ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পরপরই বেড়ে গিয়েছিল আকরিক লোহার দাম। ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম লোহা রফতানিকারক দেশ। সংঘাতের মধ্যে লোহার সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ৮ মার্চ দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। তবে এরপরই কমতে থাকে লোহার দাম। বছরের শেষ দিকে এসে আবারও লোহার দাম বাড়ছে।
পণ্যের মূল্য বিশ্লেষণ সংস্থা আরগাস (Argus) এর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ১১ নভেম্বর প্রতি টন আকরিক লোহার দাম ছিল ৯১.৭৫ ডলার। গত ৩১ অক্টোবর প্রতি টন আকরিক লোহার দাম ছিল ৭৯ ডলার, যা ছিল তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছেরের ৮ মার্চ প্রতি টন আকরিক লোহার দাম ছিল ১৬০ ডলার, যা এ বছরে সর্বোচ্চ।
সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমার পর মার্চের পর কমতে থাকে লোহার দাম। ১১ নভেম্বরে দাম কিছুটা বাড়লেও তা ৮ মার্চের তুলনায় ৪৩ শতাংশ কম।
সমুদ্রপথে রফতানি করা আকরিক লোহার বৃহত্তম ক্রেতা চীন। ২৪ অক্টোবর প্রকাশিত তথ্য মতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর চীনের আবাসন খাতে বিনিয়োগ কমেছে। সম্পত্তি বিক্রিও কমেছে। ফলে কমেছে লোহার চাহিদাও।
ধীরে ধীরে করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করছে চীন। আগামী বছরে চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্বজুড়ে কারখানাগুলোতেও লোহার চাহিদা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে ফের বাড়তে পারে লোহার দাম।
সূত্র : রয়টার্স