যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি কমে আসায় আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে সোনার দাম। গত শুক্রবার এক লাফেই সোনার দাম ১০০ ডলারের বেশি বেড়ে যায়।
বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, এদিন সোনার দাম বেড়ে হয় প্রতি আউন্স এক হাজার ৭৬০ ডলার, যা প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দর।
এর আগের শুক্রবার ৪ নভেম্বর সোনার দর ছিল প্রতি আউন্স এক হাজার ৬৩৬ ডলার। সে হিসাবে এক সপ্তাহেই দাম বাড়ল ১২৪ ডলার বা ৫.৪০ শতাংশ।
গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমে হয় ৭.৭ শতাংশ, যা গত জানুয়ারির পর সবচেয়ে কম বৃদ্ধি। এতে প্রত্যাশা বেড়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ জোরালোভাবে আর সুদের হার বাড়াবে না। ফেডারেল সর্বশেষ ৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার বাড়ায়।
বিশ্ববাজারে এমন দাম বাড়ায় দেশের বাজারেও দাম বেড়েছে। বিশ্ববাজারে সোনার এই দাম বাড়ার আগে প্রায় এক মাস ধরে দরপতন হয়। বিশ্ববাজারে সোনার টানা দরপতন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ অক্টোবর থেকে দেশের বাজারেও সোনার দাম কমানো হয়।
অন্যদিকে সোনার পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিশ্ববাজারে রুপা ও প্লাটিনামের দামেও বড় উত্থান হয়েছে। গত এক সপ্তাহে রুপার দাম ৪.১৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ২১.৬৯ ডলারে উঠে এসেছে। প্লাটিনামের দাম ৭.০৪ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ২৮.৫৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটেও বেড়েছে সোনার চাহিদা। এমনকি এই চাহিদা করোনা মহামারির আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডাব্লিউজিসি)।
সংস্থা জানায়, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিশ্বে সোনার চাহিদা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ১৮১ টন, যা গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের চেয়ে ২৮ শতাংশ বেশি। এমনকি চলতি বছরের ৯ মাস পর্যন্ত এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় সোনার চাহিদা বেড়েছে ১৮ শতাংশ। মূলত ব্যবহারকারী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ প্রধান ভূমিকা রেখেছে।