এবার অজ্ঞাতসংখ্যক কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)। সংস্থাটির ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় কর্মী ছাঁটাইয়ের অন্যতম ঘটনা দাবি করছেন সংস্থাটির সাবেক কর্মকর্তারা। ছাঁটাই হতে যাওয়া ওই কর্মীরা সংস্থাটির রিক্রুটিং ও ডাইভারসিটি নিয়ে কাজ করে থাকেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) কর্মীদের আট মাসের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ পদত্যাগের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মী সংকোচনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থায় সম্ভাব্য গণছাঁটাইয়ের ওই উদ্যোগ তার এ আদেশেরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক ছুটিতে থাকা কর্মকর্তাদের গত শুক্রবার ডাকতে শুরু করে সিআইএ। এরপর তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়, নয়তো বরখাস্তের শিকার হতে হবে বলে জানায়। তবে দ্রুতই এ পদক্ষেপ স্থগিত করেন একটি ফেডারেল আদালত।
কর্মীদের এভাবে গণহারে ছাঁটাইয়ের সিআইএর উদ্যোগের ওপর সাময়িক স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী সোমবার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ভার্জিনিয়ার একজন বিচারকের শুনানি করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসা ট্রাম্প আমলাতন্ত্র ছেঁটে ফেলা ও অনুগতদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের লক্ষ্যে এরই মধ্যে হাজারো সরকারি কর্মীকে হয় বরখাস্ত নয়তো দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিআইএ কর্মীদেরও ‘বাইআউট’ বা আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এর আগে, বিষয়টি নিয়ে এক প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য দিয়েছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। গণমাধ্যমটি জানিয়েছিল, ট্রাম্প ও তার মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে সিআইএর কর্মকর্তাদের ‘ডিপ স্টেটের’ (গোপন শক্তি) অংশ হিসেবে দেখে আসছেন এবং মনে করেন তারা ট্রাম্পকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ