কল্পবিজ্ঞানের পাঠকরা আগে থেকেই জানতেন। ব্ল্যাক হোলে পড়ে গেলে কী হবে। তবে এ নিয়ে রসিকতাও কিন্তু কম হয়নি। কিন্তু বিজ্ঞান এতকাল তেমন মাথা ঘামায়নি বিষয়টা নিয়ে। সেই ‘পড়ে যাওয়া’র ব্যাপারটাকে নিয়েই সম্প্রতি নতুন করে ভাবতে বসেছেন বিজ্ঞানীর দল।
স্পেনের ইনস্টিটিউট অফ কর্পাস্কুলার ফিজিক্স-এর এক গবেষকদল কাজ করেছেন কৃষ্ণগহ্বরের চরিত্র নিয়ে। সার্বিকভাবে এমন ধারণা করা হয়েছে যে, কোনও বস্তু যদি ব্ল্যাক হোলে প্রবেশ করে, তবে কাল ও পরিসরের কাড়নে তার বিলয় ঘটতে বাধ্য। কিন্তু সম্প্রতি এই গবেষণা জানাচ্ছে, কৃষ্ণগহ্বরে প্রবেশ করা বস্তু বা পদার্থের বিলয় নাও ঘটতে পারে।
তাদের মতে, স্ফটিকের আণবিক কাঠামোর মতোই ব্ল্যাক হোলের কেন্দ্রীয় পরিসরটি অসম। সেখানে টাইম অ্যান্ড স্পেস ধারণাগতভাবে একেবারেই আলাদা। তাত্ত্বিকভাবে, ব্ল্যাক হোলে যদি কেউ প্রবেশ করেন, তার আকার দাঁড়াবে স্প্যাগেটির মতো। কিন্তু পরে তা ‘ওয়ার্ম হোল’ এ বেরিয়ে আসবে এবং পূর্বের চেহারা প্রাপ্ত হবে। ‘ওয়ার্ম হোল’ হল বিভিন্ন কাল ও পরিসরের সংযুক্তির স্থান।
সেদিক থেকে দেখলে ব্ল্যাক হোল হল গিয়ে একটা পোর্টাল। তার মধ্যে কেউ পড়ে গেলে অন্য কোনও টাইম ও ডাইমেনশনেও তা বেরিয়ে আসতে পারে। কৃষ্ণগহ্বরে তা মোটেই হারিয়ে যাবে না। মহাজগতের কোথাও না কোথাও তার পুনরুদ্ধার ঘটবেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬/ তাফসীর-৭