজনীতি ও সাংবাদিকতা। আজ দেশে-সমাজে, রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, সাহিত্যে ও সাংবাদিকতায়, বিদ্যালয়ে-মন্ত্রণালয়ে যা যা ঘটছে, মনে হয় তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, আবুল মনসুর আহমেদরা বেঁচে থাকলে এসব ঘটতে পারত না। এই দুটা দিকেই তারা জীবদ্দশায় ছিলেন অনন্য ও অতুলনীয়। মৃত্যুর পরেও তাদের স্থলবর্তী জন্মেনি। বিশেষ করে মানিক মিয়া সাংবাদিকতায় ছিলেন মিশনারি আর রাজনীতিতে স্টেটসম্যান। এটাই ছিল তার প্রভাবের গূঢ়তত্ত্ব। 
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধুর মতো মানিক মিয়া, আবুল মনসুর আহমেদরা আত্মস্থ করেছিলেন দেশপ্রেম, রাজনৈতিক আদর্শবাদ, দুর্জয় সাহস, অমিত তেজ, বেপরোয়া ত্যাগ, স্বচ্ছ চিন্তা, সবল যুক্তি, কুশল-প্রকাশভঙ্গী এবং গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতা, এসবই। সামরিক স্বৈরাচারের সামনে তারা উন্নত মস্তকে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকারের কথা বলতে বুকের পাটা খুব কম লোকই দেখিয়েছেন। “সংবাদপত্র শিল্প আর ১০টা সাধারণ শিল্পের মতো নয়, পণ্য তৈরি করিলেই বাজারে বিক্রয় হইয়া যায়; কিন্তু সংবাদপত্রকে জনমতের বাহন হইয়া বাঁচিয়া থাকিতে হয়।” এ উক্তিটি সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার। তার ভাষায়, “দেশে দেশে যুগে যুগে সংবাদপত্রের উপর অসহিষ্ণু শাসকবর্গ হামলা করিয়াছেন এবং শেষ পর্যন্ত সংবাদপত্রই জয়যুক্ত হয়েছে। যাঁরা ইতিহাসের অমোঘ শিক্ষা উপেক্ষা করিয়া সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে মধ্যযুগীয় আচরণে লিপ্ত হইয়াছেন, তাহাদের প্রতি আমার অনুকম্পা প্রকাশ করিতে হয়।” 
সত্যিই এই পুরুষসিংহ মানিক মিয়া শাসকদের অনুকম্পাই প্রদর্শন করতেন। তা নাহলে যে অর্ডিনান্সের খবরও সংবাদপত্রে ছাপানো নিষিদ্ধ ছিল, সেই তার বিরুদ্ধেই ওই ভাষায় ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ বা মুসাফির নামে কলাম কি করে লিখতেন?
এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে মানিক মিয়া থাকলে তিনি যুক্তির খড়াগাঘাতে ছিন্ন ভিন্ন করে দিতে পারতেন মিথ্যাকে। আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য- সহ সভাপতি ও পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবুল মনসুর আহমদের ভাষায়, “আমরা একবার সকলে মিলে জোর করে মানিক মিয়াকে আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির মেম্বর করেছিলাম। বছর না ঘুরতেই তিনি বললেন, ভেতরের চেয়ে বাইরে থেকেই আওয়ামী লীগের বেশি খেদমত করতে পারবেন। করেছেনও তিনি। আমরণ আওয়ামী লীগের এমন খেদমত যার তুলনা হয় না। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, গোটা জাতি, সারাদেশ, শুধু পূর্ব পাকিস্তান নয়, গোটা পাকিস্তান তার কাছে ঋণী। তার অবদান এতো মূল্যবান ছিল যে, ইচ্ছা করলেই মন্ত্রী বা আওয়ামী লীগের পদাধিকারী হতে পারতেন। কিন্তু সেদিকে তার নজর ছিল না।”
তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মতো আবুল মনসুর আহমদও বেঁচে নেই। বেঁচে আছে তাদের কথা। আবুল মনসুর আহমেদের ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ এবং ‘শেরেবাংলা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক দুটো গ্রন্থ পঁচাত্তরত্তোর প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয়। যেখানেই সাংবাদিকতার নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ক্ষুন্ন, সেখানেই তারা আরও বেশি স্মরণীয়। ঠিক সেরূপ, যেখানে গণতন্ত্রের স্বার্থ বিপন্ন, জনগণের স্বার্থ বিপর্যস্ত, সে বিপদ ও বিপর্যয় শাসকদের ইচ্ছাতেই হোক আর অনিচ্ছাতেই হোক, তাদের অভাব সেখানেই তীব্রভাবে অনুভূত। গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ ও ধারালো হাতিয়ার যে সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম, সেই সত্যকে স্বীকার করে অতীতে বহু সাংবাদিককে সরকার মুক্তি দিয়েছে বা দিতে বাধ্য হয়েছে। 
‘আমাদের বাঁচার দাবি’ ছয়-দফার সমর্থনে ১৯৬৬ সালের ৭ জুনের বিপ্লবে মানিক মিয়া ও তার ইত্তেফাকের মতো সার্বিক ত্যাগ স্বীকার খুব কম নেতা ও সংবাদপত্রকেই করতে হয়েছে। মানিক মিয়া ও ইত্তেফাকের ওপর আইয়ুব খানের জুলুমের নজির দুনিয়ার দ্বিতীয়টি নেই। আবুল মনসুর আহমদের ভাষায় “বস্তুত জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সাংবাদিকদের ত্যাগ ব্যাপকতায়, সামগ্রিকতায় ও মহিমা-মর্যাদা অপরিসীম। আমরা যারা সমানে জেল-জুলুম সয়েছি, তারা শুধু শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনে ভুগেছি। মানিক মিয়ার মতো সম্পত্তি ধ্বংস -বাজেয়াপ্ত হয়নি আর কোনো সাংবাদিক বা সম্পাদকের জীবনে। এতসব করেও ডিক্টেটররা মানিক মিয়াকে আদর্শচ্যুত করতে পারেনি।
যে গণ-দাবির সমর্থন করার অপরাধে ইত্তেফাক শাসকদের শ্যেনদৃষ্টির শিকার হয়েছিল, মাত্র তিন বছরেরই ছাত্রজনতার সংগ্রামের সামনে আইয়ুব শাহীর পরাজয় ঘটে। ষড়যন্ত্রমূলক কুখ্যাত আগরতলা মামলারও অবসান ঘটে। যা ছিল জঙ্গি ডিক্টেটর আইয়ুবের কুখ্যাত ‘সিভিল ওয়ার’ ও ‘আর্গুমেন্ট অব ওয়েপনের’ দর্প ও দম্ভের প্রথম নমুনা। রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমেদ তাই লিখেছেন, “জালিমশাহীর নমরুদী আক্রোশে যে বঙ্গবন্ধুকে পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে নির্যাতনের অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল সে আগুনের লক্-লকা জিভ ও উৎকীর্ণ স্ফুলিঙ্গ ইব্রাহিম নবীর কুসুমস্তবকের সুষমা ও সৌরভ নিয়ে ‘ইত্তেফাকের’ ফুলাসন ও পুষ্পমাল্যে রূপান্তরিত হয়েছিল। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার শক্তিধর ডিফেন্ডার হতে হলে পূর্বসূরি মানিক মিয়াদের জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণের বিকল্প নেই। গণতন্ত্রই মানবাধিকারের সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকবজ। সীমাহীন শক্তির অধিকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সেদেশের সংবাদপত্রগুলো কিভাবে লড়াই করে গণতন্ত্রের মর্যাদা রক্ষা করছেন, এটা দেখে আমাদের সাংবাদিকদের সঙ্কল্পবদ্ধ হতে হবে।”
রাষ্ট্র ও সংবাদমাধ্যম উভয়ের সমন্বয়ের প্রয়োজন, উভয়কে হাত ধরাধরি করে চলতে হয়। যদি না চলে, অথবা উভয়ের গতি হয় অবক্ষয়ের দিকে, তা হলে তা রোধ করার পথ নির্দেশের দায়িত্ব কার? নিঃসন্দেহে সাহিত্য আর শিল্পের ভূমিকা দীর্ঘমেয়াদি, তার আবেদন ধীরসঞ্চারী, তার ফল দেখা দেয় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর। তাৎক্ষণিকের প্রয়োজন মিটাতে সংবাদমাধ্যম অদ্বিতীয়। সমাজের প্রতিদিনের চেহারাটা সংবাদপত্রেই প্রতিফলিত হয়। এ প্রায় দর্পণের কাজ করে - চেহারার কালো দাগটা সহজেই নজর কাড়ে, তখন তা মুছে ফেলার জন্য হাতটা ঊর্ধ্বাভিসারী না হয়ে পারে না। এ প্রায় জৈব তাড়নার মতো কাজ করে। জাতীয় জীবনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রতিভাবান, সুযোগ্য, দক্ষ ও কুশলী সাংবাদিকের অভাব নেই। অভাব সাহসী ও নির্ভীক সাংবাদিকের। যারা সমাজ ও রাষ্ট্র উভয়কে বিচার করতে আর পথ দেখাতে সক্ষম। সমাজ, রাষ্ট্র আর বৃহত্তর জনগণের স্বার্থ যেখানে জড়িত- তা এমন বৃহৎ ও মহৎ বস্তু যে, তার জন্য নিবেদিত সাংবাদিকরা যে কোনো নির্যাতনের মোকাবিলা করতে ভীত হতে পারেন না। স্বাধীনতার আগে যে ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন সাংবাদিকরা হতেন, সে রকম পরিস্থিতি অবসান ঘটেছে। তবে ধরন-ধারণ পরিবর্তন ঘটলেও অন্যরূপ, অন্য আকার নির্যাতন যে চলবে না বা এখনো চলছে না সে কথা বলা যায় না। সরকার যারা চালান তারাও দোষে-গুণে মানুষ, তারাও যে মাঝেমধ্যে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছেন না বা ভ্রান্ত নীতির অনুসরণ করেন না তা নয়। সাংবাদিকদের ফাঁসাতে সরকারকে কিভাবে আমলাতন্ত্র অসহিষ্ণু পথ বাতলে দিচ্ছিল, তা আমরা কিছু ঘটনায় প্রত্যক্ষ করেছি। দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের বিপদের ঝুঁকি নিয়ে হলেও সে সবের প্রতিবাদ জানাতে হবে, সরকারের ভুল-ভ্রান্তিকেও দেখিয়ে দিতে হবে আঙ্গুল দিয়ে। আশার কথা হচ্ছে, আমরা সাংবাদিকরা রাজনৈতিকায়ণের আওতাধীন আদর্শগত বৈপরীত্যের বেড়াজালে বিভক্ত হলেও সাম্প্রতিক সাংবাদিকদের ঐকমত্যে একটা আশার রেখাপাত দেখতে পাচ্ছি। 
বিপদের ঝুঁকি নিয়েই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হচ্ছে। এটা না করা হলে শুধু যে সাংবাদিক হিসাবে কর্তব্যচ্যুতি ঘটে তা নয়, পেশার প্রতিও করা হয় বিশ্বাসঘাতকতা। দেশের মানুষকে সর্বপ্রকারে সচেতন রাখা আর সচেতন করে তোলাই সংবাদমাধ্যমের এক বড় দায়িত্ব। এ দায়িত্বপালন রাজনীতিবিদদের দ্বারা হওয়ার নয়। কারণ তারা সবসময় সবকিছুই দলীয় চশমা দিয়ে দেখেন। তাই তাদের পক্ষে পুরোপুরি নিরপেক্ষ হওয়া বা যথাযথভাবে সবকিছু দেখা এবং তার মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের ঘটনাবলী সাধারণভাবে একটি প্রগতিপ্রবণ নির্দিষ্ট দিগন্তমুখী থাকার কারণে এবং মুক্তিসংগ্রামের ভাবাদর্শগত ও বস্তুগত উপাদানগুলো অনিবার্যভাবে স্বাধীন সত্তার দিকে বিন্যস্ত হওয়ার ফলেই বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। দ্বন্দ্বাত্মক বস্তু গতিধারার মাঝে মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে বিপ্লবাত্মক উপাদানের মধ্যেই। জট পাকিয়ে দিয়েছে সংগ্রামী ব্যুহ রচনার ক্ষেত্রে। সাময়িক প্রেক্ষিত নিয়েই এসেছে অভিঘাতের তাগিদ। পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্র ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে জুজু তৈরি করে তা সংক্রমিত হয়েছিল এ দেশের মানুষের মনেও। নিষেধের বেড়াজাল ছিল চারদিকে। মাঝে মাঝে এ ভয় আর বেড়াজাল ভাঙার জন্য দরকার পড়ত নির্ভীক মানুষের। একজন সাংবাদিকের অবদান তুচ্ছ নয়। তিনি দার্শনিক নন, সমাজকে নতুন দর্শন দান করেন না বটে, কিন্তু চলতি সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের যা কিছু ক্লেদ, যা কিছু অনভিপ্রেত আবর্জনা, সেগুলো রাত্রির আঁধার হতে দিবালোকে তুলে ধরেন। চলতি সমাজকে তিনি আঁধার ছেড়ে আলোর দিকে যেতে অনুপ্রাণিত করেন। আঁধারের দিকটা দেখিয়ে দেওয়া মানে আলোর প্রতি আকৃষ্ট করা। এটাকেই বলে সমাজ চেতনা। 
বাংলাদেশের পরিস্থিতি লক্ষ্য করে সেই মনীষীর উক্তির সঙ্গে সঙ্গে আমার মানসপটে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার প্রতিচ্ছবি ভেসে ওঠে। দুঃসাহসিক সত্য ভাষণে তার অবদান আজও অনতিক্রম্য রয়ে গেছে। তার সাংবাদিকতা অপক্ষপাত ছিল তা বলব না, তবে নিজের আদর্শ আর বিশ্বাসে তিনি ছিলেন অনঢ়। বিপদের বহু ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দোর্দণ্ডপ্রতাপ সরকারের কাছেও কোনোদিন নত করেননি মাথা। বিপদের মুখে তার কলম যেন আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠতো। হয়ে ওঠতেন অধিকতর দুঃসাহসী। আমাদের সাংবাদিকতার বর্তমান চেহারা দেখলে প্রশ্নে জাগে আমরা সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার অতীত ঐতিহ্য অনুসরণ করছি কিনা? আমাদের গণমাধ্যমগুলো ‘জলো’ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজ রাষ্ট্র কি এখন সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে পৌঁছে গেছে? নিশ্চয়ই না। আমরা সমালোচনা করব গঠনমূলক সমালোচনা। করব নিজেদেরও আত্মসমালোচনা, সত্যকেই ভালোবাসব, মিথ্যাকে করব পরিহার। শেষে আবারও দৃঢ়কন্ঠে উচ্চারণ করব যে, দেশে দেশে যুগে যুগে সংবাদপত্রের উপর অসহিষ্ণু শাসকবর্গ হামলা করিয়াছেন এবং শেষ পর্যন্ত সংবাদপত্রই জয়যুক্ত হয়েছে। 

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস গবেষক।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
হঠাৎ করেই কি একটি এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়?
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
এলডিসি উত্তরণ ও পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এখন আমাদের বড় লক্ষ্য
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
বেসরকারি বিনিয়োগই ‘ফ্যাক্টর’
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে: জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
বাংলা নববর্ষ: বাঙালি জাতির সংস্কৃতির ঐক্য
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
চাপে চ্যাপ্টা অর্থনীতির রিয়াল হিরো ব্যবসায়ীরা
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
উন্নতির নানা রূপ ও ভিতরের কারণ
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
স্থায়ীভাবে শুল্ক প্রত্যাহারে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
আমেরিকার পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ এপ্রিল)

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা
রেললাইনে আটকে গেল বাস, আতঙ্কে জানালা দিয়ে লাফিয়ে নামলেন যাত্রীরা

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭ ডলার চুরি, পুরো চাকরিজীবনের পেনশন বঞ্চিত হচ্ছেন বাসচালক
৭ ডলার চুরি, পুরো চাকরিজীবনের পেনশন বঞ্চিত হচ্ছেন বাসচালক

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক
সুন্দরবনের দুই বনদস্যু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন
ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির অসম বিভাজন

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা টানু ম‌ল্লিক গ্রেফতার
হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা টানু ম‌ল্লিক গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
বগুড়ায় কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ
কক্সবাজার মেরিনড্রাইভে ২৮ মোটরসাইকেল জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা
পুতিনের এক মাসের আদেশের মেয়াদ শেষ, ফের তীব্র আক্রমণের আশঙ্কা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা
বিশ্বের অদৃশ্য হাইড্রোজেন মেঘ উন্মোচন করলেন বিজ্ঞানীরা

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা
নদীতে মৎস্য দপ্তরের অভিযানে হামলার ঘটনায় মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
মহাখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক
দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে গেল বাসের, তবুও থামলেন না চালক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
শনিবার থেকে গুলশান এলাকায় বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত
আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেনের অভাবে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা
দেশপ্রেম ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু
রিকশাসহ নালায় পড়ে তলিয়ে গেল শিশু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল
শরীয়তপুরে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা
বরিশালে যুবককে হত্যার ঘটনায় মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক
ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, ৮ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জনবল বাড়াবে সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু
চুরির অপবাদে শরীরে আগুন দেওয়া যুবকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক
উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা খুনের মামলায় গ্রেফতার যুবক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
নবীনগরে ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি
রৌমারীতে বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় স্বীকৃতির দাবি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব
কুয়াকাটায় জলকেলি উৎসব

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও
সন্তানের বিশাল ‘বাহিনী’ বানাতে চান ইলন মাস্ক, শুক্রাণু পাঠালেন জাপানি নারীকেও

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা
টিপকাণ্ড : সুবর্ণা মুস্তাফা-সাজু খাদেমসহ ১৮ জনের নামে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা
রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন ক্যাটরিনা

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি
ভারতে মুসলিমদের ‘নিরাপত্তা’ নিশ্চিতে ঢাকার আহ্বানে যা বলল দিল্লি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা
ফু-ওয়াংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?
চীনের শুল্ক নিয়ে নমনীয় ট্রাম্প, আলোচনায় সমাধান?

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল
বাণিজ্য যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে দুর্বল ডলার, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এখন রুশ রুবল

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক
ইয়েমেনের তেল বন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ৩৮, আহত শতাধিক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন
ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি ক্লিনটন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক
উড়ে গেল বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করলেন শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার
ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১
রাজধানীতে চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই ঘটনায় ভিডিও দেখে গ্রেফতার ১

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর রাস্তায় হাজারো মানুষ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের
ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
যে কারণে কয়েক দশক পর ইরানে সফরে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি
ঝটিকা মিছিল করে আবার ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা চলছে : এ্যানি

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি
পর্যাপ্ত সংস্কার ও হাসিনার বিচারের পর নির্বাচন চান জামায়াত সেক্রেটারি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ
শাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তিসহ নানা অভিযোগ

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট
সেনা দিবসে যে বার্তা দিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ
এক মাসে উদ্ধার ২৫১ মোবাইল ফোন মালিকদের ফিরিয়ে দিল পুলিশ

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ এপ্রিল)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেস সচিব

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিদেশে পাঠানো কর্মীদের ৮০ ভাগ সমস্যা দেশেই তৈরি হয় : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক
লন্ডনে ৫০০ বছরের প্রাচীন ওক গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ যোগ করা নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ
টঙ্গীতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইবোনের রক্তাক্ত মরদেহ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের গণমিছিল

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি
আল কায়েদার হুমকির পর পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন প্রিন্স হ্যারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ম্যানইউর মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তন

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের
আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি
সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান
জুলাইয়ে বগুড়া থেকে উড়বে বিমান

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ
ডেঙ্গু ঠেকাতে আধুনিক ফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন কবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে
ঢাকাই সিনেমার প্রযোজকরা শুভংকরের ফাঁকিতে

শোবিজ

স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি
স্বস্তির বাজারে ফের অস্বস্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৫০০ বছরের কালীমন্দির
৫০০ বছরের কালীমন্দির

পেছনের পৃষ্ঠা

আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ
আজীবন সম্মাননায় শবনম-জাভেদ

শোবিজ

রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত
রাশিয়ার যুদ্ধে গিয়ে আশুগঞ্জের যুবক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে
হিন্দুত্ববাদী সরকার ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ
সংকট-অবিশ্বাস বাড়ছে কমছে সমাধানের পথ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন
ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য
সাকার ফিশ থেকে প্রাণীখাদ্য

শনিবারের সকাল

এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়
এ সংবিধানের অধীন সরকার বৈধ নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে
সংকটেও পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঋতাভরীর বাগদান
ঋতাভরীর বাগদান

শোবিজ

বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত
বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ দাবি করেছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান
সোনালি দিনের চলচ্চিত্র নির্মাতা - ইবনে মিজান

শোবিজ

নাবিলা এবার বনলতা সেন
নাবিলা এবার বনলতা সেন

শোবিজ

এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এলডিপিতে আজ যোগ দিচ্ছেন চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

নগর জীবন

জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে
জিমেইলের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে

টেকনোলজি

বাপ্পার মাগুরার ফুল
বাপ্পার মাগুরার ফুল

শোবিজ

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গাদের নিয়ে উভয়সংকটে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই
কৃষিজমিতে জৈব উপাদান কমছেই

নগর জীবন

পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই
পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই

দেশগ্রাম

হারাতে বসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের স্মৃতিচিহ্ন
হারাতে বসেছে রাজা লক্ষ্মণ সেনের স্মৃতিচিহ্ন

শনিবারের সকাল

ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল
ভাঙা কালভার্টে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

দেশগ্রাম