মহামারী করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও কমছে। তবে এর মধ্যেও মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাতে বেড়েছে ব্যক্তিগত বিমানে ভ্রমণের হার। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক দৈনিক দ্য ন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে তারা বলেছে, করোনার মধ্যে সামর্থ্যবান ব্যক্তিরা ব্যক্তিগত বিমানে ভ্রমণ শুরু করেছিলেন। করোনার ভয়াবহতা কমে এলেও সে ধারা এখনো অব্যাহত আছে। বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেও তারা ব্যক্তিগত বিমানে চলাচলেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। এছাড়া দুবাই এক্সপো ও বিশ্বকাপের মতো মেগা ইভেন্টের কারণে ব্যক্তিগত বিমানে ভ্রমণের হার বেড়েছে।
মিডল ইস্ট অ্যান্ড নর্থ আফ্রিকা বিজনেস এভিয়েশন অ্যাসোসিয়েশন মেবার তথ্য অনুসারে, চলতি বছর ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ আগের বছরের তুলনায় ২৫-২৭ শতাংশ বেড়েছে। মেবার নির্বাহী চেয়ারম্যান আলি আহমেদ আলনাকবি বলেন, ‘কভিডজনিত মহামারী উড়োজাহাজ পরিবহনের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। কভিডজনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ফার্স্ট ও বিজনেস ক্লাসের ভ্রমণকারীরা ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণ শুরু করেন। বর্তমানে কভিডজনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার পরও তারা এয়ারলাইনসগুলোয় ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ব্যক্তিগত জেট ভ্রমণের বাজার বড় হচ্ছে।’
এদিকে বিজনেস এভিয়েশন খাতটি সরবরাহ ব্যবস্থায় জটিলতা এবং শ্রম ঘাটতির কারণে উড়োজাহাজ সরবরাহে বিলম্বের সম্মুখীন হচ্ছে। এতে পুরনো এয়ারক্রাফটের বাজার চাঙ্গা হচ্ছে। আলি আহমেদ আলনাকবি বলেন, ‘বৈশ্বিক নানামুখী প্রভাবের কারণে নতুন ব্যক্তিগত জেটের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে পুরনো উড়োজাহাজের বাজারে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো বাজারটি স্থিতিশীল বলা যায়।’