রংপুরে কর্মবিরতি পালনসহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশে নেমেছে ইন্টার্ন ও ট্রেইনিং চিকিৎসকসহ সর্বস্তরের চিকিৎসকরা। ফলে বন্ধ রয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিঃবিভাগ। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
বুধবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিঃবিভাগে গিয়ে দেখা যায় টিকিট কাউন্টারগুলো বন্ধ। কাউন্টারের ভেতরে কেউ নেই। কোনো চিকিৎসকও বসেননি। ফলে দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়িফিরে যাচ্ছেন অনেকে। বিএমডিসি থেকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা, শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগসহ ৫ দফা দাবীতে তারা কর্মবিরতি পালন করছেন।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কুশা ইউনিয়নের এক রোগীর স্বজন রফিকুল ইসলাম বলেন, ডাক্তার না আসায় তিনি তার রোগীকে নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পাড়ার নাজমা বেগম (৪৫) বলেন, রমজান মাসে সকালেসেরকম কাজ থাকে না। তাই সকালেই এসে লাইন ধরেছি। এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর শুনছি যে আজ ডাক্তার বসবে না। এ কেমন কথা। ডাক্তার বসবে নাঅন্তত একটা সাইনবোর্ড লাগাতে পারতো।
অন্যদিকে, বিএমডিসি থেকে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা, শুণ্য পদেচিকিৎসক নিয়োগসহ ৫ দফা দাবীতে কর্মবিরতি, বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়কঅবরোধ করে ইন্টার্ণ ও ট্রেইনিংসহ সর্বস্তরের চিকিৎসকরা। এতে অংশ নেয়মেডিকেল শিক্ষার্থীরাও। দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে বের হয়ে শহীদ মূখতার এলাহী চত্ত্বরে পৌছে সেখানে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এরপর সেখান থেকে মিছিল নিয়ে আবারও মেডিকেল ক্যাম্পাসে এসে সমাবেশ করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আবু জাহিদ বসুনিয়া, ডাঃ ফরহাদ আখতার,ডাঃ তাসকিন বিন মাহমুদ, ইন্টার্ণ চিকিৎসক আবু রায়হান, শিক্ষার্থী মরিয়ম মেহনাজসহ অন্যরা।
এ বিষয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ণ চিকিৎসক ডাঃ আবুরায়হান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত না আসবে, আমাদের কর্মবিরতি ও ক্লাস বর্জন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমরা রোগীদের কষ্ট দিতে চাই না। আমাদের পাঁচ দফা দাবি মেনে নিলেই আমরা কর্মস্থলে ফিরে যাব।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম