সাধারণত পৃথিবীর মত মহাকাশে মিলিয়ন বছরেও মৃতদেহ পচে না। মাউন্ট এভারেস্ট বা আল্পস পর্বতমালার হিমবাহের মাঝে লাশ যেমন বছরের পর বছর ভালো থাকে, তেমনি মহাকাশেও লাশ কয়েক মিলিয়ন বছর পরেও চেনা যাবে, যতক্ষণ না এটা কোন জ্যোতিষ্কে পতিত হচ্ছে। কারণ মহাকাশে অল্প ঘনত্বের বস্তু বিদ্যমান। অর্থাৎ শূন্য মহাশূন্য পুরোপুরি ফাঁকা নয়। অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে।
তাত্ত্বিকভাবে, মহাকাশে কৃষ্ণবস্তু এবং কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান। তাই মহাকাশে মৃতদেহ পচার সুযোগ পাবে না। কারণ মৃতদেহের শরীরে যত ব্যাকটেরিয়া আছে, রেডিয়েশন ও বায়ুশূন্যতায় সেগুলো মারা যাবে বা শীতনিদ্রায় চলে যাবে। লাশটা যদি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে চলে তবে তা কম চাপের কারণে সিদ্ধ হয়ে মমিতে পরিণত হবে। আবার যদি লাশটা পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সৌরজগতের বাইরের দিকে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে, লাশটা জমে শক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু বায়ুশূন্যতায় তাপের পরিবহনও দ্রুত হয় না। তাই এরকম হতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার