এখন থেকে পেটে থাকা সন্তানের বেড়ে ওঠা ও তার হৃৎস্পন্দন দেখতে ও শুনতে পাওয়া যাবে। থ্রিডি ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি যন্ত্রের মাধ্যমে এই গোটা ঘটনা তুলে ধরা হবে। সম্প্রতি গবেষকেরা এমআরআই ও আলট্রাসাউন্ড তথ্য ব্যবহার করে শিশুর (ফিটাস) বেড়ে ওঠার সব তথ্য মা-বাবার সামনে তুলে ধরার টেকনোলজি আবিষ্কার করেছেন। এটি ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটির একটি জাদু। ইতিমধ্যে অনেকে হয়তো ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটির নাম শুনেছেন।
ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম, যাতে মডেলিং ও অনুকরণবিদ্যা প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম থ্রিডি সেন্সার পরিবেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে। ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটিতে অনুকরণ করা পরিবেশ হুবহু বাস্তব পৃথিবীর মতো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় অনুকরণকৃত বা সিম্যুলেটেড পরিবেশ বাস্তব থেকে আলাদা হতে পারে।
যেমন ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি গেমস। এতে থ্রিডি ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভব হয়। ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) সাধারণত উচ্চ রেজল্যুশনে ভ্রূণ ও প্ল্যাসেন্টার ছবি দেখাতে পারে। আলট্রাসাউন্ডে যেহেতু উন্নত ছবি পাওয়া যায় না, তাই ভ্রূণের অবস্থা বুঝতে এমআরআই ব্যবহার করা হয়। ভ্রূণের এমআরআই ফলের ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি থ্রিডি মডেল তৈরি করেছেন। ক্রমে এমআরআইয়ের সবকিছু একসঙ্গে যুক্ত করে এই মডেল তৈরি করা হয়। নিখুঁত থ্রিডি মডেল তৈরির পর ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি যন্ত্রটি যে প্রোগ্রাম করে, তা ওই মডেলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
ব্রাজিলের ক্লিনিকা দ্য ডায়াগনস্টিকো পর ইমাজেমের গবেষক হেরন ওয়ারনার বলেন, ‘থ্রিডি ভ্রূণের মডেলকে ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করলে ভ্রূণের শারীরিক বৈশিষ্ট্য বোঝার বিষয়ে কাজে লাগে। শিক্ষণীয় উদ্দেশ্য ছাড়াও মা-বাবা তাদের আগত সন্তানকে দেখতে পান। এভাবে ভ্রূণের যে ছবি দেখা যায়, তা সদ্যোজাত সন্তানের কাছাকাছি।
বিডি প্রতিদিন/২৫ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল