ছবি যদি নষ্ট হয়ে যায় তবে মন খারাপের শেষ নেই। তবে ডিজিটাল টেকনোলজি আর একটি প্রিন্টারের সাহায্য পুরনো ছবি ঠিকঠাক রাখতে পারেন। পুরনো মহামূল্যবান ছবি সহজে কীভাবে সংরক্ষণ করবেন তার পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। সহজে কিছু ফটো এডিটিং টুল ইনস্টল করে প্রিন্টিং ফটোগুলো ভাল রাখতে পারবেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক সাধারণ পদ্ধতিগুলো-
এক. পরিষ্কার করে নিন :
প্রথমেই যা করতে হবে তা হলো, স্ক্যানার এবং ফটোগুলো পরিষ্কার করে নিতে হবে। ময়লা ও ধুলো লেগে থাকে এগুলোতে। পরিষ্কার করে না নিলে স্ক্যানিংয়ে ধুলো বোঝা যাবে। তখন এগুলো জুম করে ডিজিটালি পরিষ্কার করে নিতে হয়।
দুই. ব্যাকআপ করুন :
একটি উপায়ে পুরো নষ্ট হয়ে যাওয়া ছবিগুলোতে প্রাণ ফেরানো সম্ভব নয়। তবে কিছু মৌলিক টুলের মাধ্যমে ফটো ঠিক করার কাজটি করতে পারবেন। একটি কার্যকর কৌশল হলো, নিয়মিত ব্যাকআপ করবেন কয়েকটি ভিন্ন পয়েন্টে। যদি কোনো পয়েন্ট ভালো না লাগে, তবে আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারবেন।
তিন. লেয়ারের কাজ বুঝে নিন :
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো লেয়ারের কাজে দক্ষ হয়ে ওঠা। জিআইএমপি বা অ্যাডব ফটোশপের মতো কোনো সফটওয়্যারের অ্যাডজাস্টমেন্ট লেয়ারের বিষয় বুঝে নিতে হবে। লেয়ারের মাধ্যমে ছবির যে কোনও অংশের অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায়। যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে হালকা আঁচড়ের দাগ থাকে তবে তা মাস্ক অফ করা যায়। এতে অবশ্য ছবি কিছুটা ঘোলা হয়ে যেতে পারে।
চার. ক্লোনের কারসাজি :
ভালো মানের এডিটিংয়ের আরেকটি উপায় ক্লোন ব্রাশ বা টুল। এর মাধ্যমে ছবির কোনো অংশকে মার্কলেস করে তার একটি অংশ অন্যখানে আলাদা করে নেওয়া যায়। মার্কগুলো মুছে ফেলে ছবির বিভিন্ন অংশের মিশেল ঘটাতে দারুণ কাজ করে ক্লোন।
পাঁচ. শার্প :
ছবির ঘোলা অংশ শার্প ও কনট্রাস্টের মাধ্যমে ঠিকঠাক করে নেওয়া যায়। হিলিং ব্রাশ ব্যবহার করে স্পর্শকাতর অংশগুলো ঝকঝকে করে নেওয়া যায়।
ছয়. শুরু করে দিন :
টেকনোলজির মাধ্যমে পুরনো ছবি সংরক্ষণ অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এই কাজটি খুব সহজ। যতটা জটিল মনে হবে, ততটা নয়। একটু চর্চা করে নিন। এরপর ছবিগুলো স্ক্যান কপি নিয়ে বসে পড়ুন। দেখবেন, পুরনো ছবিগুলো আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।
সাত. সহজাত সৌন্দর্য :
হোয়াইট ব্যালেন্সিং অপশনের মাধ্যমে ছবিগুলোকে স্বাভাবিক করে তোলা যায়। পুরনো ছবি যেমন হওয়া উচিত তেমন চেহারা দেওয়া সম্ভব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার