স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমের মূল প্রতিযোগিতা মূলত টেক জায়ান্ট অ্যাপলের নির্মিত আইওএস এবং গুগলের তৈরি অ্যানড্রয়েড অপারেটিংয়ের মধ্যে। আলাদা ধরনের ফিচার আর সুবিধা রয়েছে এ দুই অপারেটিং সিস্টেমেই। তবে কিছু ফিচারের দিক দিয়ে আইওএস থেকে এগিয়ে আছে অ্যানড্রয়েরড। জেনে নিন তেমনই ১০টি ফিচারের কথা যে ফিচারগুলো এগিয়ে রেখেছে অ্যানড্রয়েড ফোনকে-
১. স্প্লিট স্ক্রিন-
অ্যানড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ নুগাট এবং অ্যাপলের আইওএস ১০—উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই মূল পর্দাকে দুই ভাগ করে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। তবে আইওএসের এই ফিচার শুধু আইপ্যাডের জন্য প্রযোজ্য। আইফোনে এখনো চালু হয়নি স্প্লিট স্ক্রিন ফিচার। অন্যদিকে, ট্যাবলেট থেকে স্মার্টফোন সব ডিভাইসেই স্প্লিট স্ক্রিন ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে অ্যানড্রয়েড নুগাট।
২. নোটিফিকেশন বারের দ্রুত ব্যবহার-
নোটিফিকেশন বারে বিভিন্ন রকমের ফিচার, যেমন—টর্চ, ওয়াইফাই, ডাটা অ্যাকসেসের মতো প্রয়োজনীয় অপশন সাজানো রয়েছে। শুধু একবার ড্র্যাগ করেই এসব অপশন চালু কিংবা বন্ধ করা সম্ভব অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনে।
৩. সহজে এক অ্যাপ থেকে আরেক অ্যাপে-
একটি অ্যাপ ব্যবহার করতে করতে অন্য আরেকটি অ্যাপ চালু করার ক্ষেত্রে বেশ দ্রুত অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। মাল্টি-উইন্ডো বাটনে দুবার স্পর্শ করলেই চালু থাকা সব অ্যাপের একটু তালিকা হাজির হবে পর্দায়। গতির দিক থেকে আইওএস এদিক থেকে পিছিয়ে।
৪. ডোজ-
অ্যানড্রয়েডের খুব কার্যকর একটি ফিচারের নাম ‘ডোজ’। মূলত মার্শম্যালো সংস্করণ থেকে চালু হয় ডোজ। এই ফিচারের আওতায় স্মার্টফোন যখন ব্যবহৃত না হয়ে অলস অবস্থায় থাকে, সে সময় ব্যাটারি চার্জ সংরক্ষণে সহায়তা করে। ডোজ ব্যবহারের ফলে স্ট্যান্ডবাই স্মার্টফোন মাত্র ৩ শতাংশ চার্জ করে কাটিয়ে দিতে পারে পুরো রাত।
৫. ডাটা সেভার-
ঠিক ডোজের মতোই ‘ডাটা সেভার’ ফিচার। তবে ব্যাটারি নয়, ইন্টারনেট ডাটা খরচের ক্ষেত্রে বেশ সাশ্রয়ী করে তুলবে স্মার্টফোনকে এই ফিচার। ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন অ্যাপ কেমন ডাটা ব্যবহার করতে পারবে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডাটা সেভারের মাধ্যমে।
৬. ডেড্রিম ভিআর-
অ্যানড্রয়েড নুগাটের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবস্থা করেছে গুগল। এই ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে খেলা যাবে বিভিন্ন ভিআর গেম, দেখা যাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ভিডিও।
৭. আরো বেশি তথ্যপূর্ণ ‘সেটিংস’ ফিচার-
আগের চেয়ে আরো বেশি তথ্যপূর্ণ এবং সম্প্রসারিত সেটিংস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অ্যানড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণে।
৮. বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ-
একই ডিভাইসে বিভিন্ন গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা চালু রেখেছে গুগল। অ্যানড্রয়েড ললিপপ থেকে ব্যবহারকারীরা তাদের একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারছে। স্টোরেজ, বিভিন্ন অ্যাপের ডাটা রাখতে পারছে একাধিক অ্যাকাউন্টে।
৯. ইন্সট্যান্ট অ্যাপ-
ডাউনলোড না করেও প্লেস্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপ সাময়িক ভিত্তি এবং নির্দিষ্ট পরিসরে ব্যবহারের সুযোগ অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে। আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এ রকম কোনো ফিচার চালু নেই।
১০. আপডেটে স্বাচ্ছন্দ্য-
অ্যাপলের আইওএস ৮ অপারেটিং সিস্টেমের আকার ছিল ৪ গিগাবাইট। যদিও অ্যাপল সেটি কমিয়ে ২ গিগাবাইটে নিয়ে এসেছে, তবুও অ্যানড্রয়েডের তুলনায় তা এখনো বেশি। অ্যানড্রয়েড ওএস আপডেট সব সময়ই এক গিগাবাইট আকারের আশপাশে থাকে। অন্যদিকে অ্যানড্রয়েড নুগাটে যুক্ত হয়েছে ‘সিমলেস আপডেট ফিচার’। এই ফিচারের ফলে নতুন সব আপডেট ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাউনলোড হতে থাকবে। ব্যবহারকারী ফোন রিস্টার্ট করলে ইন্সটল হয়ে যাবে সে আপডেট।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-৮