শিরোনাম
প্রকাশ: ০৮:৪৪, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

বাংলাদেশের কৃষিতে পালাবদলের নেপথ্যের দুই তারকা

দরিদ্র কৃষকের সন্তান যেভাবে পাল্টে দিয়েছেন বাংলাদেশের কৃষি
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশের কৃষিতে পালাবদলের নেপথ্যের দুই তারকা

টাঙ্গাইলের এক গ্রামে ঝকঝকে নতুন টিনের চালার এক বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে শহর থেকে আসা কজন মানুষ। ফসলের মাঠ ঘুরে দেখে এসে ক্লান্ত হয়ে একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয় জাতের চামারা ধানের জায়গায় উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান-চাষ শুরু হওয়ার পর এলাকাটির অবস্থা কী, সেটা দেখতে গেছেন তারা।

শহুরে মানুষ দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলেন গৃহস্থ। জানতে চাইলেন, আপনারা কারা। "আমরা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের লোক," জানালেন তারা।

"এরপর যা ঘটলো তার জন্য আমরা মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না", বলছিলেন ডঃ এম এ সালাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক বিজ্ঞানী।

"লোকটি খুশিতে চিৎকার করে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। বললো, আল্লাহ আপনাদের ফেরেশতা হিসেবে পাঠিয়েছেন। আমরা হতচকিত। কী ঘটছে বুঝতে পারছি না।"

ঘটনাটি ১৯৯৬ সালের। যমুনা সেতু নির্মাণের জন্য যে নদী শাসন করা হয়েছে, তার ফলে এলাকাটি তখন বন্যামুক্ত। আগে সেখানে চাষ হতো কেবল স্থানীয় জাতের চামারা ধান, যেটি বন্যার পানির সঙ্গে বাড়ে, তিন-চার ফুট পানিতেও চাষ করা যায়। কিন্তু ফলন হতো খুব কম। বন্যামুক্ত এলাকায় সেই প্রথম কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ শুরু করেছেন।

ড. এম এ সালাম। বাংলাদেশে ২০টির বেশি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবনের গবেষণায় জড়িত ছিলেন তিনি।

সেই কৃষক এরপর ড. সালাম এবং তার সহকর্মীদের হাত ধরে টানতে টানতে ঘরের ভেতর নিয়ে গেলেন। বললেন, "এই যে টিনের চালার বাড়ি দেখছেন, এটা আমি ধান বিক্রির টাকায় করেছি। আমার চৌদ্দ পুরুষ কুঁড়েঘরে থাকতো। চামারা ধান চাষ করে আমাদের দিন চলতো খেয়ে-না খেয়ে। এখন দেখেন আমার কত ধান। আপনারা আমাদের জীবন বদলে দিয়েছেন।"

একজন সফল ধান বিজ্ঞানী হিসেবে কয়েক দশকের দীর্ঘ কর্মজীবনে এটি ড. সালামের সবচেয়ে মধুর স্মৃতিগুলোর একটি।

"আউশ, আমন এবং বোরো- এই তিন মৌসুম মিলে এখন আমাদের দেশে মোট ১১ হতে সাড়ে ১১ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে চাষ হয়। এখন গড়ে আমরা প্রতি হেক্টরে চার টন ফলন পাই। যার ফলে এখন আমরা ধান উৎপাদনে উদ্বৃত্তে এসেছি। তা না হলে, আমরা যদি প্রতি হেক্টরে দেড় হতে দুই টন ফলনে থেকে যেতাম, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়ানো-পরানো অসম্ভব ছিল," বলছিলেন তিনি।

দুর্ভিক্ষের স্মৃতি

ময়মনসিংহ শহর থেকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী পেরিয়ে চর ইশ্বরদিয়া গ্রাম। উনিশ'শ চুয়াত্তর সালের শরৎকালে বাংলাদেশ যখন তার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর এক খাদ্য সংকটের মোকাবেলা করছে, তখন সেই গ্রামেও হানা দিয়েছে তীব্র অভাব।

চর ইশ্বরদিয়ার রশিদা তখন কিশোরী। প্রতিদিন খাবারের জন্য তাকে লাইনে দাঁড়াতে হতো বাড়ির কাছের এক লঙ্গরখানায়।

"লাইনে দাঁড়াইলে কোনদিন রুটি দিত, কোনদিন গোলা আটা দিত। অভাব চলছে মনে করেন প্রায় বছরখানিক। চাউল থাকলেও আমরা কিন্যা আইনা খাওনের মতো সামর্থ্য আছিল না। ফরে আটা আইন্যা খাই, আলু আইন্যা খাই। কোনদিন না খাইয়া থাকি। কোনদিন মনে করেন কচুর শাক তুইল্যা খাই। এইরকম কইরা দিন কাটাইছি।"

এম এ সালাম তখন চর ঈশ্বরদিয়া থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। লজিং থাকেন যে পরিবারের সঙ্গে, তাদের আর্থিক অবস্থাও খুবই খারাপ।

"ওরা তখন যা করছিল, সেটা আমি কোনদিন ভুলিনি। প্রতিদিন তারা কষ্ট করে হলেও আমাকে ভাত খেতে দিত, কিন্তু তারা নিজেরা জাউ খেয়ে থাকতো। এত ভালোবাসতো ওরা আমাকে।"

এম এ সালাম স্বপ্ন দেখছিলেন একজন কৃষি বিজ্ঞানী হওয়ার। অল্প বয়সে তার মধ্যে এই স্বপ্ন উস্কে দেন দরিদ্র কৃষক পিতা।

"আমি যখন ক্লাশ থ্রীতে পড়ি, তখন একদিন ধান কাটার মওসুমে আমার বাবার সঙ্গে আমি গরুর গাড়িতে করে মাঠে গেছি ধান তুলতে। কিছুক্ষণ পর আমার গাল বেয়ে ঘাম ঝরছে। তখন আমার বাবা বলছে, দ্যাখো বাবা, কৃষিকাজ কত কঠিন। কত পরিশ্রমের। তুমি যদি লেখাপড়া শিখতে পারো, তাহলে তোমার এই পরিশ্রম করা লাগবে না। তুমি ভালো থাকবে, আমরাও ভালো থাকবো," শৈশবের কথা বলতে গিয়ে ডঃ সালামের চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠে।

ড. এম এ সালাম এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে কৃতি ধানবিজ্ঞানীদের একজন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে যত রকমের উন্নত জাতের ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে, তার অন্তত ২০টির গবেষণায় সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি।

তাদের উদ্ভাবন পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশের কৃষি। ঢাকার গুলশানে যে প্রতিষ্ঠানে তিনি এখন নতুন গবেষণায় নিয়োজিত সেখানে বসে কথা হচ্ছিল তার সঙ্গে।

উনিশ'শ সাতাত্তর সালে যখন তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগ দিলেন, তখন দুর্ভিক্ষ পরবর্তী বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কীভাবে এই দেশটির বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যের সংস্থান করা যায়।

"তখন বাংলাদেশে একজন মানুষ হয়তো সারাদিনে একবারই খায় এবং সেটা হয়তো এক সের চালের ভাত। ভাতই তার প্রোটিন, ভাতই তার ভিটামিন, এটাই তার সবকিছু। বাংলাদেশ ধানের দেশ। অথচ কী দুর্ভিক্ষ আমাদের, কী করুণ অবস্থা।"

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের সামনে তখন বড় চ্যালেঞ্জ কীভাবে ধানের উৎপাদন বাড়ানো যায়।

"আমি যখন কাজে যোগ দিলাম, তখন আমাদের সিনিয়র বিজ্ঞানীরা বললেন, আমাদেরকে এটা করতেই হবে। আমাদেরও প্রতিজ্ঞা, এই দেশকে আমরা বদলে দেব।"

বিআর-৩ বিপ্লব

বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর শুরুর দিকে একটি মাত্র উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষ হচ্ছিল পরীক্ষামূলক ভাবে, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ইরি-৮।

কিন্তু বাংলাদেশে এই জাতটির চাষের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা ছিল এটির জীবনকাল ছিল বেশ দীর্ঘ। তা ছাড়া বোরো মওসুমে চাষ করতে হলে জমিতে সেচের দরকার ছিল, তখনো বাংলাদেশে আধুনিক সেচের পদ্ধতি গড়ে উঠেনি।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা তখন ইরি-৮ এর সঙ্গে বাংলাদেশের একটি স্থানীয় জাতের লতিশাইল ধানের সংকর ঘটিয়ে উদ্ভাবন করলেন নতুন জাত বিআর-৩, যেটির আরেক নাম ছিল বিপ্লব।

কিন্তু এটিও ধান চাষে প্রত্যাশিত সাফল্য আনতে ব্যর্থ হলো।

"মূল সমস্যা হলো ফটো পিরিয়ড সেনসিটিভিটি, অর্থাৎ আলোক সংবেদনশীলতা। বাংলাদেশে রোাপা আমন মওসুমে যত স্থানীয় জাতের ধান লাগানো হতো, তার সবগুলোই ছিল আলোক সংবেদনশীল। যার ফলে এগুলো মাঠে লাগানোর পর হতে ধান কাটার আগে পর্যন্ত সময়টা ছিল অনেক দীর্ঘ। আমাদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হলো, কীভাবে স্থানীয় জাতের ধানগুলো থেকে আমরা আলোক সংবেদনশীলতা তুলে নিতে পারি।"

উনিশ'শ পঁচাশি সালে এম এ সালাম ঠিক এই ফটো পিরিয়ড সেনসিটিভিটি বা আলোক সংবেদনশীলতা নিয়ে পিএইচডি করতে গেলেন ফিলিপিন্সে। ফিরে এলেন ১৯৮৮ সালে।

"এবার আমাদের চেষ্টা শুরু হলো কীভাবে স্থানীয় জাতের ধান থেকে আমরা ফটো পিরিয়ড সেনসিটিভিটি আলাদা করতে পারি। এটা যদি করা যায়, এই ধানের চাষ তিন মাসেই করা সম্ভব। এটার বিজ্ঞান আমাদের জানা। এটা পিউর জেনেটিক্স।"

ব্রি-২৯ ঘটালো বিপ্লব

ধান গবেষণায় বাংলাদেশে ধীরে ধীরে সাফল্য আসতে শুরু করলো। একের পর এক উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের প্রচলনের ফলে বাড়তে শুরু করলো খাদ্য উৎপাদন। সবচেয়ে বড় সাফল্য আসলো নব্বুই এর দশকের মাঝামাঝি। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন ব্রি-২৮ এবং ব্রি-২৯ অবশেষে বিপ্লব ঘটিয়ে দিল।

"বাংলাদেশে এখন বছরে যত ধান উৎপাদন হয়, তার অর্ধেক আসে কেবল এই দুটি উফশী জাতের ধান থেকে। ব্রি-২৮ থেকে প্রতি হেক্টরে পাঁচ টন পর্যন্ত ফলন হয়। আর ব্রি-২৯ থেকে প্রতি হেক্টরে ফলন পাওয়া যায় ছয় টন পর্যন্ত। এটা প্রমানিত।"

ডঃ সালাম এ পর্যন্ত যত জাতের ধান গবেষণায় জড়িত ছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম সফল একটি উদ্ভাবন হচ্ছে ব্রি-৫০। ২০০৮ সালে উদ্ভাবিত এই জাতটির জনপ্রিয় নাম বাংলামতি। এই সুগন্ধি জাতের চালের মান অনেকটা বাসমতির মতো।

ধান গবেষণায় তার অবদানের জন্য ডঃ এম এ সালাম ২০০৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রাইস কংগ্রেসে সেরা বিজ্ঞানীর পুরস্কার পান।

শাইখ সিরাজ

বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি প্রচলনের প্রথম চেষ্টা হয়েছিল কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে, ষাটের দশকে। এটির প্রতিষ্ঠাতা আখতার হামিদ খানের উদ্যোগে জাপান থেকে আনা উন্নত জাতের একটি ধানের পরীক্ষামূলক চাষের উদ্যোগ নেয়া হলো। কিন্তু এই ধানের চাষের জন্য কৃত্রিম সেচের দরকার হবে। গ্রামে সেজন্য গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছিল।

"নলকূপ দিয়ে যখন মাটির নীচ থেকে পানি তোলা হচ্ছিল, তখন গ্রামের কিছু মানুষ ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিল, তারা এটিকে দেখেছিল আল্লাহর ওপর খবরদারি হিসেবে। বুঝতেই পারছেন কৃষিতে নতুন প্রযুক্তি বা ধ্যানধারণার ব্যাপারে শুরুতে বাংলাদেশের কৃষকের মনোভাব কেমন ছিল", বলছিলেন শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক টেলিভিশন উপস্থাপক।

হাঁটু পর্যন্ত প্যান্ট গুটিয়ে, জলপাই সবুজ রঙের ট্রেডমার্ক শার্ট পরে ক্যামেরা হাতে শাইখ সিরাজ এখন বাংলাদেশের যেখানেই যান, সেখানেই তাকে কৃষকরা সাদরে বরণ করে নেন।

কিন্তু যখন তিনি প্রথম রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ টেলিভিশনে কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন, তখন পরিস্থিতি ছিল একেবারেই প্রতিকূল।

"তখন আমরা যেসব বিশাল ক্যামেরা নিয়ে গ্রামে যেতাম, সেগুলো দেখে লোকে ভয় পেত। তারা ভাবতো এটা বুঝি কামান। মাইক্রোফোনকে ভাবতো বন্দুকের নল। গ্রামগুলো আর্থ সামাজিক দিক দিয়ে তখন এতটাই পিছিয়ে। ক্যামেরার সামনে লোকজনকে কথা বলানো কঠিন ছিল, এতটাই লাজুক তখন গ্রামের মানুষ," তিনি বলেন।

শাইখ সিরাজ। তার টেলিভিশন অনুষ্ঠান কৃষকদের কাছে নতুন উদ্ভাবন পৌঁছে দিতে বিরাট ভূমিকা রাখে।

'মাটি ও মানুষ'

বাংলাদেশের কৃষিতে গত কয়েক দশকে যে বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে, শাইখ সিরাজকে বর্ণনা করা হয় সেই পরিবর্তনের পেছনে অন্যতম প্রধান এক চরিত্র হিসেবে।

বাংলাদেশে যখন বিজ্ঞানীরা একের পর এক নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করে চলেছেন, কৃষিতে নতুন ধ্যান ধারণা এবং কৌশল চালুর জন্য সরকারের নানা পর্যায় থেকে চেষ্টা চলছে, সেগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বিরাট ভূমিকা রাখে তার কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান, 'মাটি ও মানুষ।'

"শুরুতে এই অনুষ্ঠানটা হতো আমার দেশ নামে। তখন এটি ৫০ মিনিটের পাক্ষিক অনুষ্ঠান। পরে এটিকেই 'মাটি ও মানুষ' নামে সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত করি। আমার মনে হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের চেয়ে বেশি দরকার শিক্ষামূলক মোটিভেশনাল অনুষ্ঠান। কৃষকদের যদি নতুন বীজ, নতুন প্রযুক্তি, নতুন কৌশল, এসব ঠিকমত বোঝানো যায়, তাহলে কৃষিতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভব।"

গত চার দশক ধরে শাইখ সিরাজ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের কৃষকদের কাছে কৃষি বিষয়ক তথ্যের প্রধান উৎস। উনিশ'শ আশির দশকে, যখনো টেলিভিশন ঘরে ঘরে পৌঁছায়নি, তখনো গ্রামের হাটেবাজারে, কমিউনিটি সেন্টারে প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় 'মাটি ও মানুষ' দেখার জন্য ভিড় করতো মানুষ।

তবে কৃষকদের নতুন ধরণের কৃষিতে উৎসাহিত করার কাজটা সহজ ছিল না।

"আজকের কৃষক এবং তিরিশ বছর আগের কৃষকের মধ্যে তফাৎ আকাশ আর পাতাল। তখন কৃষকের কাছে একজন কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা যে কথা বলতেন, একজন টেলিভিশন উপস্থাপক হিসেবে আমি যেকথা বলতাম, সেটা তারা মানতে চাইতো না। তারা ভাবতো, আমরা যেধরণের কৃষির কথা বলছি, যদি সেটাতে ভালো ফসল না হয়? এ কারণে সে সহজে মোটিভেট হতে চাইতো না। সহজে নতুন প্রযুক্তি নিতে চাইতো না।"

"আমি যখন আশির দশকে উচ্চফলনশীল নতুন জাতের ধানের কথা বলছি, গমের কথা বলছি, তখন পরিস্কার তারা আমাকে বলতো এই রাবার ভাত খাবো না। তখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধানের মান তেমন ভালো ছিল না। ভাতটা ছিল রাবারের মতো, ভাতের দানা উপর থেকে থালার উপর ফেললে সেটি রাবারের মতো ড্রপ করতো।"

কিন্তু বিজ্ঞানীরা যখন তাদের গবেষণায় নতুন নতুন সাফল্য পাচ্ছিলেন, আর সেই সঙ্গে শাইখ সিরাজও তার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের মন জয় করার জন্য নতুন কৌশল নিচ্ছিলেন।

ভাষার পরিবর্তন

"তখন বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলতে হতো। আমি বুঝতে পারছিলাম গ্রামের মানুষের সঙ্গে আমার একটা দূরত্ব থেকে যাচ্ছিল। কৃষক আমার কথা কিছু বুঝতে পারছে, কিছু বুঝতে পারছে না। অন্যদিকে আমি যখন কৃষকের সঙ্গে কথা বলছি, সেও নিজেকে প্রকাশ করতে পারছে না," তিনি বলেন।

টেলিভিশন অনুষ্ঠানে শাইখ সিরাজ তার মুখের ভাষায় পরিবর্তন আনলেন, গ্রামের মানুষের সঙ্গে তাদের কথ্য ভাষার ব্যবহার শুরু করলেন। পরিবর্তন এলো তার পোষাকেও। কেতাদুরস্থ শহুরে পোষাকের জায়গা নিল তার এখনকার ট্রেডমার্ক জলপাই রঙা শার্ট।

ক্যামেরার শটে এখন আর কেবল তাকে নয়, কথা বলতে যেতে দেখা গেল গ্রামের সাধারণ কৃষক, মজুর, কিষাণীকে।

আশির দশকের শেষ ভাগ হতে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করলো দ্রুত। বিশ্বব্যাংকের হিসেবে গত কয়েক দশকে কৃষি খাতে সবচেয়ে দ্রুত হারে উৎপাদনশীলতা বাড়ার বড় দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। কেবল একটি দেশেই এর চেয়ে বেশি হারে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে, সেটি হচ্ছে চীন।

"একটা বিষয় তখন থেকেই বুঝতে পারছিল সবাই। যে কোনভাবে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের বছরে আমরা গর্ব করে বলতে পারি, মানুষ আর না খেয়ে নেই। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা বাংলাদেশের কৃষকের, তারাই এই সাফল্যের আসল নায়ক", বলছিলেন শাইখ সিরাজ।

বিএডিসির অবদান

কৃষিতে নতুন উদ্ভাবন, নতুন প্রযুক্তি মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া গেল, কৃষকরাও ধীরে ধীরে এসব গ্রহণ করতে শুরু করলো। কিন্তু ফসল ফলানোর জন্য তাদের দরকার ছিল আরও অনেক কিছু। শাইখ সিরাজ বলছেন, বাংলাদেশে সরকারের সহায়ক নীতি আর বিএডিসির মতো প্রতিষ্ঠান তখন বিরাট ভূমিকা পালন করেছিল।

"সারা বাংলাদেশে আজকে সেচের যে অবকাঠামো, এটা বিএডিসির করা। আজকে বীজের যে উৎপাদনশীলতা, সারা দেশে কৃষকদের কাছে বীজ পৌঁছে দেয়া, সেটা বিএডিসির করা,'' তিন বলেন।

''সরকার যদি ভর্তুকি দিয়ে কম দামে সারের ব্যবস্থা না করতো, তাহলে কৃষিতে এই সাফল্য আসতো না। আন্তর্জাতিক বাজারে ইউরিয়া সারের যে দাম, বাংলাদেশে সরকার ভর্তুকি দিয়ে এখনো তার অর্ধেক দামে কৃষককে সার দিয়ে যাচ্ছে।

''বাংলাদেশের কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলেও যে ধানচাষ করে, কেন করে? কারণ সে কমমূল্যে সব কৃষি উপকরণ পায়,'' শাইখ সিরাজ বলেন।

শাক-সব্জির ক্ষেত্রেও বিপ্লব

তবে কেবল ধান উৎপাদনেই নয়, সব ধরণের খাদ্য উৎপাদনেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।

"এখন অনেক ধরণের ফসল এসেছে। র ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটে গেছে। মিঠে পানির মাছ উৎপাদনে এখন বাংলাদেশ বিশ্বে চার নম্বর স্থানে। গ্রামে গ্রামে গরুর খামার, হাঁস-মুরগীর খামার- সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কৃষিতে একটা বিরাট বিপ্লব ঘটে গেছে।"

এই বিপ্লবে শাইখ সিরাজ এবং তার টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলো এক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

ঈশ্বরদীর কালিকাপুরে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি বিভাগের কর্মীরা ১৬ ফুট বাই ১২ ফুট আয়তনের একটি জমিতে ছয়টি বেড করে দেখিয়েছিলেন সেখানে কত ধরণের শাকসব্জির চাষ করা যায়। একেকটি বেডে একেক ধরণের শাক-সব্জি লাগানো হচ্ছিল যাতে একটি পরিবারের সারা বছরের পুষ্টি সেখান থেকেই পাওয়া যায়।

"তখন এত শাক সব্জির চাষ হতো না। কৃষকের আঙিনাতেও এত শাক-সব্জি ছিল না। এটি আমি টেলিভিশনে ব্যাপকভাবে প্রচার করি।"

তাঁর এসব উদ্যোগের ফল কী দাঁড়িয়েছে, সেটি নিয়ে কোন সন্দেহ নেই শাইখ সিরাজের।

"স্বাধীনতার পর খাদ্য বলতে গ্রামের সাধারণ কৃষক কেবল ভাতকেই বোঝাতো। তার সঙ্গে হয়তো পাতে থাকতো একটু লবণ, কাঁচা মরিচ।

''আজ বাংলাদেশের গ্রামের সাধারণ মানুষের খাবারের প্লেটে ভাতের পাশে একটু শাক-সব্জি, একটু মাছ, এক টুকরো মাংস যোগ হয়েছে। এটা আজ তারাই উৎপাদন করছে। গত ৫০ বছরের বাংলাদেশে এটাকে আমি এক বিরাট পরিবর্তন বলে মনে করি," তিনি বলেন।

টেলিভিশনের পাশাপাশি ইউটিউব

শাইখ সিরাজ এখনো 'হৃদয়ে মাটি ও মানুষ' নামে নিয়মিত কৃষি বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক থেকে শুরু করে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন তার কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান এবং কৃষিতে অবদানের জন্য। তিনি বাংলাদেশের চ্যানেল আই টেলিভিশনের অন্যতম পরিচালক।

তবে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে তিনি এখন টেলিভিশনের পাশাপাশি ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকেও ব্যবহার করছেন কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। ইউটিউবে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন, তার ইউটিউব চ্যানেল ফলো করেন ২৭ লাখের বেশি মানুষ।

"আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও গ্রামে গেলে কৃষকরা আমাকে বলতো, আপনাকে টেলিভিশনে দেখি। আর এখন গ্রামে গেলে শতকরা আশিজন মানুষ আমাকে বলেন, স্যার, আপনাকে তো ইউটিউবে দেখলাম। মোবাইলে দেখলাম," বলছিলেন তিনি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ


 

এই বিভাগের আরও খবর
বান্দরবানের মেঘলা ‘মিনি চিড়িয়াখানা’ স্থায়ীভাবে বন্ধ
বান্দরবানের মেঘলা ‘মিনি চিড়িয়াখানা’ স্থায়ীভাবে বন্ধ
পাখিতে মুখর সরকার পুকুর
পাখিতে মুখর সরকার পুকুর
রাজশাহীতে দেশের প্রথম ঘড়িয়াল প্রজনন কেন্দ্র
রাজশাহীতে দেশের প্রথম ঘড়িয়াল প্রজনন কেন্দ্র
রক্তকরবী; সৌন্দর্যের মোড়কে লুকানো বিষ
রক্তকরবী; সৌন্দর্যের মোড়কে লুকানো বিষ
আপেল চাষ এখন দিনাজপুরে
আপেল চাষ এখন দিনাজপুরে
খাগড়াছড়িতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত
খাগড়াছড়িতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত
স্বস্তির বৃষ্টিতে আম চাষির মুখে হাসি
স্বস্তির বৃষ্টিতে আম চাষির মুখে হাসি
সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের অপরূপ কুয়াকাটা
সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের অপরূপ কুয়াকাটা
সূর্যমুখী চাষে সচ্ছলতার স্বপ্ন কৃষকের
সূর্যমুখী চাষে সচ্ছলতার স্বপ্ন কৃষকের
১৮ হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু
১৮ হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু
উদয়ের পথে উদয়পদ্ম
উদয়ের পথে উদয়পদ্ম
তীব্র খরায় ঝরে পড়ছে আম
তীব্র খরায় ঝরে পড়ছে আম
সর্বশেষ খবর
মাগুরায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
মাগুরায় আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩ তলার কার্নিশে ঝুলে নকল দিচ্ছিলেন যুবক!
৩ তলার কার্নিশে ঝুলে নকল দিচ্ছিলেন যুবক!

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যশোরে শুরু অনূর্ধ-১৯ দলের ক্যাম্প
যশোরে শুরু অনূর্ধ-১৯ দলের ক্যাম্প

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে : নবীউল্লাহ নবী

১৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

মিথ্যা ধর্ষণের মামলার বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
মিথ্যা ধর্ষণের মামলার বাদীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘দেশে শনাক্ত ও চিকিৎসার বাইরে ৯০ ভাগ হিমোফিলিয়া রোগী’
‘দেশে শনাক্ত ও চিকিৎসার বাইরে ৯০ ভাগ হিমোফিলিয়া রোগী’

৪১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইউনাইটেড হাসপাতালের ১২ কোটি টাকার শেয়ার আত্মসাৎ
ইউনাইটেড হাসপাতালের ১২ কোটি টাকার শেয়ার আত্মসাৎ

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

ওয়াটসনে ফেডারেল লিবারেল পার্টির প্রার্থী জাকির আলমের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
ওয়াটসনে ফেডারেল লিবারেল পার্টির প্রার্থী জাকির আলমের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

৫৩ মিনিট আগে | পরবাস

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই যোদ্ধা অধ্যাপককে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই যোদ্ধা অধ্যাপককে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আদালত চত্বরে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে আসামি
আদালত চত্বরে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে আসামি

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

কুমিল্লায় বিসিক বৈশাখী মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যে ক্রেতাদের আগ্রহ
কুমিল্লায় বিসিক বৈশাখী মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যে ক্রেতাদের আগ্রহ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বামীর জুয়ার আসক্তি, পঞ্চগড়ে বিষপানে মা-ছেলের মৃত্যু
স্বামীর জুয়ার আসক্তি, পঞ্চগড়ে বিষপানে মা-ছেলের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুতিনকে চিঠি লিখলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
পুতিনকে চিঠি লিখলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তালতলীতে একজনের লাশ উদ্ধার
তালতলীতে একজনের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ভিসা বাতিলে বাড়ছে উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ভিসা বাতিলে বাড়ছে উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’ আসছে, জানালেন অমি
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫’ আসছে, জানালেন অমি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রণবীরকে বিয়ে না করার অন্যতম কারণ জানালেন ক্যাটরিনা
রণবীরকে বিয়ে না করার অন্যতম কারণ জানালেন ক্যাটরিনা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডুয়েটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত
ডুয়েটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও সেমিনার অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বড়াইগ্রামে শিশু জুঁইয়ের খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
বড়াইগ্রামে শিশু জুঁইয়ের খুনিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল, রাতে কর্মসূচি ঘোষণা
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল, রাতে কর্মসূচি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সিলেট টেস্টের টিকিটের দাম জানালো বিসিবি
সিলেট টেস্টের টিকিটের দাম জানালো বিসিবি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লেজার ক্ষেপণাস্ত্রে বড় সাফল্য ইরানের
লেজার ক্ষেপণাস্ত্রে বড় সাফল্য ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যে
পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ ব্যারিস্টার সারোয়ারের বক্তব্যে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বিমান বাহিনীর ১২৮তম জুনিয়র কমান্ড ও স্টাফ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ
বিমান বাহিনীর ১২৮তম জুনিয়র কমান্ড ও স্টাফ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আল আকসা চত্বরে হাজারো ইহুদি
আল আকসা চত্বরে হাজারো ইহুদি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের
ভারতে মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুর হাইক্কার খাল দখলমুক্ত করার ঘোষণা ডিএনসিসি প্রশাসকের
মোহাম্মদপুর হাইক্কার খাল দখলমুক্ত করার ঘোষণা ডিএনসিসি প্রশাসকের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৫ জন
চট্টগ্রামে যুবলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৫ জন

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
ঋণ পরিশোধে সময় দিয়েছে রাশিয়া, ১৬ কোটি ডলার জরিমানা মওকুফ
ঋণ পরিশোধে সময় দিয়েছে রাশিয়া, ১৬ কোটি ডলার জরিমানা মওকুফ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধ ঘোষণা
১ মে থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধ ঘোষণা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়ে মামলা খেলো হাঙ্গেরি
নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হয়ে মামলা খেলো হাঙ্গেরি

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জৈবিক নারীই ‘নারী’: যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়
জৈবিক নারীই ‘নারী’: যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লটারিতে ২২ কোটি রুপি জিতে মাঝ আকাশেই চাকরি ছাড়লেন নারী বিমানকর্মী
লটারিতে ২২ কোটি রুপি জিতে মাঝ আকাশেই চাকরি ছাড়লেন নারী বিমানকর্মী

১২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

নির্বাচনের জন্য যে তিন শর্ত দিলেন জামায়াত আমির
নির্বাচনের জন্য যে তিন শর্ত দিলেন জামায়াত আমির

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘যুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
‘যুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই আরাভ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সেই আরাভ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেফতার
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘রানি এলিজাবেথ ইসরায়েলিদের সন্ত্রাসী ভাবতেন, ঢুকতে দিতেন না প্রাসাদে’
‘রানি এলিজাবেথ ইসরায়েলিদের সন্ত্রাসী ভাবতেন, ঢুকতে দিতেন না প্রাসাদে’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পিঁয়াজের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা

১২ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

যুক্তরাষ্ট্রকে ভিন্নপথে বড় ধাক্কা চীনের!
যুক্তরাষ্ট্রকে ভিন্নপথে বড় ধাক্কা চীনের!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডেসটিনির রফিকুল আমীনের দল ‘আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ
ডেসটিনির রফিকুল আমীনের দল ‘আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেঘনা আলমকে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখালো আদালত
মেঘনা আলমকে প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার দেখালো আদালত

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন আলী রীয়াজ
বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন আলী রীয়াজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি, দায়িত্বে শাহেলা পারভীন
ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি, দায়িত্বে শাহেলা পারভীন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কখনো শাহরুখের সঙ্গে প্রেম করতেন? যা বললেন কাজল
কখনো শাহরুখের সঙ্গে প্রেম করতেন? যা বললেন কাজল

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলি বসতির ওপরই বোমা ফেলল নেতানিয়াহুর সেনারা
ইসরায়েলি বসতির ওপরই বোমা ফেলল নেতানিয়াহুর সেনারা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফয়জুল করীমকে বিসিসির মেয়র ঘোষণা করতে মামলা
ফয়জুল করীমকে বিসিসির মেয়র ঘোষণা করতে মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কিছু চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র!
কিছু চীনা পণ্যে সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র!

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনার মধ্যেই তেহরান সফরে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনার মধ্যেই তেহরান সফরে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লেজার ক্ষেপণাস্ত্রে বড় সাফল্য ইরানের
লেজার ক্ষেপণাস্ত্রে বড় সাফল্য ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি
আজ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার বিভাগে আজ ব্যাপক বজ্রপাতের আশঙ্কা
চার বিভাগে আজ ব্যাপক বজ্রপাতের আশঙ্কা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আল আকসা চত্বরে হাজারো ইহুদি
আল আকসা চত্বরে হাজারো ইহুদি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ এপ্রিল)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ এপ্রিল)

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র, কংগ্রেস বলল ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’
গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র, কংগ্রেস বলল ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাথমিক শিক্ষকদের জেলা থেকে জেলায় বদলি আবেদন শুরু
প্রাথমিক শিক্ষকদের জেলা থেকে জেলায় বদলি আবেদন শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপি এখন কী করবে
বিএনপি এখন কী করবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ ফেরত চাইবে ৪৫২ কোটি ডলার
বাংলাদেশ ফেরত চাইবে ৪৫২ কোটি ডলার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ধ্বংস মিশনে প্রথম আলো
বিএনপি ধ্বংস মিশনে প্রথম আলো

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার পর উত্তাপ
আলোচনার পর উত্তাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

চিকিৎসা শপিং ও ভ্রমণে পছন্দ এখন থাইল্যান্ড
চিকিৎসা শপিং ও ভ্রমণে পছন্দ এখন থাইল্যান্ড

পেছনের পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০ ব্যবসায়ীর জরিমানা মিলিয়ন ডলার
যুক্তরাষ্ট্রে ১২০০ ব্যবসায়ীর জরিমানা মিলিয়ন ডলার

পেছনের পৃষ্ঠা

ফের সেই ভোগান্তির আন্দোলন
ফের সেই ভোগান্তির আন্দোলন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

মৌসুমীর ফেরা না ফেরা
মৌসুমীর ফেরা না ফেরা

শোবিজ

প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়
প্রশাসন বিএনপির পক্ষে, এদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

অরক্ষিত রাজধানীর ফুটওভার ব্রিজ
অরক্ষিত রাজধানীর ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

পাখিতে মুখর সরকার পুকুর
পাখিতে মুখর সরকার পুকুর

পেছনের পৃষ্ঠা

অন্নপূর্ণা জয়ের গল্প শোনালেন বাবর
অন্নপূর্ণা জয়ের গল্প শোনালেন বাবর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজার আগে ভোট চায় জামায়াত
রোজার আগে ভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জনগণই নির্ধারণ করবে
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জনগণই নির্ধারণ করবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমান্তে ঢুকে বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ
সীমান্তে ঢুকে বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ

প্রথম পৃষ্ঠা

মুর্শিদাবাদে সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত
মুর্শিদাবাদে সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে ভোটের রোডম্যাপ
জুলাইয়ে ভোটের রোডম্যাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশীয় বিনিয়োগ সম্মেলন জরুরি
দেশীয় বিনিয়োগ সম্মেলন জরুরি

সম্পাদকীয়

ঢাকায় সিরিজ বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কূটনীতিক
ঢাকায় সিরিজ বৈঠকে ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কূটনীতিক

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের বিতর্কে উর্বশী...
ফের বিতর্কে উর্বশী...

শোবিজ

চলচ্চিত্রে পারিবারিক গল্প উধাও
চলচ্চিত্রে পারিবারিক গল্প উধাও

শোবিজ

হাওরাঞ্চলের শিক্ষা
হাওরাঞ্চলের শিক্ষা

সম্পাদকীয়

ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে খায়রুল বাসার
ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে খায়রুল বাসার

শোবিজ

এবার কমেডি সিনেমায় প্রিয়াঙ্কা
এবার কমেডি সিনেমায় প্রিয়াঙ্কা

শোবিজ

উপস্থাপক ফেরদৌস ওয়াহিদ
উপস্থাপক ফেরদৌস ওয়াহিদ

শোবিজ

এক লিগে তিন অধিনায়ক
এক লিগে তিন অধিনায়ক

মাঠে ময়দানে

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিগারের অভিষেক ২০১৫ সালে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিগারের অভিষেক ২০১৫ সালে

মাঠে ময়দানে

ইতিহাসের অপেক্ষায়
ইতিহাসের অপেক্ষায়

মাঠে ময়দানে