সিলেটের বিশ্বনাথে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় চিনিসহ চোরাইপণ্য উদ্ধারের হিড়িক পড়েছে। চোরাই মালামাল উদ্ধার হলেও অদৃশ্য কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায় চোরাকারবারি সিন্ডিকেট।
চিনির এক বড় চালানসহ নাসির বিড়ি উদ্ধারের পর বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বাওয়ানপুর গ্রামের রাস্তার উপর পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১০ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ৫০ কেজির ৯ বস্তা চিনির আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ হাজার টাকা প্রায়। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, তারা ওই ওই এলাকায় রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালন করছিল। তখন ঘটনাস্থলে চোরাকারবারিদের চিনি বোঝাই একটি পিকআপ থেকে স্থানীয় জনতা ৯ বস্তা চিনি চিনিয়ে নেন। এক পর্যায়ে চিনির গাড়ি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিনিগুগলো জব্দ করে থানা নিয়ে আসে। তবে এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা।
এর আগে, পাচারকালে বিপুল পরিমাণ চিনি ছিনতাই ও পরে উদ্ধারের ঘটনায় চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নাম উঠে আসে থানা পুলিশের সদ্য সাবেক এএসআই আবু সালেহ ও কন্সটেবল শামসুল ইসলাম ওরফে শামসুর। স্থানীয়দের অভিযোগ- থানা পুলিশের কতিপয় অসৎ সদস্য এ সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকায় নিরাপদে এ রুট দিয়েই হরহামেশা চোরাইপণ্য পাচার হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ রুবেল মিয়া বলেন, ৯ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ চিনি চোরাচালানে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ