কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, দেশে নতুন দরিদ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়ানো ভোক্তা সাধারণের ওপর অমানবিক চাপ সৃষ্টি করবে বলে মনে করে ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)। এজন্য দাম বৃদ্ধি নয়, যথাসম্ভব কমিয়ে এনে পরিবহন ভাড়া, পণ্য ও সেবামূল্য সহনীয় পর্যায়ে আনার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সিসিএস’র নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিডের মধ্যে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। মোট দরিদ্রের সংখ্যা ৪২ শতাংশ বা প্রায় ৭ কোটি। বেকার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। এর মধ্যে দফায় দফায় নিত্য-পণ্যের মূল্য বেড়েছে। বহু পণ্যের মূল্য এখনো ঊর্ধ্বগতিতে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি অত্যন্ত অমানবিক সিদ্ধান্ত।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে শুধুমাত্র এই পণ্যটির মূল্য ওঠা-নামা করে না, এর সঙ্গে পরিবহন ভাড়া, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য এবং সেবার মূল্যও বেড়ে যায়। ফলে সরকার একটি পণ্যের মূল্য বাড়ালেও ভোক্তাকে বহু পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ভার সইতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা ভোক্তা সাধারণের নাভিশ্বাস সৃষ্টি করবে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশীয় পণ্য রপ্তানি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পরবে।
উল্লেখ্য, দেশের বাজারে গতকাল বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা (২৩ শতাংশ) বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত