ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের মাধ্যমে নভেম্বরে ভ্যাট এসেছে ৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। দেশের পাঁচটি কমিশনারেটের (ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ও চট্টগ্রাম) স্থাপন করা ইএফডি ও এসডিসির মাধ্যমে ৩১ লাখ ৭১ হাজার চালানের বিপরীতে এ পরিমাণ ভ্যাট আদায় করা হয়। গত অক্টোবরে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সোমবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ২৩তম ইএফডি লটারি ড্র উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান এ তথ্য জানান। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নিরীক্ষা) ড. সহিদুল ইসলামসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মইনুল খান বলেন, ইএফডি মেশিনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তবে ব্যাপক হারে প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। গত মাসের তুলনায় ইনভয়েসিং ও রাজস্ব আদায় কিঞ্চিত বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। এবিষয়ে কমিশনারেটদের আরও মনোযোগী হতে হবে। মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, নভেম্বর মাসে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছে ৩২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ৩১ লাখ ৭১ হাজার চালানের মাধ্যমে এ ভ্যাট আদায় হয়। অক্টোবর মাসে ৩১ লাখ ৮৯ হাজার চালানের বিপরীতে ৩০ কোটি ৪০লাখ টাকার ভ্যাট আদায় হয়। সেই হিসাবে গত মাসের তুলনায় ইএফডির রাজস্ব বেড়েছে মাত্র ৬ শতাংশ।
এর আগের সেপ্টেম্বর মাসে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট আসে ২৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগস্টে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
মইনুল খান বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ শুরু হবে। এ সময়ে আমরা ভ্যাটযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসব। আনতে পারলে রাজস্ব আরও বাড়বে। এজন্য এ খাতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া জোরদার করতে যাচ্ছি। পাশাপাশি আওতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে সোমবার ২৩তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ইএফডি চালানের লটারিতে প্রথম পুরস্কার এক লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা (পাঁচটি)। চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৯৩ জনকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। নভেম্বর মাসের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত চালানের ওপর ভিত্তি করে এই লটারির ড্র হয়। নভেম্বরে লটারিতে প্রথম পুরষ্কার জিতেছে চট্টগ্রাম, দ্বিতীয় পুরষ্কার পেয়েছে ঢাকা দক্ষিণ। তৃতীয় পুরষ্কার- ঢাকা পশ্চিম একটি, ঢাকা উত্তর দুইটি, ঢাকা পূর্ব একটি ও চট্টগ্রাম একটি।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন